বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের নিরাপদ সড়কের আন্দোলনের সমর্থনে মাঠে কলকাতার ডিএসও এবং যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা

বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের নিরাপদ সড়কের আন্দোলনের সমর্থনে মাঠে নেমেছেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। ছবি: ভাস্কর মুখার্জি
বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের নিরাপদ সড়কের আন্দোলনের সমর্থনে মাঠে নেমেছেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। ছবি: ভাস্কর মুখার্জি

নিরাপদ সড়কের দাবিতে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের প্রতি একাত্মতা প্রকাশ করে ‘সংহতি মিছিল’ করেছে ভারতের বামপন্থী রাজনৈতিক দল এসইউসিআইয়ের ছাত্র সংগঠন ডিএসওর পশ্চিমবঙ্গ শাখা। আজ সোমবার বিকেলে ডিএসও কলকাতায় বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের প্রতি একাত্মতা ঘোষণার জন্য একটি ‘সংহতি মিছিল’ বের করে। মিছিলটি কলকাতার রামলীলা ময়দান থেকে বের হয়ে কলকাতার বাংলাদেশ উপহাইকমিশনের দিকে রওনা হয়।

বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের নিরাপদ সড়কের আন্দোলনের সমর্থনে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা মিছিল করেন। ছবি: ভাস্কর মুখার্জি

মিছিলকারীরা বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের ‘নিরাপদ সড়ক চাই’ আন্দোলনের প্রতি একাত্মতা ঘোষণা করে নানা স্লোগানের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের ওপর দমনপীড়ন বন্ধের আবেদন জানান। মিছিলটি উপহাইকমিশনের কাছে গেলে পুলিশ বাধা দেয়। এরপর মিছিলকারীরা বাংলাদেশে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের প্রতি একাত্মতা ঘোষণা করে এক বার্তা পাঠায় শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে।

ডিএসওর পশ্চিমবঙ্গ শাখার সাধারণ সম্পাদক সৌরভ ঘোষ প্রথম আলোকে বলেছেন, ‘নিরাপদ সড়কের দাবি নিয়ে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা যে আন্দোলন শুরু করেছে, তা আমাদের অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে। আমরাও চাই নিরাপদ সড়ক। দুর্ঘটনামুক্ত সড়ক। তাই বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের আন্দোলন আমাদের নতুন পথের দিশা দিয়েছে।’

নিরাপদ সড়কের দাবিতে বাংলাদেশে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের প্রতি একাত্মতা প্রকাশ করে ‘সংহতি মিছিল’ করেছে ভারতের বামপন্থী রাজনৈতিক দল এসইউসিআইয়ের ছাত্র সংগঠন ডিএসওর পশ্চিমবঙ্গ শাখা। ছবি: ভাস্কর মুখার্জি

এই মিছিলের পর একই দাবিতে আরেকটি মিছিল পার্ক সার্কাস থেকে কলকাতার বাংলাদেশ উপহাইকমিশনের দিকে রওনা হয়। সেখানেও পুলিশ মিছিলটি উপহাইকমিশনের দিকে এগোতে বাধা দেয়। এ সময় ছাত্রছাত্রীরা পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে এগোতে চান। তবে পুলিশের বাধায় শিক্ষার্থীরা আর এগোতে পারেননি। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের শিক্ষার্থীরা এ মিছিলে অংশ নিয়ে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের প্রতি একাত্মতা ঘোষণা করেন। ছাত্রনেতা সৈকত বলেছেন, ‘বাংলাদেশে নিরাপদ সড়ক চেয়ে যে আন্দোলন শুরু হয়েছে, তার প্রতি আমাদের পূর্ণ সমর্থন রয়েছে। আমরাও চাই নিরাপদ সড়ক। পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের প্রতি যাতে কোনো রকম জুলুম না হয়, সেই দাবিও করছি আমরা।’