Thank you for trying Sticky AMP!!

করোনাকে কেয়ার না করে ১১৬তম জন্মদিন পালন

১১৬ তম জন্মদিন পালন করেছেন ফ্রেডি ব্লম। বিশ্বে জীবিত ব্যক্তিদের মধ্যে তিনি সবচেয়ে প্রবীণ বলে ধারণা করা হচ্ছে। ছবি: এএফপি

করোনাভাইরাসের ভয়কে পেছনে ফেলে নিজের ১১৬তম জন্মদিন পালন করলেন দক্ষিণ আফ্রিকার ফ্রেডি ব্লম। গতকাল শুক্রবার নিজের জন্মদিন পালন উপলক্ষে তিনি বলেন, ঈশ্বরের দয়ায় তাঁর এই দীর্ঘ জীবন।

বার্তা সংস্থা এএফপির খবরে জানানো হয়, ব্লমই এখন পর্যন্ত বেঁচে থাকা বিশ্বের সবচেয়ে প্রবীণ ব্যক্তি হতে পারেন। ১৯০৪ সালে অ্যাডিলেডের কাছাকাছি একটি গ্রামীণ এলাকায় তিনি জন্মগ্রহণ করেন।
গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস গত মার্চে ১১২ বছর বয়সী একজন ব্রিটিশ নাগরিককে বিশ্বের সবচেয়ে প্রবীণ ব্যক্তি হিসেবে ঘোষণা করে। ব্লম তাঁর চেয়ে ৪ বছরের বড়। তবে তাঁর বয়স এখনো যাচাই করেনি গিনেস কর্তৃপক্ষ।

এএফপি জানায়, ধূমপায়ী ব্লম ১৯১৮ সালের স্প্যানিশ ফ্লুর স্মৃতি স্মরণ করতে পারেন, এই মহামারিতে লাখো মানুষ মারা গিয়েছিল। ওই মহামারিতে বোনকে হারিয়েছিলেন তিনি।

এএফপি জানায়, ১১৬তম জন্মদিন উপলক্ষে ব্লম তাঁর বাড়ির সামনের উঠানে বসে পড়লে নাতি-নাতনিরা চারদিকে জড়ো হয়। জন্মদিনের শুভেচ্ছায় গান গাওয়ার জন্য প্রতিবেশীরাও উপস্থিত হন। দক্ষিণ আফ্রিকার কেপটাউনে ফ্রেডি ব্লমের বাড়িতে অনেকেই বেড়াতে আসেন। রীতিমতো তারকাখ্যাতি পেয়ে গেছেন তিনি। ফ্রেডি ব্লম জীবনের বেশির ভাগ সময় কাটিয়েছেন কৃষি খামার বা নির্মাণশিল্পে শ্রমিক হিসেবে কাজ করে।
স্ত্রী জ্যানেটের (৮৬) সঙ্গে একটি নাচের অনুষ্ঠানে তাঁর সাক্ষাৎ হয়েছিল। প্রাণচাঞ্চল্য দিয়ে তাঁর মন জয় করেছিলেন। পাঁচ দশকের বেশি বিবাহিত জীবন তাঁদের।

এত বেশি বয়স হলেও করোনাভাইরাসের ভয় তাঁকে ভীত করতে পারেনি বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। দুই বছর আগে থেকে চিকিৎসকের কাছে যাওয়া বাদ দিয়েছেন।

জ্যানেট বলেন, দিনে এখন দুটি ডিসপ্রিন খান ব্লম। অনেক সময় স্ত্রীরটাও চুরি করে খান।

ব্লম-জ্যানেট দম্পতির সন্তান নেই। তবে জ্যানেটের আগের পক্ষের দুই সন্তানকে নিজের করে নিয়েছেন ব্লম।

তাঁদের মেয়ে জেসমিন তইরেন (৩৮) বলেন, ‘ব্লম আমাদের জন্য সবকিছু করেছেন। তিনি প্রতিদিন ভোরে উঠে সাইকেলে চেপে কাজে যেতেন। তিনি পশু–পাখি পোষা ও বাগান করতে পছন্দ করেন।’