জিম্বাবুয়ে নির্বাচন: সব পক্ষকে সংযম প্রদর্শনের জন্য আন্তর্জাতিক আহ্বান
গত সোমবারের নির্বাচনের পর সরকার হার্ডলাইনে যাওয়ায় সংযম প্রদর্শনের জন্য আন্তর্জাতিকভাবে আহ্বান জানানো হয়েছে।
জাতিসংঘ ও সাবেক ঔপনিবেশিক শাসক যুক্তরাজ্য উভয়েই সহিংসতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। এই সহিংসতায় সরকারি বাহিনীর গুলিতে তিন ব্যক্তি নিহত হন।
সাবেক শাসক রবার্ট মুগাবেকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর অনুষ্ঠিত প্রথম নির্বাচনে শাসক দল জানু-পিএফ পার্টি জয়ী হয়েছে।
কিন্তু বিরোধী দল বলছে, জানু-পিএফ নির্বাচনে কারচুপি করেছে।
প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফল এখনো ঘোষণা করা হয়নি। বিরোধী মোর্চা এমডিসি বলছে, তাদের প্রার্থী, নেলসন চামিসাম, ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট এমার্সন মানুগাগাওয়াকে পরাজিত করেছেন।
জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস জিম্বাবুয়ের রাজনীতিকদের সংযম দেখাতে আহ্বান জানিয়েছেন। যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র দপ্তরের মন্ত্রী হ্যারিয়েট বল্ডউইন বলেন, এই সহিংসতায় তিনি ‘গভীরভাবে উদ্বিগ্ন’।
হারারেস্থ মার্কিন দূতাবাস টুইটার বার্তায় সেনাবাহিনীকে সংযম দেখানোর অনুরোধ জানিয়ে বলেছে, দেশটির সামনে এক সোনালি ভবিষ্যতের সুযোগ অপেক্ষা করছে।
অন্যদিক, মানবাধিকার গ্রুপ অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল সেনাবাহিনীর কর্মকাণ্ড তদন্ত করে দেখতে বলেছে।
নির্বাচন পর্যবেক্ষক ইইউ মিশন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফল প্রকাশ বিলম্বের সমালোচনা করেছে। তারা বলেছে, নির্বাচনে ‘উন্নত রাজনৈতিক পরিবেশ ছিল, সবার জন্য সমান সুযোগ ও আস্থার অভাব ছিল’।
এতে বলা হয়, মিশন বেশ কয়েকটি সমস্যা লক্ষ করেছে, যার মধ্যে রয়েছে মিডিয়ার পক্ষপাতিত্ব, ভোটারদের ভীতি প্রদর্শন ও নির্বাচন কমিশনের প্রতি অনাস্থা।
১৬ বছরে এই প্রথম জিম্বাবুয়ের নির্বাচনে সরকার ইইউ ও মার্কিন নির্বাচন পর্যবেক্ষকদের পর্যবেক্ষণের অনুমতি দিয়েছে।