Thank you for trying Sticky AMP!!

সোমালিয়ায় হোটেলে জঙ্গি হামলায় সাংবাদিকসহ নিহত ৭

হামলায় নিহত হয়েছেন কানাডীয়-সোমালি টিভি সাংবাদিক হোদান নালায়েহ। ছবি: টুইটার

সোমালিয়ার একটি হোটেলে জঙ্গি হামলায় সাংবাদিকসহ কমপক্ষে সাতজন নিহত হয়েছেন। দেশটির দক্ষিণাঞ্চলের বন্দর শহর কিসমায়োতে অ্যাসাসে নামের একটি হোটেলে প্রথমে একজন আত্মঘাতী হামলাকারী গাড়িভর্তি বিস্ফোরক নিয়ে ঢুকে পড়ে এবং পরে বন্দুকধারীরা গুলিবর্ষণ করে। ইসলামি জঙ্গি গ্রুপ আল-শাবাব হামলার দায় স্বীকার করেছে।

আজ শনিবার বিবিসি অনলাইনের খবরে বলা হয়, নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে কানাডীয়-সোমালি টিভি সাংবাদিক হোদান নালায়েহ এবং তাঁর স্বামী রয়েছেন।

হামলার সময় হোটেলটির একটি কক্ষে দেশটির আঞ্চলিক পর্যায়ের রাজনীতিবিদ ও বিভিন্ন গোত্রের বয়োজ্যেষ্ঠরা আসন্ন আঞ্চলিক নির্বাচন নিয়ে আলোচনা করছিলেন।

প্রত্যক্ষদর্শী ব্যক্তিরা জানান, গাড়িবোমা বিস্ফোরণের পরপরই তাঁরা হোটেলের ভেতর গুলিবর্ষণের শব্দ শুনতে পান।

নিরাপত্তা কর্মকর্তা আবদি ঢুহুল বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানিয়েছেন, নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে স্থানীয় প্রশাসনের একজন সাবেক মন্ত্রী এবং একজন আইনপ্রণেতা রয়েছেন।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যম এবং সোমালি জার্নালিস্টস অ্যাসোসিয়েশন জানিয়েছে, নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে নালায়েহ (৪৩) ও তাঁর স্বামী ফরিদ রয়েছেন।

সাম্প্রতিক বছরে একের পর এক হামলা চালিয়েছে জঙ্গি সংগঠন আল-শাবাব। ছবি: এএফপি

ইন্টিগ্রেশন টিভির ইংরেজি ভাষার একটি অনুষ্ঠান প্রযোজনা ও উপস্থাপনা করতেন নালায়েহ। ওই অনুষ্ঠানে তিনি সোমালি জীবনযাপন নিয়ে কথা বলতেন। সাম্প্রতিক পর্বগুলোয় সোমালিয়ার নারী উদ্যোক্তাদের ইতিবাচক ভূমিকার ওপর আলোকপাত করা হয়েছিল।

নালায়েহ ছয় বছর বয়সে বাবা-মায়ের সঙ্গে সোমালিয়া থেকে কানাডায় চলে যান। সেখানে সোমালি সম্প্রদায়ে তিনি একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হয়ে ওঠেন। তবে দুই সন্তানের মা নালায়েহ সম্প্রতি সোমালিয়ায় ফিরে আসেন।

সোমালি সাংবাদিকেরা জানিয়েছেন, নালায়েহর সঙ্গে মোহামেদ ওমর সাহাল নামের আরেক সাংবাদিক নিহত হয়েছেন এ হামলায়। এ বছরে দেশটিতে এটাই প্রথম সাংবাদিক নিহত হওয়ার ঘটনা।

জঙ্গি সংগঠন আল-শাবাব ২০১২ সালে কিসমায়ো থেকে বিতাড়িত হয়ে যায়। দক্ষিণ ও মধ্য সোমালিয়ার তুলনায় সাম্প্রতিক বছরগুলোয় বন্দর শহরটিতে শান্তি বিরাজ করছিল। আফ্রিকান ইউনিয়ন শান্তিরক্ষী এবং যুক্তরাষ্ট্র থেকে প্রশিক্ষিত বাহিনী থাকা সত্ত্বেও জঙ্গি গ্রুপটি রাজধানী মোগাদিসুতে একের পর এক হামলা চালিয়েছে।