এইডস শনাক্তে সাহায্যের আবেদন পাকিস্তানের
পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশে এইচআইভি ভাইরাসের সাম্প্রতিক প্রাদুর্ভাব তদন্ত করে দেখতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কাছে সাহায্য চেয়েছে পাকিস্তান সরকার। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির গতকাল মঙ্গলবারের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশে ছয় শতাধিক লোকের মধ্যে এইচআইভি সংক্রমণ পাওয়া গেছে, যার অধিকাংশই শিশু।
প্রতিবেদনে বলা হয়, সিন্ধু প্রদেশের রাতোদেরো এলাকায় ২১ হাজার ৩৭৫ জন ব্যক্তিকে পরীক্ষা করে ৬৮১ জনের মধ্যে এইচআইভি ভাইরাস পাওয়া যায়। এর মধ্যে ৫৩৭ জনের বয়স ২ থেকে ১৫ বছরের মধ্যে।
পাকিস্তানের স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা এর জন্য অস্বাস্থ্যকর স্যানিটারি সরঞ্জাম ব্যবহার, অনিরাপদ রক্ত গ্রহণ ও অসামাজিক আচরণকে এর জন্য দায়ী করছেন।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর স্বাস্থ্যবিষয়ক বিশেষ সহাকারী জাফর মির্জা পাকিস্তানের ইংরেজি দৈনিক ডনকে বলেছেন, রাতোদেরো এলাকায় এইচআইভি ছড়িয়ে পড়ার প্রকৃত কারণ জানতে দ্রুত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষস্থানীয় স্বাস্থ্যসেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান ডিজেস কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের (সিডিসি) ১০ জন চিকিৎসক কাজ করবেন।
সিডিসি বর্তমানে পাকিস্তানে বিভিন্ন স্বাস্থ্যসেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কাজ করছে। ওই প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা ধারণা করছেন, অনিরাপদ রক্ত গ্রহণ, এইচআইভি আক্রান্ত ব্যক্তির ব্যবহৃত সিরিঞ্জ ব্যবহার ও অনিরাপদ যৌন মিলনের কারণে সেখানে এইচআইভি ছড়িয়েছে।
সম্প্রতি দেশটির পুলিশ রোগীর শরীরে এইচআইভি ভাইরাস ছড়ানোর অভিযোগে এক চিকিৎসককে গ্রেপ্তার করেছে। এ ছাড়া ওই এলাকা থেকে ১৭ জন হাতুড়ে চিকিৎসককেও আটক করা হয়েছে।
জাফর মির্জা বলেন, শনাক্ত হওয়া এইচআইভি আক্রান্ত ব্যক্তিদের সংখ্যা প্রকৃত সংখ্যার চেয়ে অনেক কম। বর্তমানে ৫০ হাজারে মতো ব্যক্তি এই শনাক্ত প্রক্রিয়ার মধ্যে আছে।
জাতিসংঘের প্রতিবেদন মতে, এশিয়ার মধ্যে এইডসের প্রকোপ বৃদ্ধির দিক দিয়ে পাকিস্তানের অবস্থান দ্বিতীয়। শুধু ২০১৭ সালেই নতুন ২০ হাজারের মতো লোক এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়।
আরও পড়ুন
-
কী ঘটেছিল, মনে করতে পারছে না শিশুটি
-
অভ্যুত্থানে ক্ষমতা দখল, অভ্যুত্থানেই পুরো পরিবারসহ খুন হন আফগান প্রেসিডেন্ট দাউদ খান
-
বাসা থেকেই বেরিয়ে সালাহউদ্দিন বুঝলেন, এই গরমে ফুটবল খেলা সম্ভব নয়
-
মুন্সিগঞ্জে অটোরিকশার ধাক্কায় মায়ের কোল থেকে ছিটকে পড়ে শিশুর মৃত্যু
-
হিট অফিসারের পরামর্শে সড়কে বৃষ্টি ঝরাচ্ছে ডিএনসিসি