Thank you for trying Sticky AMP!!

এমন প্রাণঘাতী দিন আগে দেখেনি চীন

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ কবে নাগাদ থামবে, তা এখনই বলা মুশকিল। ছবি: রয়টার্স

এমন প্রাণঘাতী দিন আগে দেখেনি চীন। দেশটির হুবেই প্রদেশে গতকাল বুধবার নতুন করোনাভাইরাসের সংক্রমণে অন্তত ২৪২ জন মারা গেছেন। আজ বৃহস্পতিবার বিবিসি অনলাইনের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়।

চীনে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার পর মৃত্যুর সংখ্যার বিবেচনায় এখন পর্যন্ত এটিই দেশটির সবচেয়ে প্রাণঘাতী দিন। সব মিলিয়ে চীনে এই ভাইরাসের সংক্রমণে মৃত ব্যক্তির মোট সংখ্যা ১ হাজার ৩৫০ ছাড়িয়েছে।

গতকাল চীনে এই ভাইরাসে নতুন করে সংক্রমিত ব্যক্তির সংখ্যাও ব্যাপকভাবে বেড়ে গেছে। এদিন নতুন করে সংক্রমিত হয়েছে ১৪ হাজার ৮৪০ জন।

নতুন করোনাভাইরাসের কেন্দ্রস্থল হুবেই প্রদেশ। সেখানকার কর্তৃপক্ষ করোনাভাইরাসে সংক্রমিত রোগী শনাক্তে নতুন পদ্ধতি ব্যবহার করতে শুরু করেছে। মূলত, এই পদক্ষেপের পরই সংক্রমিত রোগীর সংখ্যা বেড়ে গেছে।

গতকালের আগে কয়েক দিন ধরে চীনে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের হার কমতে শুরু করেছিল। কিন্তু এখন তা একলাফে বেড়ে গেল।

চীনে করোনাভাইরাসে সংক্রমিত রোগীর মোট সংখ্যা এখন প্রায় ৬০ হাজার।

চীনে করোনাভাইরাসে যারা মারা যাচ্ছে বা সংক্রমিত হচ্ছে, তাদের বেশির ভাগই হুবেই প্রদেশের বাসিন্দা। এই সংখ্যা ৮০ শতাংশেরও বেশি।

হুবেইয়ে করোনাভাইরাসে সংক্রমিত রোগী শনাক্তে নতুন পদ্ধতি ব্যবহার শুরুর পর এক দিনে রেকর্ডসংখ্যক মানুষের মৃত্যুর তথ্য এল।

চীনের বাইরেও নতুন করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ছে। বিশ্বের ৩০টি দেশ ও অঞ্চলে এই ভাইরাসে এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ৫০০ জন। এর মধ্যে হংকং ও ফিলিপাইনে মারা গেছেন দুজন। তাঁরা চীনের নাগরিক।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ে সতর্কবার্তা দিচ্ছে। তারা বলেছে, বিশ্বকে সন্ত্রাসবাদের থেকেও বড় হুমকি দিচ্ছে এই মহামারি। এই ভাইরাসকে জনস্বাস্থ্যের জন্য এক নম্বর শত্রু হিসেবে বিবেচনা করতে হবে।

ডব্লিউএইচও বলছে, এই ভাইরাসের সংক্রমণ কবে নাগাদ থামবে, তা এখনই বলা মুশকিল। এ ছাড়া ভাইরাসটির টিকা তৈরি করতে ১৮ মাস সময় লাগতে পারে।