
আফগানিস্তানের কাবুল বিমানবন্দরে আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা স্থাপন করা হয়েছে। দেশটিতে সশস্ত্র গোষ্ঠী তালেবানের একের পর এক হামলা ঠেকাতে এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা। খবর এএফপির।
গতকাল রোববার এ প্রতিরোধব্যবস্থা স্থাপন করা হয়। আগামী মাসের শেষের দিকে আফগানিস্তানে ওয়াশিংটন ও মিত্রদেশগুলোর সেনা অভিযান শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। তালেবানদের দাবি, তারা আফগানিস্তানের ৮৫ শতাংশ নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে।
সম্প্রতি কয়েক সপ্তাহে তালেবানদের হামলার কারণে কাবুল ও বিমানবন্দরের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন আফগান সরকার। ন্যাটো বিদেশি কূটনীতিক ও ত্রাণকর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগের অন্যতম পথ কাবুল বিমানবন্দর নিরাপদ রাখতে চায়।
আফগানিস্তানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, স্থানীয় সময় গতকাল দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে কাবুলে নতুন আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা স্থাপন করা হয়েছে। রকেট ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা প্রতিরোধে এটি খুবই কার্যকর ব্যবস্থা।
আফগানিস্তানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র তারিক আরিয়ান এএফপিকে প্রতিরক্ষাব্যবস্থা স্থাপনের কথা জানিয়েছেন। তবে এটা কী ধরনের প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ও কারা এটি স্থাপন করেছে, সে ব্যাপারে তিনি বিস্তারিত কিছু জানাননি।
২০২০ সালে কাবুলে তালেবান ও আইএস জঙ্গিরা রকেট ও মর্টার হামলা চালায়। এ বছর বাগরাম বিমানঘাঁটিতে রকেট হামলার দায় নিয়েছে আইএস জঙ্গিরা। অন্যতম বড় মার্কিন সেনাঘাঁটি হলো বাগরাম। সম্প্রতি এটি আফগান বাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
বিদেশি নিরাপত্তা কর্মকর্তা ও গণমাধ্যমের খবরে জানা গেছে, মার্কিন সেনাবাহিনী এর আগের বছরগুলোতেও বেশ কয়েকটি রকেট, কামান ও মর্টার হামলা প্রতিরোধী ব্যবস্থা (সি-র্যামস) আফগানিস্তানে স্থাপন করেছে। এ ব্যবস্থায় ক্যামেরার মাধ্যমে রকেট চিহ্নিত করা যায়।
এদিকে আগামী মাসে মার্কিন ও ন্যাটো সেনারা সরে যাওয়ার পরে কাবুল বিমানবন্দরের নিরাপত্তা বজায় রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে তুরস্ক। তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান গত শুক্রবার জানান, তুর্কি সেনাবাহিনী কীভাবে বিমানবন্দরের নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করবে, তা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে।
আফগানিস্তানে নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ থাকায় ভারত গতকাল কান্দাহারের দক্ষিণাঞ্চলে কনস্যুলেট থেকে কর্মকর্তাদের সরিয়ে নিয়েছে। নিরাপত্তা বাহিনীর একটি সূত্র জানিয়েছে, ছয়জন কূটনৈতিকসহ ৫০ জন ভারতীয় কর্মকর্তাকে ফিরিয়ে আনা হয়েছে।
গত সপ্তাহে রাশিয়া আফগানিস্তানের উত্তরাঞ্চলের মাজার–ই–শরিফ এলাকায় তাদের কনস্যুলেট বন্ধ করার ঘোষণা দেয়। চীন আফগানিস্তান থেকে ২১০ জন নাগরিককে সরিয়ে নিয়েছে।