Thank you for trying Sticky AMP!!

গরমে কলকাতার অবস্থা চরমে

গরমে কাহিল এই পথচারী। ছবি: ভাস্কর মুখার্জি

কয়েক দিন ধরে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কলকাতায় প্রচণ্ড গরম। রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় চরম দাবদাহ। বৃষ্টি হয়নি। তাই আবহাওয়া গুমোট। বাতাসে আর্দ্রতা কমে গেছে। মানুষ হাঁসফাঁস করছে। তাতানো রোদের ভাপেতাপে পুড়ছে কলকাতা।

আজ শুক্রবার সকালে কলকাতার তাপমাত্রা সর্বোচ্চ ছিল ৩৮ দশমিক ২৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৬৭ শতাংশ। আলীপুর আবহাওয়া দপ্তর বলছে, রোববার এই তাপমাত্রা ৪৪ ডিগ্রিতে পৌঁছাতে পারে। শিগগিরই বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। সকালে আসানসোলের তাপমাত্রা ছিল ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। মেদিনীপুর, পুরুলিয়া, দুর্গাপুরেও ছিল ৪০ ডিগ্রি। বর্ধমানে ৩৮, শিলিগুড়িতে ৩৬, বনগাঁয় ৩৬, বোলপুরে ৩৯, দার্জিলিংয়ে ২৬, জলপাইগুড়িতে ৩৬, কোচবিহারে ৩৫, দমদমে ৩৭, আলীপুরদুয়ারে ৩৫ ও ডায়মন্ড হারবারে ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

পানি পানের জন্য ভিড়। ছবি: ভাস্কর মুখার্জি

শহরে বাস–ট্রামে যাত্রীর সংখ্যা কমে গেছে। অফিসগামী লোকজন ট্রাম ছেড়ে বরং হেঁটেই কর্মস্থলে যাচ্ছেন। শুকনো ধুলোর ভয়ে মেয়েরা এখন মুখ ঢেকে বের হচ্ছেন। রোদের আঁচ থেকে রক্ষা পেতে মাথায় থাকছে আচ্ছাদন। বিক্রি বেড়েছে কোমলপানীয় আর আইসক্রিমের। রাস্তাঘাটে মানুষের চলাচল কমে গেছে।

গরম থেকে স্বস্তি পেতে শরবত পান। ছবি: ভাস্কর মুখার্জি

কলকাতার বাসস্ট্যান্ড ও ট্রাম ডিপোতে মানুষের চলাচল কমে গেছে। ভাড়ায় চলা ট্যাক্সির চাহিদাও কমেছে। তবে বেশি চলছে এসি ট্যাক্সি। দুপুরের গরমের হাত থেকে রেহাই পেতে মানুষ ঠাঁই নিচ্ছে বিভিন্ন পার্কের গাছতলায় ও মাঠে। অনেকেই আশপাশের পুকুর, নদী ও খালবিলে ঝাঁপ দিচ্ছে।

নাকমুখ ঢেকে তাপ থেকে বাঁচার চেষ্টা। ছবি: ভাস্কর মুখার্জি

গরমের জেরে রাজমিস্ত্রিও পাওয়া যাচ্ছে না। সবচেয়ে কঠিন সময় পার করছেন খেটে খাওয়া রিকশাচালকেরা। প্রচণ্ড গরমে রিকশাচালকেরা হাঁপিয়ে যাচ্ছেন। কলকাতায় হাতেটানা রিকশাচালকদের অবস্থা কাহিল।

তাপ থেকে রেহাই পেতে শাড়ির আঁচলে মাথা ঢেকেছেন এই নারী। ছবি: ভাস্কর মুখার্জি

প্রচণ্ড গরমে অবশ্য লাভ হয়েছে বিভিন্ন কোমলপানীয়ের কোম্পানির। কলকাতাজুড়ে কোমলপানীয়ের ব্যবসা জমে উঠেছে। গ্রামগঞ্জেও ফুটপাতে বরফ দিয়ে তৈরি নানা রং আর স্বাদের শরবত বিক্রি হচ্ছে।

গরমে ক্লান্ত হয়ে ঘুমিয়ে আছেন পথচারীরা। ছবি: ভাস্কর মুখার্জি
গরমে তরমুজের চাহিদা বেড়েছে। ছবি: ভাস্কর মুখার্জি