গরিলার রূপে মুগ্ধ নারীরা

ছবি তুলতে পছন্দ করে সাবানি। ক্যামেরা দেখলেই শক্তিপ্রদর্শনে আগ্রহী হয়ে ওঠে। ছবি: এএফপি
ছবি তুলতে পছন্দ করে সাবানি। ক্যামেরা দেখলেই শক্তিপ্রদর্শনে আগ্রহী হয়ে ওঠে। ছবি: এএফপি

সাবানি জানে তার রূপ আছে। তাই কারণে-অকারণে নিজের সৌন্দর্যকে নানাভাবে তুলে ধরে। ১৮ বছরের গরিলা সাবানির পেশিবহুল, শক্তিশালী শরীর। বিশেষ ভঙ্গিমার জন্যও সে নজর কাড়ে সবার। বিশেষ করে নারীদের।

নারী দর্শনার্থীদের দিকে এভাবে তাকিয়ে থাকে সাবানি। ছবি: এএফপি

জাপানের হিগাশিয়ামা চিড়িয়াখানায় গরিলা সাবানিকে দেখতে প্রতিদিনই ভিড় জমে দর্শনার্থীদের। ভিড়ের বড় একটা অংশ জুড়ে থাকেন নারীরা।

চিড়িয়াখানার মুখপাত্র তাকাইউকি আশিকাওয়া বলেন, মাঝে মধ্যে হাতের ওপর থুতনি রেখে কী যেন ভাবে সাবানি। অপলকে তাকিয়ে থাকে দর্শনার্থীদের দিকে। এ সময় তাকে সবচেয়ে সুন্দর দেখায়। অন্য গরিলাদের চেয়ে সে যথেষ্ট শক্তিশালী। তার ওজন ১৮০ কেজি। রঙও উজ্জ্বল। নারীরা এসব কারণেই পছন্দ করে সাবানিকে।

১৮ বছরের গরিলা সাবানিকে বেশি পছন্দ করে নারী দর্শনার্থীরা। গরিলার সৌন্দর্যে মুগ্ধ তারা। ছবি: এএফপি

২০০৭ সাল থেকেই চিড়িয়াখানায় রয়েছে সাবানি। এ বছরের শুরুতে চিড়িয়াখানার বসন্ত উৎসবে মডেল হয় সাবানি। ইশিকাওয়া বলেন, গরিলাটির পূর্বপুরুষও নারীদের কাছে ছিল একই রকম আকর্ষণীয়।

বাবা হিসেবেও খুব ভালো সাবানি। ছেলেমেয়েদের ভীষণ যত্ন করে সে। তার এই মমত্ববোধে মুগ্ধ দর্শকেরা।

জাপানি নারীরা সাবানির প্রশংসায় পঞ্চমুখ। সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে তাঁরা সাবানির উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেন। নারীরা সাবানিকে আদর করে ‘সুদর্শন’ বলে ডাকেন।

জাপানের হিগাশিয়ামা চিড়িয়াখানার জনপ্রিয় গরিলা সাবানি। পেশিবহুল ও শক্তিশালী চেহারার জন্য দর্শনার্থীদের নজর কেড়েছে সে। ছবি: এএফপি।

সাবানি এখন রীতিমতো তারকায় পরিণত হয়েছে। জাপানের টিভি চ্যানেল এনএইচকে ও এনটিভি সাবানিকে নিয়ে বেশ কিছু অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। সেখানে মডেল হিসেবে যথেষ্ট কেতাদুরস্ত সাবানি।

ইশিকাওয়া বলেন, সাবানি দর্শকদের চোখের দিকে তাকায়। ছবি তোলার সময় সে একেবারে মডেলের ভঙ্গিমায় দাঁড়ায়। সে পাঁচটি গরিলা মিলে একটি দলের প্রধান। দলের সদস্যদের চোখে চোখে রাখতে হয় তাকে।