
রাজনীতি এমন এক মঞ্চ, যেখানে নেতারা আসেন, প্রভাব বিস্তার করেন, আর একদিন সরে দাঁড়ান। কিন্তু কিছু নেতা থাকেন মানুষের স্মৃতিতে, তাঁদের নেতৃত্বের বৈশিষ্ট্যের কারণে। জেসিন্ডা আরডার্ন ঠিক এমন একজন, যিনি নেতৃত্বে এনেছিলেন নতুন এক দৃষ্টিভঙ্গি, যাতে মিশে ছিল সহানুভূতি, সাহস আর মানবিকতা।
২০১৭ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত জেসিন্ডার শাসনকাল শুধু নিউজিল্যান্ড নয়, পুরো বিশ্বরাজনীতির জন্যও এক অনন্য অধ্যায় হিসেবে ইতিহাসে খোদিত হয়েছে।
এখন নিউজিল্যান্ডের সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী তেমন আলোচনায় নেই। আছেন স্বামী ক্লার্ক গেফোর্ড, একমাত্র কন্যা ও লেখাপড়া নিয়ে ব্যস্ততায়; নিজের দেশ নিউজিল্যান্ড ছেড়ে যুক্তরাষ্ট্রে সময় কাটাচ্ছেন। কিন্তু প্রশ্ন থেকে যায়, যদি আড়ালে থাকেন, তাহলে কি আমরা এই মহিয়সীকে ভুলে যাব?
আমরা চাইলেও জেসিন্ডাকে ভুলতে পারব না। কারণ, এ বছরের জুনে প্রকাশিত হয়েছে আরডার্নের স্মৃতিকথা ‘আ ডিফারেন্ট কাইন্ড অব পাওয়ার’। আর এখন সেই বই নিয়েই চলছে আলোচনা, যেখানে তিনি নিজের নেতৃত্ব, চ্যালেঞ্জ ও অভিজ্ঞতার গল্প ব্যক্ত করেছেন।
যেভাবে মানস গড়ে উঠেছিল জেসিন্ডার
নিউজিল্যান্ডের ৪০তম প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরডার্নের জন্ম হ্যামিলটনের ওয়াইকাতোতে, ১৯৮০ সালের ২৬ জুলাই। সেই হিসাবে তাঁর বয়স এখন ৪৫ বছর। পুলিশ বাবার সন্তান, বেড়ে ওঠা চার্চের তত্ত্বাবধানে। মাত্র ১৭ বছর বয়সে তিনি নিউজিল্যান্ড লেবার পার্টিতে যোগ দেন। ইউনিভার্সিটি অব ওয়াইকাতো থেকে লেখাপড়া শেষ করে তখনকার প্রধানমন্ত্রী হেলেন কেলারের দপ্তরে একজন গবেষক হিসেবে যোগ দেন। সারা জীবন এই হেলেন কেলারকেই আদর্শ মেনে এসেছেন জেসিন্ডা।
জেসিন্ডা আরডার্ন ২০০৮ সালে প্রথম এমপি হন পিআর পদ্ধতিতে। তাঁর রাজনীতিতে উত্থানের গল্পটা বেশ চমকপ্রদ। অ্যানেট কিং সরে দাঁড়ালে ২০১৭ সালের ১ মার্চ আরডার্ন সর্বসম্মতভাবে লেবার পার্টির উপপ্রধান নির্বাচিত হন। এর পাঁচ মাস পর আসে সাধারণ নির্বাচন। লেবার পার্টির তখনকার নেতা অ্যান্ড্রিউ লিটলের সরে না দাঁড়ানোর কোনো উপায় ছিল না। কারণ, তাঁর জনপ্রিয়তার পারদ কেবল নিচে নামছিল। আরডার্ন দলের নেতা নির্বাচিত হতেই দলের জনপ্রিয়তা বাড়তে থাকল।
২০১৭ সালের সাধারণ নির্বাচনে জয়ী হয়ে প্রধানমন্ত্রী হলেন এই ‘সোশ্যাল ডেমোক্র্যাট’। তখন তাঁর বয়স মাত্র ৩৭ বছর। বিশ্বের সবচেয়ে কম বয়সী নারী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে রেকর্ড গড়লেন।
সহানুভূতির রাজনীতি
জেসিন্ডার সবচেয়ে বড় শক্তি ছিল তাঁর সহানুভূতিশীল নেতৃত্ব। ২০১৯ সালের ক্রাইস্টচার্চ মসজিদে হামলার পর সারা বিশ্বের চোখ ছিল নিউজিল্যান্ডের দিকে। আক্রমণের শিকার মুসলিম সম্প্রদায়ের পাশে দাঁড়িয়ে, মাথায় ওড়না পরে এবং চোখে অশ্রু ধারণ করে তিনি যে বার্তা দিয়েছিলেন, তা শুধু নিউজিল্যান্ড নয়, পুরো বিশ্ববাসীর হৃদয়ে অমোচনীয় ছাপ রেখেছিল। পার্লামেন্টে তাঁর ভাষণ শুরু হয়েছিল ‘আসসালামু আলাইকুম’ বলে।
নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চ শহরের দুটো মসজিদে এক শ্বেতাঙ্গ হামলাকারীর গুলিতে ৫০ জনের বেশি মুসলিম নিহত হন। নিউজিল্যান্ডের মতো শান্তিপ্রিয় দেশে এমন নৃশংস ঘটনা পুরো বিশ্বকে হতবাক করে দিয়েছিল।
একইভাবে কোভিড-১৯ মহামারির সময় জেসিন্ডা সাধারণ মানুষের সঙ্গে সরাসরি অনলাইনে কথা বলেন। রাতের বেলায় ফেসবুক লাইভে এসে আশ্বাস দেন, উদ্বিগ্ন মানুষের আতঙ্কা দূর করেন। তাঁর এই সহানুভূতিনির্ভর রাজনীতি একটি নতুন ধারা সৃষ্টি করে, যেখানে ক্ষমতা মানে শুধু কঠোরতা নয়, মানবিকতাও সমান জরুরি।
মাত্র ৩৭ বছর বয়সে প্রধানমন্ত্রী হয়ে জেসিন্ডা দেখিয়েছেন, বয়স নেতৃত্বের ক্ষেত্রে কোনো বাধা নয়। দায়িত্ব নেওয়ার এক বছরের মধ্যে মা হয়েও তিনি রাষ্ট্র পরিচালনা করেছেন দক্ষতার সঙ্গে। সংসদে সন্তানকে সঙ্গে আনা, মাতৃত্বকালীন ছুটি নেওয়া—এসব কর্মকাণ্ড রাজনীতিতে নারীদের ভূমিকা নিয়ে প্রচলিত ধারণাকে নতুনভাবে সংজ্ঞায়িত করেছে। তরুণ ও বিশেষ করে নারীদের কাছে তিনি অনুপ্রেরণার এক প্রতীক হয়ে ওঠেন।
অপ্রত্যাশিত এক সিদ্ধান্ত
২০২৩ সালের শুরুতে জেসিন্ডা ঘোষণা দেন, তিনি প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়াচ্ছেন। তাঁর ভাষায়, ‘I know that I no longer have enough in the tank’, অর্থাৎ তিনি আর নিজের ভেতর সেই শক্তি খুঁজে পাচ্ছেন না। এমন সৎ স্বীকারোক্তি আধুনিক রাজনীতিতে বিরল।
অনেকে জেসিন্ডার এ সিদ্ধান্তকে সমালোচনা করলেও অনেকে বলেছেন, এটিই তাঁর নেতৃত্বের স্বকীয়তা। ক্ষমতার জন্য ক্ষমতা নয়, দায়িত্ব পালনের জায়গায় সরে দাঁড়ানোর এই সৎ সাহসই তাঁকে বিশেষ করে তুলে ধরেছে।
যদিও সমালোচকেরা বলেন, তিনি দ্রুত জনপ্রিয়তা হারাচ্ছিলেন, তবু দলকে রক্ষার জন্য নিজেই পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নেন। সে সময় জীবনযাপনের ব্যয় বৃদ্ধি, লকডাউনে নানা বিধিনিষেধ মানুষকে ক্ষুব্ধ করেছিল, এটা সত্যি।
নতুন জীবনের পথচলা
রাজনীতি থেকে সরে দাঁড়ানোর পর জেসিন্ডা যুক্ত হন একাডেমিক ও আন্তর্জাতিক পরিসরে। যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি বিভিন্ন ফেলোশিপে কাজ করছেন এবং নেতৃত্বের নতুন ধারণা নিয়ে গবেষণা করছেন।
পাশাপাশি নিজের প্রতিষ্ঠিত ‘ক্রাইস্টচার্চ কল’-এর মাধ্যমে অনলাইনে ঘৃণাত্মক বক্তব্য প্রতিরোধের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। আর্থশট প্রাইজের ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য হিসেবে তিনি পরিবেশ সুরক্ষায়ও সক্রিয় ভূমিকা রাখছেন।
জেসিন্ডা আরডার্নের স্মৃতিকথা
এবার জেসিন্ডার বই নিয়ে আলোচনা করা যাক। ‘আ ডিফারেন্ট কাইন্ড অব পাওয়ার’ শুধু একটি আত্মজীবনী নয়; এটি একসঙ্গে নেতৃত্বের দর্শন, ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার খোলা জানালা এবং ক্ষমতা ব্যবহারের নতুন এক ব্যাখ্যা। রাজনীতি থেকে অবসরের পর জেসিন্ডা এ বইয়ে নিজের পথচলার গল্প বলেছেন খোলামেলা, সৎ ও মানবিক ভাষায়, যা পাঠককে অন্তর্দৃষ্টি ও অনুপ্রেরণা উভয়ই দেয়।
জেসিন্ডা তাঁর বইয়ে স্পষ্ট করেছেন—রাজনীতি বা ক্ষমতা তাঁর কাছে কখনোই আধিপত্য বিস্তারের মাধ্যম ছিল না। তিনি ক্ষমতাকে দেখেছেন দায়িত্বের জায়গা থেকে। তাঁর মতে, নেতৃত্ব মানে শুধু আদেশ দেওয়া নয়, বরং এটি হলো সবার নিরাপত্তা, সম্মান ও ন্যায্যতার জন্য কাজ করা।
বইয়ে জেসিন্ডা বারবার বলেছেন, সহানুভূতি কখনো দুর্বলতা নয়; এটি একধরনের শক্তি। কোভিড–১৯ মহামারির সময় তিনি নিয়মিত জনগণের সঙ্গে সরাসরি কথা বলেছেন, তাঁদের ভয় কমাতে ও আশ্বাস দিতে চেষ্টা করেছেন। তাঁর ভাষায়, ‘মানুষের পাশে থাকা কখনো কখনো সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত।’
জেসিন্ডা বইতে লিখেছেন, তিনি অনেক সিদ্ধান্ত সফলভাবে নিতে পেরেছেন, তবে অনেক ক্ষেত্রে ব্যর্থতাও এসেছে। বিশেষ করে আবাসনসংকট বা অর্থনৈতিক মন্দা মোকাবিলায় প্রত্যাশিত ফল না আসায় তিনি নিজের দায়িত্ব স্বীকার করেছেন।
জেসিন্ডা প্রধানমন্ত্রী থাকার সময় তাঁর কন্যা নেভ জন্ম নেয়। মাতৃত্ব আর রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব একসঙ্গে সামলানোর অভিজ্ঞতা তিনি বইতে খোলাখুলি বলেছেন। তিনি লিখেছেন, ‘মা হওয়া আমাকে আরও সহানুভূতিশীল করেছে, আবার সময় ব্যবস্থাপনায়ও নতুন চ্যালেঞ্জ শিখিয়েছে।’
জেসিন্ডা বইতে বারবার উল্লেখ করেছেন, নেতৃত্ব মানেই শুধু নীতি প্রণয়ন নয়, জনগণের সঙ্গে কার্যকর যোগাযোগও সমান জরুরি।
বইয়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো মানসিক স্বাস্থ্যের প্রসঙ্গ। জেসিন্ডা বলেছেন, দায়িত্বের চাপ, সমালোচনা আর রাজনৈতিক টানাপোড়েনে মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন নেওয়া অত্যন্ত প্রয়োজন।
ক্রাইস্টচার্চ হামলার পর সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী নিউজিল্যান্ডে কঠোর অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ আইন পাস করান মাত্র কয়েক সপ্তাহের মধ্যে। বিরোধিতা সত্ত্বেও তিনি সাহসী সিদ্ধান্ত নেন। তাঁর ভাষায়, ‘যখন সঠিক কাজটি স্পষ্ট হয়ে যায়, তখন বিলম্বের সুযোগ নেই।’
জেসিন্ডার ব্যক্তিত্বে ছিল একধরনের বিনয়। তিনি বইয়ে লিখেছেন, প্রধানমন্ত্রী হওয়া সত্ত্বেও নিজের ভুল শিখতে তিনি প্রস্তুত ছিলেন সব সময়। এমনকি পারিবারিক জীবনে তিনি সাধারণ জীবন যাপন করেছেন। এতে নেতার মানসিক ভারসাম্য বজায় থাকে।
বইয়ে এই নেতা বলেছেন, নেতৃত্ব শুধু দেশের সীমারেখায় আটকে থাকা উচিত নয়। জলবায়ু পরিবর্তন, অনলাইনে ঘৃণার বিস্তার, শরণার্থী সংকট—এসব বৈশ্বিক সমস্যায়ও নেতাদের দায়িত্ব নিতে হবে। এ কারণেই তিনি ক্রাইস্টচার্চ কল বা আর্থশট প্রাইজের মতো উদ্যোগে যুক্ত আছেন।
জেসিন্ডা বইয়ের শেষ অংশে বলেছেন, ‘আমি চাই, মানুষ আমাকে মনে রাখুক এমন একজন মানুষ হিসেবে, যিনি দেখিয়েছেন—রাজনীতি হতে পারে সহানুভূতির।’
‘আ ডিফারেন্ট কাইন্ড অব পাওয়ার’ বইটি ভবিষ্যৎ নেতাদের জন্য এক অনন্য পাঠ্য। এখানে নেতৃত্বের জাঁকজমক নেই, আছে মানবিকতা; ক্ষমতার অহংকার নেই, আছে দায়িত্ববোধ; অস্বীকার নেই, আছে সৎ স্বীকারোক্তি।
জেসিন্ডা আরডার্ন দেখিয়েছেন, রাজনীতি মানেই কেবল ক্ষমতা দখল নয়; এটি মানুষকে ভালোবাসার, তাদের পাশে দাঁড়ানোর এক সুযোগ। তাঁর এই দৃষ্টিভঙ্গি শুধু নিউজিল্যান্ড নয়, বিশ্বনেতৃত্বের জন্যও এক অনন্য দিকনির্দেশনা হয়ে থাকবে।
বইটি থেকে আমরা যে শিক্ষা নিতে পারি
১. কঠোর সময়েও মানবিক দিকটি হারিয়ে ফেললে নেতৃত্ব শীতল হয়ে যায়। সহানুভূতি মানুষকে কাছে টানে, আস্থা তৈরি করে।
২. ব্যর্থতা স্বীকার করা নেতার দুর্বলতা নয়; বরং এটি সৎ নেতৃত্বের প্রমাণ। এতে জনগণের আস্থা বৃদ্ধি পায়। কারণ, মানুষ জানে—নেতা সত্য গোপন করেন না।
৩. নেতৃত্বে স্বচ্ছতা এবং সরাসরি যোগাযোগ আস্থা তৈরি করে, গুজব ঠেকায়, সিদ্ধান্তকে গ্রহণযোগ্য করে তোলে।
৪. নেতৃত্বের পেছনে একজন মানুষ থাকে, যার বিশ্রাম, মানসিক শক্তি আর ব্যক্তিগত সুস্থতা জরুরি। ভবিষ্যতের নেতাদের জন্য এটি বড় শিক্ষা।
৫. জনপ্রিয়তার জন্য নয়, ন্যায্যতার জন্য সাহসী সিদ্ধান্ত নিতে হয়—এটি নেতৃত্বের মূল পরীক্ষা।
৬. অহংকার নেতৃত্বের ক্ষতি করে; বিনয় নেতা ও জনগণের সম্পর্ককে দৃঢ় করে।
৭. আধুনিক নেতৃত্ব হলো বৈশ্বিক; জাতীয় সীমানা পেরিয়ে বিশ্ব সমস্যার সমাধানেও নেতাদের ভূমিকা জরুরি।
আমরা কি তাঁকে ভুলে যাব
ইতিহাস প্রমাণ করে, যাঁরা নেতৃত্বে নতুন ধারণা, নতুন দিকনির্দেশনা এনে দেন, তাঁরা সহজে ভুলে যান না। জেসিন্ডার শাসনকাল হয়তো সময়ের সঙ্গে রাজনৈতিক আলোচনার বাইরে চলে যাবে, কিন্তু তাঁর নেতৃত্বের ধরন—সহানুভূতি, মানবিকতা আর সাহসের মিশেল—রয়ে যাবে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে এক অনন্য দৃষ্টান্ত হিসেবে।
জেসিন্ডার সিদ্ধান্ত, কাজ ও দর্শন নিয়ে হয়তো সমালোচনা থাকবে। কেউ বলবেন, তিনি অতিরিক্ত আবেগপ্রবণ ছিলেন; কেউ বলবেন, রাজনৈতিক বাস্তবতায় সহানুভূতির সীমাবদ্ধতা আছে। কিন্তু এটাও সত্য, জেসিন্ডা দেখিয়েছেন—ক্ষমতার মঞ্চেও মানবিকতা জায়গা করে নিতে পারে।
জেসিন্ডা আরডার্ন রাজনৈতিক মঞ্চ ছেড়ে দিলেও তাঁর প্রভাব রয়ে গেছে বিশ্বরাজনীতিতে, নেতৃত্বের দর্শনে ও মানুষের হৃদয়ে। তিনি কেবল এক সাবেক প্রধানমন্ত্রী নন, তিনি এমন এক নেতা, যিনি দেখিয়েছেন—সহানুভূতিও একধরনের শক্তি। তাই বলা যায়, তাঁকে সহজে ভুলে যাওয়া সম্ভব নয়। তাঁর নাম থাকবে মানুষের স্মৃতিতে এক নতুন ধরনের নেতৃত্বের প্রতীক হয়ে।
সূত্র: বিবিসি, গার্ডিয়ান ও জেসিন্ডা আরডার্নের বই—‘আ ডিফারেন্ট কাইন্ড অব পাওয়ার’