Thank you for trying Sticky AMP!!

পাকিস্তানে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান নিয়োগ দিতে প্রেসিডেন্ট আলভির ‘তাড়া’, বিরক্ত শাহবাজ

আরিফ আলভি (বাঁয়ে) ও শাহবাজ শরিফ

পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি ও প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের বিরোধ গতকাল শুক্রবার আবারও সামনে এসেছে। আজ শনিবারের মধ্যে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ দিতে শাহবাজকে চিঠি দিয়েছেন পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) নেতা আলভি।

গতকাল সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন শাহবাজ। প্রেসিডেন্ট কেন এ ব্যাপারে তাড়াহুড়া করছেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। তবে শাহবাজ সাংবাদিকদের বলেছেন, আজকে মধ্যেই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধানের নাম চূড়ান্ত করা হবে।

গতকাল শাহবাজ শরিফ ও জাতীয় পরিষদের বিরোধীদলীয় নেতা রাজা রিয়াজকে চিঠি দেন আরিফ আলভি। তাঁদের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধানের নাম প্রস্তাব করতে বলেন। চিঠিতে আলভি মনে করিয়ে দেন, ৯ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের পরামর্শে তিনি জাতীয় পরিষদ বিলুপ্ত ঘোষণা করেছেন।

আলভি লিখেছেন, সংবিধানের ২২৪ অনুচ্ছেদ (১এ) অনুযায়ী, দেশের প্রধানমন্ত্রী এবং জাতীয় পরিষদের বিরোধী দলের নেতার সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ দেবেন প্রেসিডেন্ট।

প্রেসিডেন্ট আরও লিখেছেন, সংবিধানের ২২৪ অনুচ্ছেদের আওতায় জাতীয় পরিষদ ভেঙে দেওয়ার তিন দিনের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী ও বিরোধী দলের নেতাকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধানের নাম প্রস্তাব করতে হয়।

১২ আগস্টের মধ্যে অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রীর নাম প্রস্তাব করতে শাহবাজ ও রিয়াজকে নির্দেশ দেন আলভি।

Also Read: পাকিস্তানের পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ বিলুপ্ত, আসছে অন্তর্বর্তী সরকার

পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে শাহবাজ ওই চিঠি নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন। বলেন, প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তাঁর আরও আট দিন মেয়াদ আছে। শাহবাজের দাবি, সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ দেওয়ার ক্ষেত্রে যে প্রক্রিয়ার কথা বলা আছে, সে সম্পর্কে প্রেসিডেন্টের জানাশোনা নেই।

গতকাল রাতে শাহবাজ বিদায়ী জোট সরকারের নেতাদের সঙ্গে নৈশভোজে অংশ নেন। এরপর বিরোধী দলের নেতার সঙ্গেও আলোচনায় অংশ নেন তিনি। আজ তাঁদের দুজনের আবারও বৈঠক হওয়ার কথা।

Also Read: ইমরানকে কারাগারে রেখেই নির্বাচনের তোড়জোড়

পাঁচ বছরের মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার তিন দিন আগে ৯ আগস্ট রাতে জাতীয় পরিষদ ভেঙে দেন দেশটির প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি। পাকিস্তানের সংবিধানে বলা আছে, মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই যদি জাতীয় পরিষদ ভেঙে দেওয়া হয়, তাহলে ৯০ দিনের মধ্যে সাধারণ নির্বাচন করতে হবে। আর জাতীয় পরিষদ মেয়াদ পূর্ণ করলে ৬০ দিনের মধ্যে সাধারণ নির্বাচন হবে।