
আজারবাইজানের বিমান বিধ্বস্তের ঘটনা নিয়ে চলমান তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত মন্তব্য করা হবে না বলে জানিয়েছে ক্রেমলিন। কয়েকটি গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, রাশিয়ার আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা থেকে ছোড়া একটি ক্ষেপণাস্ত্রে উড়োজাহাজটি বিধ্বস্ত হয়েছে। এরপরই ক্রেমলিন এ মন্তব্য করল।
ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ আজ শুক্রবার সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘তদন্ত চলমান রয়েছে। আমরা মনে করি, তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত এ বিষয়ে আমাদের মন্তব্য করা উচিত নয়।’
গত বুধবার কাজাখস্তানের আকতাউ শহরের কাছে আজারবাইজান এয়ারলাইনসের উড়োজাহাজটি (ফ্লাইট জে২-৮২৪৩) বিধ্বস্ত হয়। এতে ৩৮ জন নিহত হন। উড়োজাহাজটিতে যাত্রী-ক্রু মিলে ৬৭ আরোহী ছিলেন।
এমব্রায়ার-১৯০ নামের যাত্রীবাহী উড়োজাহাজটি আজারবাইজানের রাজধানী বাকু থেকে রাশিয়ার চেচনিয়ায় প্রজাতন্ত্রের গ্রোজনি শহরের উদ্দেশে রওনা করেছিল। একপর্যায়ে উড়োজাহাজটিকে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। এটি কাজাখস্তানের আকতাউ শহর থেকে প্রায় তিন কিলোমিটার দূরের একটি জায়গায় জরুরি অবতরণ করতে বাধ্য হয়। এ সময় উড়োজাহাজটি বিধ্বস্ত হয় বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আজারবাইজানের সরকারপন্থী ওয়েবসাইট ক্যালিবারে কয়েকজন কর্মকর্তাকে উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে, রাশিয়ার প্যান্টসির-এস আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা থেকে ছোড়া একটি ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে উড়োজাহাজটি বিধ্বস্ত হয়েছে।
আজারবাইজান এয়ারলাইনস আজ রাশিয়াগামী সাতটি ফ্লাইট স্থগিত করেছে। ‘ফ্লাইটের নিরাপত্তাঝুঁকির কথা বিবেচনা করে’ এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এর আগে তারা রাশিয়ার গ্রোজনি ও দাগেস্তানের মাখাচকালা শহরগামী ফ্লাইট স্থগিতের ঘোষণা দিয়েছিল। দাগেস্তান চেচনিয়ার প্রতিবেশী একটি প্রজাতন্ত্র।
এদিকে আজারবাইজানের আইনপ্রণেতা রাসিম মুসাবেকভ উড়োজাহাজ বিধ্বস্তের ঘটনায় রাশিয়াকে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি এএফপিকে বলেছেন, ‘দোষীদের শাস্তি দিতে হবে, এটা তাদের (রাশিয়ার) মেনে নেওয়া উচিত। একই সঙ্গে এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি হবে না বলেও প্রতিশ্রুতি দিতে হবে। এমনকি দুঃখ প্রকাশ করতে হবে এবং ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে।’