প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

প্রত্যাশামতো নম্বর পাননি, তাই ছেলের জন্য ঘরের দরজা বন্ধ

মহাবিপদে পড়েছেন চীনের স্কুল পাস করা এক শিক্ষার্থী। স্কুলজীবনে সব ক্লাসে তিনি ভালো নম্বর পেয়েছেন, ছিলেন প্রথম সারির ছাত্র। কিন্তু ‘গাওকাও’ পরীক্ষায় বাবাকে খুশি করার মতো নম্বর তুলতে পারেননি সিয়াওকাই। চীনে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য জাতীয় পর্যায়ে যে পরীক্ষা নেওয়া হয়, সেটিকে ‘গাওকাও’ বলে। এটা খুবই প্রতিযোগিতাপূর্ণ একটি পরীক্ষা। প্রতিবছর জুনে এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।

এই পরীক্ষায় সিয়াওকাই ৭৫০ নম্বরের মধ্যে ৫৭৫ পেয়েছেন। চীনের মানদণ্ডে এটি কিন্তু একেবারেই খারাপ নম্বর নয়, বরং বেশ ভালো নম্বর। কিন্তু সিয়াওকাইয়ের মা-বাবা সন্তুষ্ট নন। তাঁদের আশা ছিল, ছেলে দেশের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ ‘৯৮৫’ প্রকল্পভুক্ত ৩৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ের একটিতে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাবেন। কিন্তু এখন তাঁদের আশঙ্কা, এই নম্বর নিয়ে ছেলে অভিজাত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় ভর্তির সুযোগ পাবেন না।

ছেলে প্রত্যাশা অনুযায়ী নম্বর না পাওয়ার জন্য সিয়াওকাইয়ের মা–বাবা মুঠোফোনকে দায়ী করেছেন। তাঁদের দাবি, মুঠোফোনই সব সর্বনাশের মূলে। দুই বছর আগে ছেলের অনুরোধে তাঁকে ফোন কিনে দিয়েছিলেন তাঁরা। এরপর ছেলে ধীরে ধীরে মুঠোফোনে গেমসে আসক্ত হয়ে পড়েন, পড়াশোনায় মনোযোগ কমে যায়। এমনকি ক্লাস ফাঁকি দিয়েও ফোনে সময় কাটানো শুরু করেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের পর সিয়াওকাইকে আর ঘরে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। বাড়ির প্রধান দরজার তালার পাসওয়ার্ড বদলে ফেলা হয়েছে। এমনকি তাঁকে হাতখরচ দেওয়াও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তাই বাধ্য হয়ে সিয়াওকাই স্থানীয় গণমাধ্যমের দ্বারস্থ হন। তিনি চীনের হুনান প্রদেশের হুয়াইহুয়া শহরের বাসিন্দা।

হুনান টেলিভিশনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সিয়াওকাই বলেন, ‘আমার মা–বাবা স্পষ্ট বলে দিয়েছেন যে আমি যদি ৯৮৫ তালিকাভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ না পাই, তাহলে তাঁরা আমার বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার খরচও দেবেন না।’