Thank you for trying Sticky AMP!!

কোভ্যাক্স উদ্যোগে ১৮৪ দেশ: ডব্লিউএইচও

ডব্লিউএইচওর মহাপরিচালক তেদরোস আধানোম গেব্রেয়াসুস

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মহাপরিচালক তেদরোস আধানোম গেব্রেয়াসুস জানিয়েছেন, কোভ্যাক্স উদ্যোগে এখন পর্যন্ত বিশ্বের ১৮৪টি দেশ যোগ দিয়েছে।

গতকাল সোমবার জেনেভায় এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান ডব্লিউএইচওর মহাপরিচালক তেদরোস আধানোম গেব্রেয়াসুস। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

গেব্রেয়াসুস বলেন, ‘উচ্চ ঝুঁকিতে থাকা জনগোষ্ঠীর নিরাপত্তা, স্বাস্থ্যব্যবস্থা স্থিতিশীল করা ও সত্যিকারের বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের দ্রুততম উপায় হলো ভ্যাকসিনের যথাযথ ভাগাভাগি।’

ডব্লিউএইচওর মহাপরিচালক জানান, কোভ্যাক্স উদ্যোগে সবশেষ যোগ দেওয়া দুটি দেশ হলো ইকুয়েডর ও উরুগুয়ে।

কোভ্যাক্স উদ্যোগের লক্ষ্য ধনী-গরিব দেশনির্বিশেষে করোনার টিকার ন্যায্য বিতরণ নিশ্চিত করা।

কোভ্যাক্স—কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনস গ্লোবাল অ্যাকসেস ফ্যাসিলিটি। কোভ্যাক্স একটি যৌথ আন্তর্জাতিক উদ্যোগ। এ উদ্যোগের যৌথ নেতৃত্বে আছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, দ্য কোয়ালিশন ফর এপিডেমিক প্রিপেয়ার্ডনেস ইনোভেশনস (সিইপআই) ও দ্য ভ্যাকসিন অ্যালায়েন্স (গ্যাভি)।

কোভ্যাক্স উদ্যোগের মাধ্যমে ২০২১ সালের মধ্যে বিশ্বে ২০০ কোটি ডোজ নিরাপদ ও কার্যকর টিকা সরবরাহের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।

কোভ্যাক্স উদ্যোগে আর্থিক ও বৈজ্ঞানিক সম্পদ ব্যবহারের পাশাপাশি ধনী দেশগুলোকে একত্র করে নিম্ন ও মধ্য আয়ের দেশগুলোয় টিকা কর্মসূচি বাস্তবায়নের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।

কোভ্যাক্সের মাধ্যমে নিরাপদ ও কার্যকর অন্তত তিনটি টিকা তৈরি করে উদ্যোগের আওতায় থাকা দেশগুলোকে তা সরবরাহ করার লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। পরীক্ষার পর্যায়ে থাকা নয়টি টিকার ওপর আপাতত নজর রাখছে কোভ্যাক্স।

‘কোভ্যাক্স’ উদ্যোগে চীন আছে। কোভ্যাক্সে এখন পর্যন্ত যুক্ত হওয়া সবচেয়ে বড় অর্থনীতির দেশ চীন।

তবে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া এখন পর্যন্ত এ উদ্যোগে যুক্ত হয়নি।