স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোয় সদ্য সমাপ্ত জলবায়ুবিষয়ক শীর্ষ সম্মেলন কপ ২৬–এ জীবাশ্ম জ্বালানি কয়লার ব্যবহার কমিয়ে আনার আলোচনায় চীন ও ভারতের আচরণ বেশ হতাশাজনক। কপ ২৬–এর প্রেসিডেন্ট ও যুক্তরাজ্যের মন্ত্রী অলোক শর্মা এমন মন্তব্য করেছেন।
যুক্তরাজ্যের সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান গতকাল রোববার এই বিষয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। সংবাদমাধ্যমটিকে অলোক শর্মা বলেন, ‘আমরা কয়লার ব্যবহার বন্ধের পথে ছিলাম। চূড়ান্ত চুক্তিতে এই বিষয়টি যুক্ত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বাদ সেধেছে চীন ও ভারত। দেশ দুটি নিজেদের জলবায়ু ক্ষতিগ্রস্ত দেশ হিসেবে আলোচনায় তুলে ধরেছে। কয়লার ব্যবহার বন্ধে আপত্তি জানিয়েছে।’
অলোক শর্মা আরও বলেন, ‘চীন ও ভারতের এমন আচরণ আমাকে ভীষণ হতাশ করেছে। কেননা জলবায়ু পরিবর্তনের পেছনে অন্যতম বৃহত্তম অর্থনীতি হিসেবে এই দেশ দুটির দায় রয়েছে।’ গার্ডিয়ান–এর প্রতিবেদনে এমনটাই মন্তব্য করেছেন অলোক শর্মা।
খসড়া চুক্তি প্রকাশের পর এই মতবিরোধ প্রকাশ্যে আসে। খসড়া চুক্তিতে কয়লার ব্যবহার পর্যায়ক্রমে বন্ধ বা ‘ফেজ আউট’ করার কথা ছিল। তবে ব্যাপক আলোচনার পর চূড়ান্ত চুক্তিতে কয়লার ব্যবহার ধীরে ধীরে কমানো বা ‘ফেজ ডাউন’ করার ভাষা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। মূলত চীন ও ভারতের পক্ষ থেকে এই পরিবর্তনের আহ্বান জানানো হয়েছিল। এমন পরিবর্তনে অসন্তোষ জানিয়েছে সুইজারল্যান্ডসহ কয়েকটি দেশ ও পরিবেশবাদীরা।
এদিকে গ্লাসগো চুক্তির বিষয়ে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন গতকাল রোববার লন্ডনে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ‘এই চুক্তিতে কয়লাবিদ্যুতের জন্য মৃত্যুঘণ্টা বেজে উঠেছে। প্রথমবারের মতো এই সম্মেলনের চুক্তিতে কয়লার ব্যবহার কমিয়ে আনার বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’