Thank you for trying Sticky AMP!!

‘বসনিয়ার কসাই’ ম্লাদিচের যাবজ্জীবন সাজা বহাল

সাবেক সার্ব বাহিনীর প্রধান রাতকো ম্লাদিচ

গণহত্যার দায়ে বসনিয়ার সাবেক সার্ব বাহিনীর প্রধান রাতকো ম্লাদিচের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ বহাল রেখেছেন জাতিসংঘের একটি বিশেষ ট্রাইব্যুনাল। আজ মঙ্গলবার ট্রাইব্যুনালের পাঁচ বিচারক এই চূড়ান্ত রায় ঘোষণা করেন। এর ফলে ‘বসনিয়ার কসাই’ রাতকো ম্লাদিচ আর আপিল করতে পারবেন না। তাঁকে আজীবন কারাগারেই কাটাতে হবে।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে। জাতিসংঘের ইন্টারন্যাশনাল রেসিডুয়্যাল মেকানিজম ফর ক্রিমিনাল ট্রাইব্যুনালে শুনানি শেষে আজ ম্লাদিচের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বহাল রেখে রায় দেন। এই আদালত নেদারল্যান্ডসের হেগ শহরে অবস্থিত।
বসনিয়ায় ১৯৯২ থেকে ১৯৯৫ সালের যুদ্ধে গণহত্যা চালানোর মূল হোতা ছিলেন রাতকো ম্লাদিচ। বসনিয়ায় গণহত্যা চালানোর জন্য ২০১৭ সালে জাতিসংঘের যুদ্ধাপরাধবিষয়ক একটি ট্রাইব্যুনাল ম্লাদিচকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। কিন্তু ২০১৭ সালের রায়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে আপিল করেন ম্লাদিচের আইনজীবীরা। আপিল আবেদনে তাঁরা যুক্তি দেখান, তাঁর অধীনে কর্মরত সার্ব সেনাদের অপরাধের দায় সাবেক এই জেনারেলের ওপর বর্তায় না। তাঁরা নতুন করে বিচার শুরুর আবেদন জানান। তাঁরা দাবি করেন, ন্যায়বিচার পেলে রাতকো খালাস পাবেন।
কিন্তু জাতিসংঘের ইন্টারন্যাশনাল রেসিডুয়্যাল মেকানিজম ফর ক্রিমিনাল ট্রাইব্যুনালেও ম্লাদিচের আগের সাজা বহাল রইল। এই রায়ের মাধ্যমে ২৬ বছর আগের স্রেব্রেনিৎসা হত্যাযজ্ঞের বিচারকাজেরও সমাপ্তি হতে চলেছে।
বসনিয়ার স্রেব্রেনিৎসায় সার্ব বাহিনী আট হাজারে বেশি মুসলিম নারী-পুরুষ ও শিশুদের হত্যা করে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপের মাটিতে এটাই সবচেয়ে বড় হত্যাযজ্ঞের ঘটনা।
১৯৯৫ সালে বসনিয়ার মুসলিমদের ওপর গণহত্যা চালানোর অভিযোগ ওঠার পর থেকে পালিয়ে ছিলেন রাতকো ম্লাদিচ। তবে ২০১১ সালের মে মাসে সার্বিয়ার উত্তরাঞ্চল থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।