Thank you for trying Sticky AMP!!

মেয়ের নাম বদলাতে বাবা-মাকে আদালতের আদেশ!

মেয়ের বয়স হয়েছে মোটে দেড় বছর। বাবা-মা তার নাম রেখেছেন ব্লু । কিন্তু বাদ সেধেছেন আদালত। এক আদেশে আদালত মেয়েটির বাবা-মাকে বলেছেন, বদলাতে হবে সন্তানের নাম। আর তাঁরা যদি বদলাতে না পারেন, তবে আদালতই মেয়েটির নতুন নাম দেবে!

এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, ইতালির মিলানে এ ঘটনা ঘটেছে। সম্প্রতি ওই মেয়ের বাবা-মার কাছে সমন পাঠিয়েছেন আদালত। চলতি সপ্তাহেই তাঁদের আদালতে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে মেয়ের জন্য অন্য নাম পছন্দ করার জন্যও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আদালতের সমনে বলা হয়েছে, মেয়েটির নাম রাখা হয়েছে ব্লু । এই আধুনিক নামটির অর্থ নীল। কিন্তু এই নামটি কোনো লিঙ্গ নির্দেশ করে না। শিশুটির জন্মসনদের জন্য আরেকটি নাম বেছে নিতে হবে। শুনানি চলাকালেই মেয়েটির বাবা-মা নতুন নামের প্রস্তাব দিতে পারেন। এ ক্ষেত্রে নারী পরিচয় নির্দেশ করে এমন নাম প্রস্তাব করতে হবে।

ইতালির স্থানীয় সংবাদপত্রে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মেয়েটির বাবা বলেছেন, যদি তাঁরা নির্ধারিত দিনে আদালতে হাজিরা না দেন, তবে একজন বিচারক তাঁদের মেয়ের নতুন নাম ঠিক করবেন। তবে আদালতের আপত্তির আগেই জন্মসনদ ও পাসপোর্টে মেয়েটির নাম উঠেছে ব্লু ।

সংবাদমাধ্যম দ্য লোকাল-এর খবরে বলা হয়েছে, ইতালির প্রেসিডেন্টের এক ডিক্রির ভিত্তিতে আদালত ওই মেয়ের নামের বিষয়ে আপত্তি তোলেন। গত ২০০০ সালে ওই ডিক্রি দেওয়া হয়েছিল। তাতে বলা হয়েছিল, কোনো শিশুর এমন নাম দিতে হবে, যার মাধ্যমে শিশুর লিঙ্গ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়।

আদালতের এই আদেশকে চ্যালেঞ্জ করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন ব্লুর বাবা-মা। দ্য লোকাল-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৬ সালে ইতালিতে ছয়টি কন্যাশিশুর নাম রাখা হয়েছে ব্লু । ২০১৫ সালে এই সংখ্যা ছিল পাঁচ। দেশটির জাতীয় পরিসংখ্যান কার্যালয় এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। এখন আদালতের আদেশ পাওয়া দম্পতি এই উদাহরণকে সামনে এনে আদালতকে চ্যালেঞ্জ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

তবে এমন ঘটনা এটিই প্রথম নয়। মেয়ের নাম লিয়াম রাখায় গত মার্চ মাসে আদালতের আপত্তির মুখোমুখি হয়েছিলেন এক ফরাসি দম্পতি। ফ্রান্সের আদালত তখন বলেছিলেন, ঐতিহ্যগতভাবে লিয়াম ছেলেদের নাম। এতে করে ‘লিঙ্গগত বিভ্রান্তি’ সৃষ্টি হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন আদালত।

এ ছাড়া ২০১৫ সালে ফ্রান্সের আদালত আরেক কন্যাশিশুর নামকরণ আটকে দিয়েছিলেন। পরে বাবা-মার দেওয়া নাম বদলে দেন আদালত। এক বিচারক কন্যাশিশুটির নাম রাখেন এলা।