Thank you for trying Sticky AMP!!

যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক

অভিবাসনপ্রত্যাশীদের রুয়ান্ডায় পাঠাতে যুক্তরাজ্যে বিল পাস, শিগগিরই ফ্লাইট শুরু

যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টে প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক প্রস্তাবিত রুয়ান্ডা বিল পাস হয়েছে। বিরোধী দলগুলোর আপত্তির মুখে পাঁচ মাস ধরে ঝুলে থাকার পর গতকাল সোমবার রাতে এটি পাস হয়েছে। এখন শুধু এটি আইনে পরিণত হওয়ার অপেক্ষা।

ইংলিশ চ্যানেল হয়ে নৌকায় যাঁরা অবৈধভাবে যুক্তরাজ্যে যাচ্ছেন, তাঁদের মধ্য থেকে কিছুসংখ্যক অভিবাসনপ্রত্যাশীকে আফ্রিকার দেশ রুয়ান্ডায় পাঠানোর পরিকল্পনা করে ব্রিটিশ সরকার। ২০২২ সালের এপ্রিলে রুয়ান্ডার সঙ্গে যুক্তরাজ্য সরকারের পাঁচ বছর মেয়াদি একটি চুক্তি হয়।

চুক্তির আওতায় পাঁচ বছরে যুক্তরাজ্যে আসা অভিবাসনপ্রত্যাশীদের জায়গা দেবে রুয়ান্ডা। বিনিময়ে রুয়ান্ডাকে অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য সহায়তা দেওয়ার ব্যাপারে সম্মত হয় ব্রিটিশ সরকার। পাশাপাশি অভিবাসনপ্রত্যাশীদের পুনর্বাসন বাবদ বাড়তি অর্থ পরিশোধের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে যুক্তরাজ্য।

২০২২ সালের জুনে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের নিয়ে প্রথম ফ্লাইটটি রওনা করার কথা থাকলেও শেষ মুহূর্তে ইউরোপীয় মানবাধিকার আদালতের এক আদেশে তা বাতিল হয়ে যায়।

পরের বছরের নভেম্বরে এ ধরনের পরিকল্পনাকে অবৈধ ঘোষণা করে যুক্তরাজ্যের সুপ্রিম কোর্ট, তবে ঋষি সুনাক চেষ্টা চালিয়ে যেতে থাকেন।

ব্রিটিশ পার্লামেন্টে রুয়ান্ডা বিল উত্থাপনের পর এ নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা করে বিরোধী দলগুলো। এ নিয়ে অনেক দিন ধরে পার্লামেন্টে তর্ক-বিতর্ক চলার পর গতকাল সোমবার রাতে বিরোধী দলের আইনপ্রণেতারা তাঁদের আপত্তি প্রত্যাহার করে নেন।

গতকাল সোমবার পাস হওয়া বিলটিতে রুয়ান্ডাকে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের জন্য নিরাপদ দেশ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।

সুনাক বলেন, ১০ থেকে ১২ সপ্তাহের মধ্যে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের নিয়ে ফ্লাইটগুলো রুয়ান্ডার উদ্দেশে রওনা করবে।

তবে এই সময়ে আদৌ পাঠানো যাবে কি না, তা নিয়ে এখনো অনিশ্চয়তা থেকে গেছে। কারণ, এ নিয়ে আদালতের পক্ষ থেকে বাধা আসতে পারে। আবার অভিবাসনপ্রত্যাশীদের পাঠাতে উড়োজাহাজের ব্যবস্থা করতেও সময় লাগতে পারে।

যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জেমস ক্লেভারলি মনে করেন, অভিবাসনপ্রত্যাশীদের নৌকায় আসা বন্ধ করতে এই বিল পাস হওয়াটা যুগান্তকারী মুহূর্ত।

Also Read: ছোট নৌকায় করে যুক্তরাজ্যে অবৈধ অভিবাসী যাওয়া ৩৬% কমেছে

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে একটি ভিডিওতে ক্লেভারলি বলেন, ‘আমি প্রথম ফ্লাইটের পথ পরিষ্কার করতে যা যা প্রয়োজন, তা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম। সেটাই আমরা করেছি। এখন ফ্লাইটগুলো যেন রওনা করতে পারে, তা নিশ্চিত করার জন্য কাজ করে যাচ্ছি।’

শুধু বিরোধী দলগুলোই যে যুক্তরাজ্যের সরকারের রুয়ান্ডা পরিকল্পনার বিরুদ্ধে আপত্তি জানিয়েছে, তা নয়। মানবাধিকার সংগঠনগুলো বলছে, এই পরিকল্পনা আইনের শাসনের প্রতি উল্লেখজনক হুমকি তৈরি করছে।

ইতিমধ্যে চুক্তির আওতায় রুয়ান্ডার অর্থনৈতিক উন্নয়নে ২২ কোটি পাউন্ড পরিমাণ অর্থ পরিশোধ করেছে যুক্তরাজ্য। এ ছাড়া বছরে ৫ কোটি পাউন্ড করে আগামী ৩ বছরে অতিরিক্ত ১৫ কোটি পাউন্ড পরিশোধের কথা আছে।