জার্মানির চ্যান্সেলর নির্বাচিত হয়েছেন রক্ষণশীল নেতা ফ্রিডরিখ মের্ৎস। মঙ্গলবার দেশটির পার্লামেন্টে দ্বিতীয় দফার ভোটাভুটিতে ৩২৫ ভোট পেয়ে দেশটির ১০ম চ্যান্সেলর হলেন তিনি। এর আগে প্রথম দফার ভোটে সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোট পেতে ব্যর্থ হন মের্ৎস। এ কারণে দ্বিতীয় দফায় ভোটের আয়োজন করা হয়।
নির্বাচনে ৬৩০টি ভোটের মধ্যে জয়ের জন্য ফ্রিডরিখ মের্ৎসের দরকার ছিলো ৩১৬ ভোট। প্রথম দফায় ৩১০ ভোট পেয়েছিলেন তিনি।
গত ফেব্রুয়ারিতে জার্মানিতে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে ফ্রিডরিখ মের্ৎসের ক্রিশ্চিয়ান ডেমোক্রেটিক ইউনিয়ন (সিডিইউ) ও ক্রিশ্চিয়ান সোশ্যাল ইউনিয়ন (সিএসইউ) ২৮ দশমিক ৫ শতাংশ ভোট পায়। ক্ষমতায় আসতে সামাজিক গণতান্ত্রিক দলের (এসপিডি) সঙ্গে জোট করে তারা।
তাদের চুক্তিতে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি পুনরুজ্জীবিত করার জন্য করপোরেট কর হ্রাস ও জ্বালানির মূল্য কমানোর মতো পরিকল্পনা তুলে ধরা হয়। এ ছাড়া রাশিয়ার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে লড়াই করা ইউক্রেনকে সমর্থনের প্রতিশ্রুতি এবং সামরিক খাতে ব্যয় বৃদ্ধির কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
নতুন চ্যান্সেলরের দায়িত্বের তালিকায় ট্রাম্প প্রশাসনের আগ্রাসী বাণিজ্য নীতির মোকাবিলা, পাশাপাশি দেশে উদীয়মান কট্টর-ডানপন্থী ও অভিবাসনবিরোধী দলের উত্থানের মতো অভ্যন্তরীণ ইস্যুগুলো সামনে থাকবে।
২৭টি দেশের ইউরোপীয় ইউনিয়নের সবচেয়ে জনবহুল দেশ জার্মানি। এটি ইউরোপের বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ। কূটনৈতিক অঙ্গনেও একটি প্রভাবশালী দেশ হিসেবে বিবেচিত।
জার্মানির নতুন চ্যান্সেলর হিসেবে বুধবার ফ্রান্স ও পোল্যান্ড সফর করার কথা রয়েছে মের্ৎসের। কিন্তু পার্লামেন্টে প্রথম দফা ভোটে ব্যর্থ হওয়ায় তাঁর সফর অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়ে গিয়েছিল।