ইথেল ক্যাটেরহ্যাম। বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে প্রবীণ মানুষ তিনি। আজ বৃহস্পতিবার যুক্তরাজ্যের এই নারীর ১১৬তম জন্মদিন। এদিন নিজ পরিবারের সঙ্গে সাদামাটাভাবে জন্মদিন উদ্যাপন করেছেন তিনি। জন্মদিন উপলক্ষে ইথেল জানিয়েছেন, তাঁর দীর্ঘ জীবনের রহস্য।
ইথেলের আগে বিশ্বের সবচেয়ে প্রবীণ মানুষ ছিলেন ব্রাজিলের নান ইনাহ ক্যানাবারো লুকাস। গত এপ্রিলে ১১৬ বছর বয়সে মৃত্যু হয় তাঁর। তারপর সবচেয়ে বয়স্ক মানুষের খেতাব পান ইথেল ক্যাটেরহ্যান। গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের হিসাবে, এখন পর্যন্ত সবচেয়ে দীর্ঘজীবী মানুষ ছিলেন ফরাসি নারী জেন ক্যালমেন্ট। ১৯৯৭ সালে মৃত্যুর সময় তাঁর বয়স হয়েছিল ১২২ বছর ১৬৪ দিন।
ইথেলের জন্ম দক্ষিণ–পশ্চিম ইংল্যান্ডের শিপটন বেলিংগার গ্রামে—১৯০৯ সালের ২১ আগস্ট, প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শুরুর পাঁচ বছর আগে। ব্রাজিলের ক্যানাবারো লুকাসের মৃত্যুর পর ইথেলকে সবচেয়ে বয়স্ক মানুষ হিসেবে ঘোষণা করে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বয়সবৃদ্ধি–সংক্রান্ত গবেষণাপ্রতিষ্ঠান জেরন্টোলজিক্যাল রিসার্চ গ্রুপ (জিআরসি) ও লনজেভিকুয়েস্ট ডাটাবেস।
ইথেল এখন থাকেন লন্ডনের দক্ষিণে সারে এলাকার একটি বৃদ্ধাশ্রমে। জন্মদিন উপলক্ষে তিনি কোনো সাক্ষাৎকার দেবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছে বৃদ্ধাশ্রমটি। তাদের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এ বছর ইথেল যখন তাঁর ১১৬তম জন্মদিন উদ্যাপন করছেন, তখন হৃদয়স্পর্শী সব বার্তা পেয়েছেন এবং তাঁকে নিয়ে মানুষ যে আগ্রহ দেখিয়েছে, সে জন্য খুবই কৃতজ্ঞ ইথেল ও তাঁর পরিবার।
ইথেল যুক্তরাজ্যের রাজা এডওয়ার্ড সপ্তমের শাসনামলে জীবিত থাকা সর্বশেষ ব্যক্তি। গত বছর ১১৫তম জন্মদিন উদ্যাপনের সময় ‘অসাধারণ মাইলফলক’ অর্জনের জন্য তাঁকে অভিনন্দন জানিয়ে একটি চিঠি দিয়েছিলেন রাজা তৃতীয় চার্লস। এবারের জন্মদিনের আগে নিজের দীর্ঘ জীবনের ‘গোপন রহস্য’ জানিয়েছেন ইথেল। তিনি বলেন, ‘কখনো কারও সঙ্গে বিতণ্ডা নয়। আমি মানুষের কথা শুনি এবং যা পছন্দ তা করি।’