Thank you for trying Sticky AMP!!

লেপার্ড–২ ট্যাংক পাঠাতে পোল্যান্ডকে বাধা দেবে না জার্মানি

জার্মানির তৈরি লেপার্ড। দেশটির কাছে এ ধরনের উন্নত ট্যাংক চাইছে ইউক্রেন

জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনালিনা বায়েরবোক গতকাল রোববার বলেছেন, যুদ্ধে সহায়তার জন্য পোল্যান্ড লেপার্ড–২ ট্যাংক ইউক্রেনে পাঠাতে চাইলেও তাঁর সরকার বাধা দেবে না। খবর রয়টার্সের।

ইউক্রেনের কর্মকর্তারা কয়েক মাস ধরে জার্মানির তৈরি লেপার্ড–২ ট্যাংক সরবরাহ করতে পশ্চিমা মিত্রদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছেন। তবে বার্লিন তাতে সাড়া দেয়নি। ন্যাটোর অন্য কোনো সদস্য দেশকেও সেটি করার অনুমতি দেয়নি।

লেপার্ড-২ ট্যাংক হলো বিশ্বের অন্যতম প্রথম সারির যুদ্ধট্যাংক। জার্মানির সেনাবাহিনী এবং অনেক ইউরোপীয় দেশের সামরিক বাহিনী এ ট্যাংক ব্যবহার করে। ইউরোপীয় নয়—এমন দেশগুলোর মধ্য কানাডা ও ইন্দোনেশিয়া এই ট্যাংক ব্যবহার করে। আফগানিস্তান, কসোভো ও সিরিয়ার সংঘাতে ডিজেল ইঞ্জিনচালিত এ যুদ্ধট্যাংকের ব্যবহার দেখেছে বিশ্ববাসী।

Also Read: লেপার্ড–২ ট্যাংক কী, এটা কীভাবে ইউক্রেনকে সহায়তা করতে পারে

জার্মানির অনুমোদন ছাড়া পোল্যান্ড যদি ইউক্রেনে লেপার্ড–২ ট্যাংক পাঠায় তাহলে কী হবে, এমন প্রশ্নের উত্তরে আনালিনা বায়েরবোক ফ্রান্সের এলসিআই টিভিকে বলেন, ‘আপাতত এ ব্যাপারে আমাদের কাছে কিছু জানতে চাওয়া হয়নি। তবে জানতে চাইলে আমরা বাধা দেব না।’

গতকাল প্যারিসে এক সম্মেলনে জার্মানির চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎজ বলেন, যুক্তরাষ্ট্রসহ মিত্রদের সঙ্গে সমন্বয় করে অস্ত্র সরবরাহের ব্যাপারে সব সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

ইউক্রেনে লেপার্ড–২ সরবরাহের জন্য চাপের মধ্যে রয়েছে জার্মানি। তবে শলৎজের সোশ্যাল ডেমোক্র্যাট দল প্রথাগত কারণেই সামরিক অন্তর্ভুক্তি চায় না। এ ছাড়া মস্কো এর কী প্রতিক্রিয়া দেখাতে পারে, তা নিয়েও ভাবনায় রয়েছে দলটি।

জার্মানির প্রতিরক্ষামন্ত্রী বরিস পিসটোরিয়াস গতকাল বলেছেন, ট্যাংক নিয়ে শিগগিরই সিদ্ধান্ত আসবে বলে তিনি আশা করছেন। কিয়েভ সফররত সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের সঙ্গে গতকাল সাক্ষাতের সময় ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ট্যাংক পেতে আবারও আহ্বান জানিয়েছেন। নিজের ওয়েবসাইটে দেওয়া এক বিবৃতিতে জেলেনস্কি বলেন, ‘আমাদের আরও অস্ত্র প্রয়োজন—ট্যাংক, উড়োজাহাজ, দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র।’

এসব অস্ত্র পেলে রাশিয়ার দখলে থাকা অঞ্চলগুলোর পুনর্দখল নিতে পারবে বলছে ইউক্রেন। প্যারিসে সম্মেলনের পরে শলৎজ সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘পশ্চিমা মিত্রদের সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে এখন পর্যন্ত ইউক্রেনে সব অস্ত্র সরবরাহ করা হয়েছে। ভবিষ্যতেও তাই করা হবে।’

একই সংবাদ সম্মেলনে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাঁখো বলেন, তিনি ইউক্রেনে লেক্লার্ক ট্যাংক পাঠানোর সম্ভাবনা উড়িয়ে দেননি। জার্মানি ও অন্যান্য মিত্র দেশের সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে এই পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলেন তিনি।

জার্মানির সূত্র রয়টার্সকে বলেছে, যুক্তরাষ্ট্র নিজেদের ট্যাংক ইউক্রেনে পাঠাতে রাজি হলে জার্মানি ট্যাংক পাঠানোর অনুমতি দেবে। তবে মার্কিন কর্মকর্তারা বলেছেন, দেশটির প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন এমওয়ান আব্রামসসহ নিজেদের ট্যাংক পাঠাতে প্রস্তুত নয়।

ক্রেমলিন মুখপাত্র গত শুক্রবার বলেছেন, পশ্চিমা দেশগুলো অতিরিক্ত ট্যাংক পাঠালে ইউক্রেনের পরিস্থিতির উন্নতি হবে না। বরং ইউক্রেনের মানুষের জন্য এটি নতুন সমস্যা তৈরি করবে।