মেরু ভালুক সেজে নরওয়ের পোলারনাইট ম্যারাথনে দৌড়াচ্ছেন গিল পুন্ট
মেরু ভালুক সেজে নরওয়ের পোলারনাইট ম্যারাথনে দৌড়াচ্ছেন গিল পুন্ট

বিচিত্র

মেরু ভালুকের পোশাক পরে রাতে ম্যারাথন

ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে ৫৬ বছর বয়সে মারা গেছেন বাবা। বাবার অকালমৃত্যুর শোককে শক্তিতে পরিণত করে ম্যারাথন দৌড়ান গিল পুন্ট। বিভিন্ন দেশে ম্যারাথন দৌড়ে অংশ নিয়ে ক্যানসার গবেষণার জন্য অর্থ সংগ্রহ করেন তিনি।

নরওয়েতে এমন একটি ম্যারাথনে অংশ নিয়ে যুক্তরাজ্যের এই নারী গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে নাম লিখিয়েছেন। যদিও ম্যারাথন দৌড়ে অংশ নিয়ে রেকর্ড গড়া তাঁর জন্য নতুন কিছু নয়। এর আগেও তিনি একাধিক রেকর্ডের মালিক হয়েছেন।

এসেক্সের বাসিন্দা ৫৪ বছর বয়সী পুন্ট পেশায় একজন স্কুলশিক্ষক। এ মাসের শুরুতে তিনি নরওয়ের পোলারনাইট ম্যারাথনে অংশ নেন। নরওয়ের ট্রমসা শহরে এই ম্যারাথন অনুষ্ঠিত হয়। ম্যারাথনে অংশগ্রহণকারীদের বরফ জমা ঠান্ডার (মাইনাস ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি তাপমাত্রায়) মধ্যে অন্ধকার পাহাড়ি পথে দৌড়াতে হয়।

যদিও এবার পুন্টের নাম নতুন করে গিনেস রেকর্ডস বইয়ে লিখতে হয়েছে একেবারে ভিন্ন একটি কারণে। পোলারনাইট ম্যারাথনে পুন্ট সাধারণ কোনো পোশাক পরে অংশ নেননি। তিনি মেরু ভালুক সেজে ওই ম্যারাথনে অংশ নেন।

মেরু ভালুকের পোশাকে সেজে পুন্ট দৌড় শেষ করার পর জানা যায়, কোনো স্তন্যপায়ী প্রাণীর পোশাকে সেজে আইস ম্যারাথনে অংশ নিয়ে সবচেয়ে দ্রুত দৌড় শেষ করা নারী এখন তিনি।

রেকর্ড গড়ার পাশাপাশি পুন্ট এই ম্যারাথন থেকে ২৫ হাজার ৬২৮ মার্কিন ডলার সংগ্রহ করেছেন। এই অর্থ তিনি যুক্তরাজ্যের ক্যানসার গবেষণা কেন্দ্রে দান করবেন।

পুন্ট এখন পর্যন্ত সংস্থাটির জন্য ২৩ লাখ ৯০ মার্কিন ডলার অর্থ সংগ্রহ করেছে। ১৯৯৯ সালে পিত্তনালির ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে মারা যান পুন্টের বাবা। তার পর থেকে তিনি ক্যানসার গবেষণার জন্য ম্যারাথন দৌড়ে অর্থ সংগ্রহ করেন।

গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস কর্তৃপক্ষকে পুন্ট বলেন, ‘ক্যানসারের কারণে অল্প বয়সেই আমি বাবাকে হারিয়েছি এবং এই দুঃখজনক ঘটনার পর আমি সিআরইউকের জন্য তহবিল সংগ্রহ করা শুরু করি। এ কারণে সিআরইউকের গুরুত্বপূর্ণ এই কাজে সহায়তা করতে আমি আমার সাধ্যমতো কাজ করে যাব।’