
রাশিয়া তাদের ইয়ার্স আন্তমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রব্যবস্থার (আইসিবিএম) মহড়া শুরু করেছে। এ মহড়ায় অংশ নিয়েছে দেশটির কয়েক হাজার সৈন্য। পশ্চিমা সামরিক বিশ্লেষকেরা বলছেন, ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে পশ্চিমা দেশগুলোর অব্যাহত চাপের মুখে পারমাণবিক অস্ত্র নিয়ে মস্কোর তৎপরতার অংশ এই মহড়া।
আন্তমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রব্যবস্থার মহড়া চালানোর বিষয়টি আজ বুধবার টেলিগ্রামে দেওয়া এক বিবৃতির মাধ্যমে জানায় রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। তাতে বলা হয়, প্রায় ৩০০টি সামরিক সরঞ্জাম এবং সশস্ত্র বাহিনীর বিভিন্ন ইউনিটের মোট তিন হাজারের বেশি সদস্য বুধবারের এই সামরিক মহড়ায় অংশ নেন।
রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় আরও জানায়, রাশিয়ার তিনটি অঞ্চলে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের সমন্বয়ে ইয়ার্স আন্তমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্রব্যবস্থার মহড়া চালানো হয়। তবে কোন তিন অঞ্চলে মহড়া চালানো হয়েছে, এ বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে কিছু জানানো হয়নি।
রাশিয়ার ইয়ার্স আন্তমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রব্যবস্থা নিয়ে প্রকাশ্যে তেমন কিছু জানা যায় না। তবে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই ক্ষেপণাস্ত্রব্যবস্থা ১২ হাজার মাইল দূরে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম। এ ছাড়া এটি একসঙ্গে একাধিক পারমাণবিক অস্ত্র বহন করতে পারে।
সামরিক বিষয় নিয়ে লেখালেখি করেন, এমন অনেকের মতে, ইয়ার্স ক্ষেপণাস্ত্রব্যবস্থার মাধ্যমে একাধিক পারমাণবিক অস্ত্র দিয়ে পৃথক পৃথক লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানা যায়। এই ক্ষেপণাস্ত্রব্যবস্থা বিশেষ সামরিক যান থেকে অথবা ভূগর্ভস্থ কোনো জায়গায় মোতায়েন করা অবস্থা থেকেও ছোড়া যায়।
গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ শুরুর পর থেকে রাশিয়া অনেকগুলো সামরিক মহড়া চালিয়েছে। এর মধ্যে কিছু মহড়া রাশিয়ার সামরিক বাহিনী একাই চালিয়েছে। আবার চীন ও দক্ষিণ আফ্রিকার সামরিক বাহিনীকে সঙ্গে নিয়ে বিভিন্ন সময়ে যৌথ মহড়াও চালিয়েছে রাশিয়ার সশস্ত্র বাহিনী।