ফ্রান্সে এক ব্যক্তি বছরখানেক আগে একটি বাগান কিনেছিলেন। সুইমিংপুল বানাতে চলতি বছরের শুরুর দিকে ওই বাগানে মাটি খোঁড়া শুরু হয়। তখন মে মাস, মাটি খুঁড়তে গিয়ে মাটির নিচে পলিব্যাগে খুব ভালোভাবে মোড়ানো অবস্থায় কিছু জিনিস খুঁজে পাওয়া যায়।
পলিব্যাগ খুলে ভেতরে ওই ব্যক্তি যে জিনিস খুঁজে পান, তার জন্য তিনি মোটেও প্রস্তুত ছিলেন না।
স্থানীয় একটি পত্রিকার খবর অনুযায়ী, মাটির নিচে পাওয়া ওই পলিব্যাগ থেকে একে একে বেরিয়ে আসে পাঁচটি সোনার বার এবং অনেকগুলো পয়সা। দেখে খানিকটা হতচকিত হয়ে গেলেও সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে খুব একটা দেরি করেননি ন্যুভিল সুর সোঁ শহরের ওই বাসিন্দা। বাগানের ভেতর খুঁজে পাওয়া গুপ্তধন নিয়ে তিনি টাউন হলে ছোটেন। শহরটি লিয়ঁ শহরের কাছাকাছি।
গত বুধবার শহরের কাউন্সিলর বলেছেন, যেহেতু ওই সোনাগুলো প্রত্নতাত্ত্বিক স্থান থেকে নয়, বরং ব্যক্তিমালিকানাধীন জায়গা থেকে উদ্ধার হয়েছে, তাই এগুলোর সম্পূর্ণ মালিকানা বাগানমালিকের। তাই ওই ব্যক্তি পুরো গুপ্তধন নিজের কাছে রেখে দিতে পারবেন।
সোনান বারগুলো চোরাই কি না, পুলিশ তা–ও পরীক্ষা করে দেখেছে। পরীক্ষায় দেখা গেছে যে সোনার বারগুলো বৈধভাবে কেনা। ১৫ থেকে ২০ বছর আগে কাছের একটি সোনা পরিশোধনাগারে সোনা গলিয়ে বারগুলো তৈরি করা হয়েছে।
প্রতিটি সোনার বারের গায়ে খোদাই করা আলাদা আলাদা নম্বর থেকে পুলিশ এসব তথ্য খুঁজে বের করেছে।
ফ্রান্সে ১৯ শতকের ‘সিভিল কোড’ অনুযায়ী, যদি কোনো সম্পদ (গুপ্তধন) লুকানো অবস্থায় বা মাটির নিচে খুঁজে পাওয়া যায়, যদি হঠাৎ করেই সেগুলো আবিষ্কৃত হয় এবং অন্য কেউ যদি তাঁর মালিকানা প্রমাণ করতে না পারেন, তবে আইন অনুযায়ী যেখানে ওই সম্পদ খুঁজে পাওয়া গেছে, ওই জায়গার যিনি মালিক, তিনিই ওই সম্পদ পাবেন।
টাউন হল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, ওই বাগানের আগের মালিক মারা গেছেন। কীভাবে ওই সোনার বারগুলো বাগানের মাটির নিচে পৌঁছেছে, সে রহস্যের কিনারা এখনো হয়নি।
বর্তমান সৌভাগ্যবান বাগানমালিক নিজের নাম প্রকাশ করতে চান না। এই বাগান কেনা যে তাঁর জীবনের সেরা সিদ্ধান্ত ছিল, সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই।
আমেরিকান হার্টফোর্ড গোল্ডের তথ্যানুযায়ী বৃহস্পতিবারের বাজার দর অনুযায়ী ওই সোনার দাম প্রায় আট লাখ ডলার।