Thank you for trying Sticky AMP!!

টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষে ‘নেকলেস’

টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষে একটি নেকলেসের সন্ধান পাওয়া গেছে।

১০০ বছরের বেশি সময় ধরে আটলান্টিকের তলদেশে পড়ে আছে টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ।

গভীর সমুদ্র ম্যাপিং কোম্পানি ম্যাগেলান টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষে এ গয়নার ছবি ধারণ করেছে। গয়নাটি প্রাক্‌-ঐতিহাসিক যুগের মেগালোডন হাঙরের দাঁত দিয়ে তৈরি।

ত্রিমাত্রিক স্ক্যানের মাধ্যমে প্রথমবারের মতো টাইটানিকের পুরো ধ্বংসাবশেষের চিত্র তৈরির অংশ হিসেবে নেকলেসটির ছবি তোলা হয়েছে।

টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষে নেকলেসটি আবিষ্কারের ঘটনাকে ‘শ্বাসরুদ্ধকর’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন ম্যাগেলানের প্রধান নির্বাহী রিচার্ড পারকিনসন।

Also Read: প্রথমবারের মতো সামনে এল টাইটানিকের পুরো ধ্বংসাবশেষের ছবি

কাজটির সঙ্গে যুক্ত দলটি বলেছে, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে থাকা চুক্তির কারণে তারা নেকলেসটি স্পর্শ করেনি। চুক্তি অনুযায়ী, টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ থেকে প্রত্নবস্তু অপসারণে বিধিনিষেধ রয়েছে।

ম্যাগেলান বলেছে, ডুবে যাওয়ার সময় টাইটানিকে ২ হাজার ২০০ যাত্রী ছিলেন। নেকলেসটির মালিককে শনাক্তে তারা এসব যাত্রীর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করবে।

Also Read: আটলান্টিকের তলদেশে টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষের বিরল ভিডিও প্রকাশ

প্রকল্পটির অংশ হিসেবে টাইটানিকের যাত্রীদের ফুটেজ, বিশেষ করে তাঁদের মুখমণ্ডল, জাহাজে ওঠার সময় তাঁরা যে পোশাক পরেছিলেন, তা বিশ্লেষণ করা হবে বলে জানিয়েছে ম্যাগেলান।

টাইটানিকের পুরো ধ্বংসাবশেষের ছবি তৈরিতে গত গ্রীষ্মে স্ক্যানিংয়ের কাজটি করে ম্যাগেলান ও আটলান্টিক প্রোডাকশন। তারা প্রকল্পটি নিয়ে একটি তথ্যচিত্র তৈরি করছে।

দূরনিয়ন্ত্রিতভাবে ডুবোযানের মাধ্যমে টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষের তথ্য সংগ্রহ করা হয়। ধ্বংসাবশেষের প্রতিটি কোণ থেকে ৭ লাখের বেশি ছবি নেওয়া হয়। এগুলো দিয়ে পুরো ধ্বংসাবশেষের ছবি তৈরি করা সম্ভব হয়। সম্প্রতি এই ছবি প্রকাশ করা হয়।

আল-জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, ১৯১২ সালে ইংল্যান্ডের সাউদাম্পটন থেকে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহরে যাচ্ছিল টাইটানিক। সেটি ছিল জাহাজটির প্রথম যাত্রা।

পথে ১৫ এপ্রিল এক হিমশৈলের সঙ্গে ধাক্কা লেগে ডুবে যায় টাইটানিক। মৃত্যু হয় জাহাজে থাকা আনুমানিক ১ হাজার ৫০০ যাত্রীর। সে সময় বিশ্বের সবচেয়ে বড় জাহাজ ছিল টাইটানিক।

টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ রয়েছে উত্তর আটলান্টিকের তলদেশে, সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১৩ হাজার ১২৩ ফুট গভীরে। স্থানটি কানাডা উপকূল থেকে প্রায় ৬৫০ কিলোমিটার দূরে। ১৯৬৫ সালে প্রথম ধ্বংসাবশেষটি খুঁজে পাওয়া যায়। তখন থেকেই সেটিকে ঘিরে ব্যাপক অনুসন্ধান ও গবেষণা চালানো হচ্ছে।