রাশিয়া–ইউক্রেন যুদ্ধ

বেলারুশের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব ফিরিয়ে দিল রাশিয়া 

রাশিয়ার পারমাণবিক অস্ত্র নিজ ভূখণ্ডে রাখার প্রস্তাবে রাজি হয়েছে বেলারুশ। মস্কো জানিয়েছে, আলোচনা চলছে।

বুচা থেকে রুশ সেনাদের হটিয়ে দেওয়ার বর্ষপূর্তিতে গতকাল সেনাদের পুরস্কৃত করেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি
ছবি: এএফপি

ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলা যে বন্ধ হচ্ছে না, সেই ইঙ্গিত আবারও দিল মস্কো। বেলারুশের দেওয়া যুদ্ধবরতির প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়ে মস্কো বলেছে, ইউক্রেনে যুদ্ধবিরতি হলে তাদের যে ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ সেখানে চলছে, তার লক্ষ্য অর্জিত হবে না। এদিকে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব ফিরিয়ে দিলেও রাশিয়ার পারমাণবিক অস্ত্র নিজ ভূখণ্ডে রাখার প্রস্তাবে রাজি হয়েছে বেলারুশ।

ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযান শুরু হয়েছে গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে। এই যুদ্ধ শুরুর পর থেকে রাশিয়ার পাশে রয়েছে বেলারুশ। তবে গতকাল শুক্রবার বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্দার লুকাশেঙ্কো এই যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দেন। এমনকি কোনো পূর্বশর্ত ছাড়াই একটি যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছানোর ব্যাপারে প্রস্তাব দেন তিনি।

তবে এই প্রস্তাব দেওয়ার ২৪ ঘণ্টা না পেরোতেই তা প্রত্যাখ্যান করল রাশিয়া। এ প্রসঙ্গে ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ গতকাল বলেন, আগামী সপ্তাহে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও বেলারুশ প্রেসিডেন্ট লুকাশেঙ্কো বৈঠক করবেন। তবে এ মুহূর্তে যদি যুদ্ধবিরতি হয়, রাশিয়ার লক্ষ্য সে ক্ষেত্রে অধরা রয়ে যাবে। তিনি শুধু এই প্রস্তাব খারিজের কথা বলেছেন, এমনটা নয়। চীনের দেওয়া প্রস্তাব বাস্তবায়িত না হওয়ার কারণও ব্যাখ্যা করেছেন। তাঁর মতে, ইউক্রেনের ব্যর্থতায় চীনের শান্তি প্রস্তাব বাস্তবায়ন করা সম্ভব হচ্ছে না।

বেলারুশের মাটিতে রাশিয়ার ‘কৌশলগত’ পারমাণবিক অস্ত্র রাখার বিষয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই আলোচনা হচ্ছে। সেই পারমাণবিক অস্ত্র দেশটির ভূখণ্ডে রাখার ব্যাপারে সম্মত হয়েছেন বেলারুশের প্রেসিডেন্ট।

বিমান প্রতিরক্ষার প্রশিক্ষণ শেষ

এদিকে ইউক্রেনের ৬৫ সেনার একটি দল যুক্তরাষ্ট্রে প্যাট্রিয়ট বিমান প্রতিরক্ষাব্যবস্থার প্রশিক্ষণ শেষ করে ইউরোপে ফিরেছে। গত বৃহস্পতিবার পেন্টাগন এ কথা জানিয়েছে। পেন্টাগনের মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল প্যাট রাইডার সাংবাদিকদের বলেন, ‘এই সপ্তাহে ৬৫ জন ইউক্রেনীয় বিমান প্রতিরক্ষা সদস্য ওকলাহোমার ফোর্ট সিলে প্যাট্রিয়ট প্রশিক্ষণ শেষ করেছেন এবং এখন ইউরোপে ফিরে এসেছেন।’ 

এদিকে ইউক্রেনের বুচা শহরে রুশ বাহিনীর ধংসযজ্ঞের এক বছর পূর্তিতে সেখানে গিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।