রাশিয়ার সেনারা পূর্ব ইউক্রেনের দনবাস অঞ্চলের কুরাখোভো শহর ‘পুরোপুরি স্বাধীন’ করেছেন বলে দাবি করেছেন। এটি কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ একটি পরিবহন কেন্দ্র। রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় আজ সোমবার এ কথা জানিয়েছে।
পশ্চিমা সংবাদমাধ্যমগুলোও রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাতে এ খবর প্রকাশ করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের বার্তা সংস্থা এপির প্রতিবেদনেও খবরটি প্রকাশ করা হয়েছে। তবে তাদের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কুরাখোভো হাতছাড়া হয়ে যাওয়া নিয়ে ইউক্রেন তাৎক্ষণিক মন্তব্য করেনি।
রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, কুরাখোভো ‘দক্ষিণ-পশ্চিম দনবাসের বৃহত্তম প্রশাসনিক অঞ্চল’। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ইউক্রেনে রাশিয়ার অভিযান শুরুর আগে শহরটির জনসংখ্যা ছিল প্রায় ১৯ হাজার।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গত এক দশকে কিয়েভ কুরাখোভোকে একটি শক্তিশালী সুরক্ষিত এলাকায় পরিণত করেছিল। সেখানে গোলা নিক্ষেপ করা ও ভূগর্ভস্থ যোগাযোগের নেটওয়ার্ক তৈরি করা হয়েছিল। শহরটির উত্তরদিকে ছিল নদীর অববাহিকা। এ কারণে সেখানে রুশ সেনাদের হামলা চালানোর ক্ষমতা উল্লেখযোগ্য হারে কমেছিল।
কুরাখোভা শহর রক্ষা করার জন্য বিদেশি ভাড়াটে সেনাসহ প্রায় ১৫ হাজার সেনা মোতায়েন করেছিল ইউক্রেন। পরে সেখানে অতিরিক্ত কামান ও ট্যাংক পাঠানো হয়েছিল।
রাশিয়ার দাবি, কুরাখোভায় ইউক্রেনের প্রায় ৮০ শতাংশ তথা ১২ হাজারের বেশি সেনা প্রাণ হারিয়েছে। একই সঙ্গে দেশটির সাঁজোয়া যান, ৪০টি ট্যাংকসহ প্রায় ৩ হাজার নানা ধরনের সামরিক অস্ত্রশস্ত্র ও সরঞ্জাম ধ্বংস করা হয়েছে।
কুরাখোভায় প্রায় দুই মাস যুদ্ধ চলে। রাশিয়ার দাবি, এতে দৈনিক গড়ে ১৫০ থেকে ১৮০ ইউক্রেন সৈনিক প্রাণ হারিয়েছেন।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দাবি, কুরাখোভো হারানোর কারণে দোনেৎস্কের অন্যান্য এলাকায় থাকা ইউক্রেনের সেনাদের জন্য রসদ পাঠানো ‘বেশ জটিল’ হয়ে পড়বে। তা ছাড়া তারা এখন আর আঞ্চলিক রাজধানী দোনেৎস্কেও গোলা নিক্ষেপ করতে পারবে না।