বহুজন সমাজ পার্টি (বিএসপি) নেত্রী মায়াবতী বিজেপিশাসিত তিন রাজ্যের ভোটে কংগ্রেসের সঙ্গে জোটবদ্ধ হচ্ছেন না। এই তিন রাজ্য রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ ও ছত্তিশগড়। ছত্তিশগড়ে মায়াবতী ইতিমধ্যেই সাবেক কংগ্রেস মুখ্যমন্ত্রী অজিত যোগীর দল জনতা কংগ্রেসের সঙ্গে জোটবদ্ধ হয়েছেন। এবার একা ভোটে দাঁড়ানোর কথা ঘোষণা করলেন রাজস্থান ও মধ্যপ্রদেশেও। এই তিন রাজ্যের বিধানসভার ভোট এই বছরের শেষে হওয়ার কথা।
কংগ্রেসের সঙ্গে এই তিন রাজ্যে জোট গঠন না করার কথা জানালেও লোকসভা ভোটে উত্তর প্রদেশে তিনি জোটবদ্ধ হবেন কি না সে সম্পর্কে স্পষ্ট করে কিছু বলেননি। বুধবার সংবাদমাধ্যম এএনআইকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে তিনি বলেন, সোনিয়া ও রাহুল গান্ধী জোট গড়তে আগ্রহী থাকলেও কংগ্রেস রাজ্য নেতৃত্ব অনাগ্রহী। এই ক্ষেত্রে মায়াবতী কাঠগড়ায় দাঁড় করান মধ্যপ্রদেশের কংগ্রেস নেতা রাজ্যের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী দিগ্বিজয় সিংকে। বলেন, ওঁরা চান না কংগ্রেস-বিএসপি জোট করুক। ওঁরা সিবিআই ও এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) মতো কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে ভয় পাচ্ছেন।
জোট না করার এই কথা মায়াবতী যখন ঘোষণা করেন, তার কিছু আগেই দিগ্বিজয় সিং অভিযোগ করেন বিএসপি নেত্রীর বিরুদ্ধে। তিনি বলেন, মায়াবতীর ওপর কেন্দ্রীয় সরকার প্রচণ্ড চাপ সৃষ্টি করেছে যাতে তিনি কংগ্রেসের সঙ্গে জোট না করেন। মায়াবতী এই অভিযোগকে ‘ভিত্তিহীন’ বলে জানান, দিগ্বিজয় সিং হলেন বিজেপির এজেন্ট। এই দলটার অস্তিত্ব গোটা দেশে খুঁজে পাওয়া যায় না। অথচ তারা এখনো মনে করে, বিজেপিকে একাই হারাতে পারবে। মায়াবতী বলেন, গুজরাটের ভোট থেকেও কংগ্রেস শিক্ষা নেয়নি।
রাজস্থান, মধ্য প্রদেশ ও ছত্তিশগড়ে বিএসপির শক্তি আহামরি কিছু নয়। দলটির মোট প্রাপ্ত ভোটের হারও তিন চার শতাংশের বেশি নয়। কংগ্রেসের রাজ্য নেতাদের অনেকেই মনে করেন, উত্তর প্রদেশকে সামনে রেখে মায়াবতী এই তিন রাজ্যে যে পরিমাণ আসন দাবি করছেন তা অযৌক্তিক। মায়াবতীর বিরুদ্ধে আয় বহির্ভূত সম্পত্তি ও দুর্নীতির একাধিক অভিযোগ সিবিআইয়ের তদন্তাধীন। রাজ্য কংগ্রেসিদের একাংশের দাবি, মায়াবতী যাতে কংগ্রেসের সঙ্গে হাত না মেলান সে জন্য তাঁর ওপর বিজেপি প্রবল চাপ সৃষ্টি করে চলেছে। তাই তিনি এই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছেন। অন্যদিকে মায়াবতী বুধবার বলেন, কংগ্রেস মোটেই বিজেপিকে হারাতে আগ্রহী নয়। বরং তারা চায় বন্ধু দলগুলোকে দুর্বল করতে।