পশ্চিমবঙ্গের হুগলিতে বৈদ্যুতিক গাড়ি কারখানা গড়তে চলেছে ‘সাইনোসোর’ নামের একটি সংস্থা। গতকাল শনিবার এর উদ্বোধন হয়
পশ্চিমবঙ্গের হুগলিতে বৈদ্যুতিক গাড়ি কারখানা গড়তে চলেছে ‘সাইনোসোর’ নামের একটি সংস্থা। গতকাল শনিবার এর উদ্বোধন হয়

পশ্চিমবঙ্গে সিঙ্গুরের ক্ষত সারাতে ১৭ বছর পর গাড়ি কারখানা, এবার আসছে ‘সাইনোসোর’

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের সিঙ্গুর একসময় টাটার ন্যানো গাড়ি প্রকল্পের জন্য দেশজুড়ে শিরোনামে এসেছিল। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আন্দোলনের মুখে ২০০৮ সালে সেই প্রকল্প গুজরাটে সরিয়ে নেওয়ার পর সিঙ্গুরের জমি ফাঁকাই পড়ে ছিল। ১৭ বছর পর ফের চার চাকার গাড়ি কারখানা গড়ার উদ্যোগ নিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার।

সিঙ্গুরে টাটার ন্যানো প্রকল্পের জন্য ২০০৬ সালে অধিগৃহীত ৯৯৭ একর জমি ২০১৬ সালে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে ক্ষতিপূরণসহ কৃষকদের ফেরত দেওয়া হয়। কিন্তু জমি আর চাষে পুরোপুরি ফিরতে পারেনি। স্থানীয়দের অনেকে এখনো বিশ্বাস করেন—যদি সেদিন ন্যানো কারখানা গড়ে উঠত, সিঙ্গুর আজ শিল্পনগরীতে পরিণত হতো।

এই প্রেক্ষাপটে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজ্য সরকার সিঙ্গুরের পুরনো ক্ষত সারাতে চাইছে। সিঙ্গুর থেকে মাত্র ১৭ কিলোমিটার দূরে নতুন করে বৈদ্যুতিক গাড়ি কারখানা গড়তে চলেছে ‘সাইনোসোর’ নামের একটি সংস্থা। গতকাল শনিবার হুগলিতে তাদের তিন চাকার গাড়ি উদ্বোধন হয়। উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী ভাভেদ আহমেদ খান ও উজ্জ্বল বিশ্বাস। অনুষ্ঠানে তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ ঘোষণা করেন, খুব শিগগিরই সংস্থা চার চাকার বৈদ্যুতিক গাড়ি আনতে চলেছে।

সংস্থার কর্মকর্তা সম্পূর্ণা ঘোষ জানিয়েছেন, চার আসনের বৈদ্যুতিক গাড়িটির দাম রাখা হবে এক লাখ রুপির নিচে। ২০২৬ সালের জানুয়ারিতে বাজারে আসবে গাড়িটি, আর চলতি বছরের দীপাবলির পর কলকাতায় এর প্রোটোটাইপ উন্মোচন করা হবে।

তৃণমূল নেতাদের মতে, নতুন গাড়ির নামকরণ করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজনৈতিক মহলের ধারণা, এই প্রকল্পের মাধ্যমে সিঙ্গুরের অস্বস্তিকর অতীত মুছে ফেলে নতুন শিল্পায়নের বার্তা দিতে চাইছে রাজ্য সরকার।