
ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে সৌদি আরব। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে উত্তেজনা কমাতে এবং কূটনৈতিক উপায়ে বিরোধ সমাধান করতে দেশ দুটির প্রতি আহ্বান জানিয়েছে দেশটি। গতকাল বুধবার সৌদি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই আহ্বান জানায়।
২২ এপ্রিল কাশ্মীরের পেহেলগামে বন্দুকধারীদের হামলায় ২৬ জন নিহত হন। এ ঘটনার পেছনে পাকিস্তানের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে বলে অভিযোগ নয়াদিল্লির। সন্দেহভাজন হামলাকারীদের মধ্যে দুজন পাকিস্তানি বলেও দাবি করেছে তারা। তবে পাকিস্তান এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে। এরপর থেকে উভয় দেশ পাল্টাপাল্টি পদক্ষেপ নিয়েছে।
ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার মধ্যে পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার গতকাল বুধবার ইসলামাবাদে যৌথ সংবাদ সম্মেলন করেছেন। সেখানে তিনি বলেছেন, ‘পাকিস্তান আগবাড়িয়ে উসকানিমূলক কোনো পদক্ষেপ নেবে না। তবে উসকানি দেওয়া হলে কঠোর জবাব দেওয়া হবে।’ মঙ্গলবার দেশটির পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ সিনেটেও তিনি একই ধরনের কথা বলেছিলেন।
গতকাল পাকিস্তানের বিমান পরিবহন সংস্থাগুলোর জন্য আকাশসীমা বন্ধ করেছে ভারত। ভারত সরকারের এক নোটিশে বলা হয়েছে, ৩০ এপ্রিল থেকে ২৩ মে পর্যন্ত পাকিস্তানি উড়োজাহাজের জন্য এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর থাকবে।
গত মঙ্গলবার দিবাগত রাত দুইটার দিকে পিটিভিতে সম্প্রচারিত এক বিবৃতিতে পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী আতাউল্লাহ তারার বলেন, ভারত আগামী ২৪ থেকে ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে পাকিস্তানে হামলা চালানোর পরিকল্পনা করছে—এমন বিশ্বাসযোগ্য গোয়েন্দা তথ্য তাঁদের হাতে রয়েছে। এ ধরনের হামলার জন্য পেহেলগামের ঘটনাকে অজুহাত হিসেবে ব্যবহার করবে ভারত, যা ভিত্তিহীন ও বানোয়াট।
কাশ্মীরে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা নিয়ে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ ও ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করকে ফোন করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। গতকাল বুধবার দুজনকে ফোন করেন তিনি। এ সময় হামলার ঘটনা নিয়ে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সৃষ্ট উত্তেজনা কমানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেন রুবিও।
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেছেন, কাশ্মীরে যারা হামলার পরিকল্পনা ও তা বাস্তবায়ন করেছে, তাদের অবশ্যই বিচারের আওতায় আনা হবে। আজ বৃহস্পতিবার এ কথা বলেন তিনি।