
যুক্তরাষ্ট্রে দক্ষ কর্মী ভিসা (এইচ–১বি) দেওয়ার আগে আবেদনকারীর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম অ্যাকাউন্টও যাচাই-বাছাইয়ের নতুন নিয়ম চালু করেছে দেশটি। এ কারণে এইচ–১বি ভিসার জন্য আবেদন করা ভারতীয় নাগরিকেরা জটিলতার মধ্যে পড়েছেন। অনেকের সাক্ষাৎকার আগামী বছর পর্যন্ত পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে।
ভারতে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাস গতকাল মঙ্গলবার রাতে ভিসা আবেদনকারীদের জন্য একটি বার্তা দিয়েছে।
বার্তায় বলা হয়, ‘যদি আপনি ভিসা সাক্ষাৎকারের তারিখ পুনর্নির্ধারিত হওয়ার বিষয়ে ই–মেইল পেয়ে থাকেন, তাহলে মিশন ইন্ডিয়া আপনার নতুন সাক্ষাৎকারের তারিখে আপনাকে সহযোগিতা করার অপেক্ষায় আছে।’
দূতাবাস আরও বলেছে, যদি কোনো ভিসা আবেদনকারী নতুন তারিখের নোটিশ পাওয়ার পরও পূর্বনির্ধারিত সাক্ষাৎকারের দিনে কনস্যুলেটে আসেন, তাঁকে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে না।
যুক্তরাষ্ট্র সরকার এইচ-১বি ভিসা আবেদনকারী ও তাঁদের পরিবারের সদস্যদের এইচ-৪ ভিসা দেওয়ার জন্য যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়া কঠোর করেছে। আবেদনকারীদের বলা হয়েছে, তাঁরা যেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাঁদের অ্যাকাউন্টের প্রোফাইল ‘পাবলিক’ বা সবার জন্য উন্মুক্ত রাখেন।
ব্লুমবার্গের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যেসব সাক্ষাৎকার চলতি বছরের মাঝামাঝি থেকে ডিসেম্বরের শেষ নাগাদ হওয়ার কথা ছিল, সেগুলো এখন আগামী বছরের মার্চ পর্যন্ত পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। ঠিক কতগুলো সাক্ষাৎকারের তারিখ পরিবর্তন করা হয়েছে, তা সুনির্দিষ্ট করে জানা যায়নি।
প্রসিদ্ধ একটি অভিবাসনবিষয়ক আইনি পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের আইনজীবী স্টিভেন ব্রাউন বলেছেন, ‘আমরা যা শুনছিলাম, তা মিশন ইন্ডিয়া আমাদের নিশ্চিত করেছে। তারা আগামী কয়েক সপ্তাহের জন্য নির্ধারিত অনেক সাক্ষাৎকার বাতিল করেছে এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যাচাইয়ের জন্য সেগুলো মার্চ পর্যন্ত পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে।’
দূতাবাস আরও বলেছে, যদি কেউ নতুন তারিখের নোটিশ পাওয়ার পরও আগের নির্ধারিত সাক্ষাৎকারের দিনে কনস্যুলেটে আসেন, তাঁকে ভেতরে ঢুকতে দেওয়া হবে না।
যুক্তরাষ্ট্র সরকার এইচ-১বি ভিসা আবেদনকারী ও তাঁদের পরিবারের সদস্যদের এইচ-৪ ভিসা দেওয়ার জন্য যাচাই-বাছাইপ্রক্রিয়া কঠোর করেছে। আবেদনকারীদের বলা হয়েছে, তাঁরা যেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাঁদের অ্যাকাউন্টের প্রোফাইল ‘পাবলিক’ বা সবার জন্য উন্মুক্ত রাখেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যাচাই-বাছাইয়ের নতুন নিয়মটি হলো, এইচ–১বি ভিসাপ্রক্রিয়ার ওপর সাম্প্রতিক নজরদারির আরেকটি ধাপ। এইচ–১বি কর্মসূচিটি দক্ষ বিদেশি কর্মীদের যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসনের প্রধান পথ হিসেবে পরিচিত। এ কর্মসূচি এখন ট্রাম্প প্রশাসনের কঠোর চাপের মধ্যে আছে।
কর্মকর্তারা ১৫ ডিসেম্বর থেকে তাঁদের অনলাইন উপস্থিতি যাচাই-বাছাই শুরু করেছেন। আবেদনকারীদের কেউ যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা বা জননিরাপত্তার জন্য হুমকি হতে পারে কি না, তা চিহ্নিত করতে এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যাচাই-বাছাইয়ের নতুন নিয়মটি হলো এইচ–১বি ভিসাপ্রক্রিয়ার ওপর সাম্প্রতিক নজরদারির আরেকটি ধাপ। এইচ–১বি কর্মসূচিটি দক্ষ বিদেশি কর্মীদের যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসনের প্রধান পথ হিসেবে পরিচিত। এ কর্মসূচি এখন ট্রাম্প প্রশাসনের কঠোর চাপের মধ্যে আছে।
গত সেপ্টেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নতুন এইচ–১বি দক্ষ কর্মী ভিসার ওপর এককালীন ১ লাখ ডলার ফি আরোপ করেন, যা যুক্তরাষ্ট্রে অস্থায়ী কাজে যেতে চাওয়া ভারতীয় কর্মীদের ওপর বড় প্রভাব ফেলতে পারে।
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রে ন্যাশনাল গার্ড সদস্যদের গুলি করার ঘটনায় সন্দেহভাজন হিসেবে আফগান নাগরিককে গ্রেপ্তার করার পর যুক্তরাষ্ট্র তালিকাভুক্ত ১৯টি দেশ থেকে গ্রিন কার্ড, নাগরিকত্ব ও অন্যান্য অভিবাসন আবেদন সাময়িকভাবে স্থগিত করেছে।