
ফিলিস্তিনের গাজাবাসীর জন্য ত্রাণ নিয়ে যাওয়া ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’ নৌবহরের একটি জাহাজে জলকামান ছোড়া হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, ইসরায়েলি বাহিনীর একটি জাহাজ জলকামান ছুড়েছে।
গতকাল বুধবার প্রকাশিত একটি ভিডিওতে এমন দৃশ্য দেখা গেছে।
নৌবহরে মিকেনো নামের একটি জাহাজে থাকা অধিকারকর্মী মুহাম্মদ হুজেফে কুকুকায়তেকিন জানিয়েছেন, ইসরায়েলি সামরিক জাহাজটি প্রায় ১০ মিনিট অনুসরণের পর তাঁদের জাহাজের কাছে এগিয়ে আসে। এরপর জাহাজে থাকা অধিকারকর্মীদের ও তাঁদের সঙ্গে থাকা সামগ্রীগুলো ভিজিয়ে দেয়।
ভিডিওতে কুকুকায়তেকিন বলেন, ‘আমাদের জাহাজ ও সমস্ত সামগ্রী ভিজে গেছে। তারা (ইসরায়েলি বাহিনী) প্রায় ১০ মিনিট পানি ছিটিয়েছে। তারা আমাদের ইঞ্জিন বন্ধ করতে বলে। কিন্তু আমরা আমাদের যাত্রা অব্যাহত রেখেছি। তবে আমাদের কিছু বন্ধুর প্রচন্ড ঠান্ডা লেগেছে। কয়েকজন নারী কর্মী কষ্টকর অবস্থায় আছেন।’
কুকুকায়তেকিন আরও বলেন, ‘তারা (ইসরায়েলি বাহিনী) আমাদের ওপরে হাত তুলতে বলে। ১০-১২ মিনিট পর তারা সরে যায়।’
ভিডিওতে দেখা জাহাজটির নাম মিকেনো। এটি রয়টার্স নিশ্চিত হতে পেরেছে। এর আগেও কুকুকায়তেকিন ওই জাহাজ থেকে লাইভ ভিডিও আপলোড করেছিলেন। রয়টার্স আরও নিশ্চিত হয়েছে, প্রতিটি ক্লিপে একই কণ্ঠ শোনা যাচ্ছে। তবে ক্লিপগুলো কখন ও কোথায় রেকর্ড করা হয়েছে, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
উল্লেখ্য, গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার একটি বাদে সব জাহাজই আটক করেছে ইসরায়েল। ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দাবি করেছে, ‘যুদ্ধক্ষেত্রে প্রবেশ করা বা আইনসম্মত নৌ অবরোধ লঙ্ঘন করার চেষ্টা ব্যর্থ করে দেওয়া হয়েছে।’
গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা সমুদ্রপথে গাজায় ত্রাণ নিয়ে যাওয়ার একটি বৈশ্বিক প্রচেষ্টা। এই নৌবহরে রয়েছে ৪০টির বেশি বেসামরিক নৌযান। বহরে প্রায় ৪৪টি দেশের ৫০০ মানুষের মধ্যে রয়েছেন যুক্তরাষ্ট্র, স্পেন, আয়ারল্যান্ড, ফ্রান্স, বেলজিয়ামসহ ইউরোপীয় পার্লামেন্টের নির্বাচিত প্রতিনিধি, আইনজীবী, অধিকারকর্মী, চিকিৎসক ও সাংবাদিকেরা।
গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার প্রথম বহর ৩১ আগস্ট স্পেনের বার্সেলোনা থেকে যাত্রা শুরু করে। এরপর ১৩ থেকে ১৫ সেপ্টেম্বর তিউনিসিয়া ও ইতালির সিসিলি দ্বীপ থেকে আরও নৌযান বহরটিতে যুক্ত হয়। এ ছাড়া গ্রিসের সাইরাস দ্বীপ থেকে পরে আরও কিছু নৌযান ত্রাণ নিয়ে বহরে যুক্ত হয়।