গাজার বাসিন্দারা যুদ্ধ শেষ হওয়ার অপেক্ষা করছেন। যুদ্ধবিরতি ঘোষণা হয়ে গেছে। আজ থেকেই তা কার্যকর হচ্ছে। গাজার খান ইউনিসে অস্থায়ী শিবিরে বাস করা লোকজনের চোখেমুখে উৎকণ্ঠা। কীভাবে তাঁদের শহরে ফিরবেন? কীভাবে যাবেন নিজের ঘরবাড়িতে? ইতিমধ্যে ইসরায়েলি হামলায় প্রায় সবকিছুই গুঁড়িয়ে গেছে। তারপরও তাঁরা ঘরে ফেরার আশায় ক্ষণ গুনছেন।
মাহমুদ শেখ আবেদ বলেন, ‘আল্লাহর নামে আশা করি, আজই যুদ্ধের শেষ দিন হোক।’ রাফায় বাস করতেন আবেদ। যুদ্ধের কারণে নিজের ঘরবাড়ি ছেড়ে আশ্রয় নিতে হয়েছে খান ইউনিসের আশ্রয়শিবিরে। যুদ্ধবিরতির ঘোষণা হলেও তিনি এখনো বিশ্বাস করতে পারছেন না। তাঁর মনে এখনো উদ্বেগ রয়ে গেছে। তিনি আশা করছেন, কোনো চুক্তি ভঙ্গ করে যেন এই যুদ্ধবিরতি ভেস্তে না যায়।
রাফার আরেক বাসিন্দা বিলাল আল-নাহাওয়ানি বলেন, গাজার মানুষজন ক্লান্ত, ক্ষুধার্ত। প্রতিটি বাড়িতেই শহীদ, আহত অথবা আটক মানুষ রয়েছে। যথেষ্ট হয়েছে। গাজার মানুষ অনেক কষ্ট পেয়েছে।
গাজার আরেক বাসিন্দা তারেক জুমলট আরও বলেন, ‘আমরা আশা করি এই যুদ্ধবিরতি বাস্তব হবে এবং আমরা জাবালিয়ায় আমাদের বাড়িতে ফিরে যাব এবং আমাদের পরিবার এবং বন্ধুদের খোঁজখবর নেব।’