
তুরস্কের প্রধান বিরোধী দল রিপাবলিকান পিপলস পার্টির (সিএইচপি) আরও পাঁচ মেয়রসহ ১৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ বুধবার সকালে দুর্নীতির অভিযোগে চলমান তদন্তের অংশ হিসেবে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। সিএইচপির একজন মুখপাত্র এ তথ্য জানিয়েছেন।
সিএইচপির গ্রেপ্তার পাঁচ মেয়রের মধ্যে তিনজন ইস্তাম্বুলের জেলা মেয়র। অন্য দুজন দক্ষিণাঞ্চলীয় আদানা প্রদেশের মেয়র। এ ছাড়া দলটির সাবেক এক সংসদ সদস্যকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
নতুন গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের নিয়ে এখন পর্যন্ত সিএইচপির মোট ৯ মেয়রকে গ্রেপ্তার করা হলো। তাঁদের মধ্যে ইস্তাম্বুল নগরের মেয়র একরেম ইমামোগলুও রয়েছেন। জনপ্রিয় এই রাজনীতিবিদ দেশটির বর্তমান প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের প্রধান রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী।
ইমামোগলুকে গ্রেপ্তার করা হয় গত ১৯ মার্চ। তাঁকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে তুরস্কে এক দশকের মধ্যে সবচেয়ে বড় বিক্ষোভ হয়েছে। বিক্ষোভে সিএইচপির সমর্থকদের পাশাপাশি সমাজের নানা অংশ ও গোষ্ঠীর বিপুলসংখ্যক মানুষ অংশ নেন।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ইস্তাম্বুলের চারটি পৃথক দুর্নীতি মামলার তদন্তের অংশ হিসেবে গত শনিবার গ্রেপ্তার অভিযান পরিচালনা করছে কর্তৃপক্ষ। ওই দিনই ৪৭ জন পৌর কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।
পুলিশ এরই মধ্যে ইস্তাম্বুল সিটি হলের দুর্নীতির অভিযোগে প্রায় ৭০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। তাঁদের মধ্যে ইমামোগলুর ব্যক্তিগত সচিব ও তাঁর নিরাপত্তা কর্মকর্তাও রয়েছে।
সিএইচপি ইতিমধ্যে ২০২৮ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ইমামোগলুকে প্রার্থী ঘোষণা করেছে। বিভিন্ন জরিপে তিনি এরদোয়ানের চেয়ে এগিয়ে রয়েছেন। তবে নির্বাচনে তিনি অংশ নিতে পারবেন কি না, তা বিচার কার্যক্রমের ফলাফলের ওপর নির্ভর করছে।
২২ বছরের বেশি সময় ধরে ক্ষমতায় থাকা এরদোয়ান পরবর্তী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অংশ নেবেন না বলে জানিয়েছেন। পরবর্তী নির্বাচনে অংশ নিতে হলে তা নির্দিষ্ট সময়ের চেয়ে এগিয়ে আনতে হবে। কিছু বিশ্লেষক মনে করেন, এরদোয়ান পরবর্তী নির্বাচনে অংশ নিতে পারেন।