Thank you for trying Sticky AMP!!

অনাস্থা ভোটের দিন দলীয় আইনপ্রণেতাদের অনুপস্থিত থাকার নির্দেশ ইমরানের

জাতীয় পরিষদে অনাস্থা ভোটের মুখে বেশ চাপে পড়েছেন ইমরান খান

পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে তোলা অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে ভোট হতে পারে। বিরোধীরা জোটবদ্ধ হয়ে এ প্রস্তাব তুলেছে। অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে ভোটের দিন দলীয় আইনপ্রণেতাদের (এমএনএ) জাতীয় পরিষদে যেতে বারণ করেছেন ইমরান। খবর এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের।    

এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের প্রতিবেদন অনুযায়ী, গতকাল মঙ্গলবার সরকারি দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) প্রধান হিসেবে এই নির্দেশনা জারি করেন ইমরান খান। পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের নিম্নকক্ষে প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব ওঠার এক দিন পর ইমরান দলীয় আইনপ্রণেতাদের এমন নির্দেশ দিলেন।

ইমরান খান স্বাক্ষরিত দলীয় এক নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ‘ভোটাভুটির জন্য যে দিন পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের আলোচ্যসূচিতে প্রস্তাবটি তোলা হবে, ওই দিন পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের সংসদীয় দল পিটিআইর সব সদস্য ভোট দেওয়া থেকে বিরত থাকবেন অথবা জাতীয় পরিষদের বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন না।’

Also Read: ‘প্রথম উইকেটের’ পতন হয়েছে, এবার ইমরানের পালা: সমাবেশে বিরোধী নেতারা

নির্দেশনায় আরও বলা হয়, ‘পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের কোনো সদস্য অনাস্থা প্রস্তাবে ভোটদানের সময় জাতীয় পরিষদে উপস্থিত থাকবেন না বা সেখানে হাজির থাকবেন না।’ পিটিআইর সব আইনপ্রণেতাকে দলীয় নেতা ইমরান খানের এই নির্দেশ সত্য মেনে মনেপ্রাণে মেনে চলার কথাও বলা হয় ওই নির্দেশনায়।

পিটিআইর প্রধান সব আইনপ্রণেতাকে সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, ‘কোনো সদস্য এই নির্দেশ লঙ্ঘন করবেন না বা অনাস্থা ভোটের সঙ্গে সম্পর্কিত অন্য কোনো সংসদীয় দল/গোষ্ঠীর পক্ষে অবস্থান নেবেন না।’ আইনপ্রণেতাদের সতর্ক করা হলেও নির্দেশ অমান্য করলে কী শাস্তি হবে, সে সম্পর্কে স্পষ্ট করে কিছু বলা হয়নি।

Also Read: পাকিস্তানের পার্লামেন্টে ইমরান খানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব উঠল

গত সোমবার জাতীয় পরিষদে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব তোলে বিরোধী দলগুলো। প্রস্তাব পেশ হওয়ার পরই ৩১ মার্চ বিকেল চারটা পর্যন্ত অধিবেশন মুলতবি ঘোষণা করেন ডেপুটি স্পিকার কাসিম খান। স্পিকার আসাদ কায়সার বলেছেন, আগামী শনি ও রোববার এ নিয়ে আবার অধিবেশন শুরু হবে।

পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদে সদস্যসংখ্যা ৩৪২। অনাস্থা প্রস্তাব পাসে ১৭২ জন সদস্যের সমর্থন লাগবে। অনাস্থা প্রস্তাব পেশের জন্য ৬৮ জন সদস্যের সমর্থন প্রয়োজন ছিল। বার্তা সংস্থা এএফপি বলেছে, বিরোধী জোটের মোট ১৬৩ জন আইনপ্রণেতা রয়েছেন। সরকারি জোটের পক্ষে রয়েছেন ১৭৬ জন আইনপ্রণেতা।

Also Read: বিদেশিদের মদদে পাকিস্তানে সরকার পরিবর্তনের চেষ্টা চলছে: ইমরান খান

বিরোধীদের সঙ্গে চুক্তি করেছে এমকিউএম-পি

ইমরান খানকে ক্ষমতাচ্যুত করতে গঠিত বিরোধী জোটে যোগ দিয়েছে মুত্তাহিদা কওমি মুভমেন্ট-পাকিস্তান (এমকিউএম-পি)। গতকাল মঙ্গলবার রাতে ইমরানের বিরুদ্ধে ওঠা অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে বিরোধী জোটের সঙ্গে এমকিউএম-পি চুক্তি করেছে। পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদে দলটির মোট সাতজন আইনপ্রণেতা রয়েছেন।

দলটির মুখপাত্র আনুষ্ঠানিকভাবে বিরোধীদের সঙ্গে খসড়া একটি চুক্তি হওয়ার কথা জানিয়ে বলেছেন, বুধবার বিকেলে সংবাদ সম্মেলন বিস্তারিত জানানো হবে।

সূত্রের বরাতে এক্সপ্রেস ট্রিবিউন জানিয়েছে, এমকিউএম-পি-এর সব দাবি মানার নিশ্চয়তা দিয়ে প্রাদেশিক ও কেন্দ্রীয় পর্যায়ে উভয় পক্ষের লিখিত চুক্তি হয়েছে।