
পাকিস্তানের দুর্নীতিবিরোধী সংস্থা জাতীয় জবাবদিহি ব্যুরোর (এনএবি) ক্ষমতা বাড়িয়ে দেশটির প্রেসিডেন্টের একটি অধ্যাদেশ জারি হয়েছে। অধ্যাদেশ অনুযায়ী, সংস্থাটি অভিযুক্ত ব্যক্তিকে হেফাজতে রাখার বাড়তি ক্ষমতা পেয়েছে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে একটি মামলার তদন্ত করছে এই সংস্থা।
আজ মঙ্গলবার পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, গত সোমবার রাতে জারি করা অধ্যাদেশ অনুযায়ী তদন্তে কোনো অভিযুক্ত ব্যক্তি সহায়তা না করলে তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি এবং ৩০ দিন অভিযুক্ত ব্যক্তিকে হেফাজতে রাখার ক্ষমতাও দেওয়া হয়েছে এনএবিকে।
ইমরান খান ও তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবি ইসলামাবাদে এনএবি কার্যালয়ে হাজিরাসহ অন্য মামলায় শুনানিতে অংশ নিতে যাওয়ার কয়েক ঘণ্টা আগে প্রেসিডেন্টের এই অধ্যাদেশ জারি করা হয়। এর আগে ইমরান খান তাঁর লাহোরের বাড়ি থেকে স্ত্রীসহ ইসলামাবাদের উদ্দেশে রওনা দিয়েছিলেন।
গত বছর ক্ষমতা থেকে অপসারিত হন নেতা ইমরান খান। এরপর পাকিস্তানের প্রধান বিরোধীদলীয় এই নেতার বিরুদ্ধে কয়েক ডজন মামলা হয়েছে। ঘুষ গ্রহণের এক মামলায় গত মে মাসে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হলে দেশজুড়ে সহিংস বিক্ষোভ হয়। ইমরান খান এখন জামিনে আছেন।
এনএবির ক্ষমতা বাড়িয়ে অধ্যাদেশ জারির বিষয়টি জানতে পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী মরিয়ম আওরঙ্গজেবের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল বার্তা সংস্থা। তবে তাৎক্ষণিক তাঁর সাড়া পাওয়া যায়নি। পাকিস্তানের আইন অনুয়ায়ী পার্লামেন্টের অধিবেশন না থাকলে প্রেসিডেন্টের অধ্যাদেশ জারি করার মাধ্যমে আইন পাস করা যায়। তবে ৯০ দিনের মধ্যে পার্লামেন্টে তা পাস করিয়ে নিতে হয়।
সরকারের অভিযোগ, প্রধানমন্ত্রী থাকাকাল ইমরান খান ও তাঁর স্ত্রী তাঁদের প্রতিষ্ঠিত একটি দাতব্য সংস্থার মাধ্যমে মালিক রিয়ার নামের একজন রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ঘুষ হিসেবে কয়েক কোটি মার্কিন ডলার নিয়েছেন। এ অভিযোগে ইমরান খান ও তাঁর স্ত্রীর বুশরা বিবির বিরুদ্ধে একটি মামলা হয়েছে।