
ভারত যেকোনো সময় নিয়ন্ত্রণরেখা (এলওসি) বরাবর হামলা চালাতে পারে বলে গতকাল সোমবার সতর্ক করে দিয়েছেন পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ। তিনি বলেছেন, ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে বন্দুকধারীদের হামলার পর পারমাণবিক শক্তিধর দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক ও নিরাপত্তা উত্তেজনা বেড়েই চলেছে।
ইসলামাবাদে সাংবাদিকদের খাজা আসিফ বলেন, ‘গোপন সূত্রে জানা যাচ্ছে, ভারত এলওসির যেকোনো পয়েন্টে হামলা চালাতে পারে…নয়াদিল্লিকে এর উপযুক্ত জবাব দেওয়া হবে।’
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ পেহেলগামে ঘটনা তদন্তে একটি আন্তর্জাতিক কমিশন গঠন করার আহ্বান জানিয়েছেন, উল্লেখ করে খাজা আসিফ বলেন, ‘এই তদন্তের মাধ্যমে পরিষ্কার হবে, ঘটনাটিতে ভারত নিজে বা কোনো অভ্যন্তরীণ গোষ্ঠী জড়িত কি না এবং এতে নয়াদিল্লির ভিত্তিহীন অভিযোগ নিয়ে সত্য উঠে আসবে।’
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ‘রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলে এ অঞ্চলকে পারমাণবিক যুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে ঠেলে দিচ্ছেন’—অভিযোগ করেন খাজা আসিফ। খাইবার-পাখতুনখাওয়া ও বেলুচিস্তান প্রদেশে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে ভারতের জড়িত থাকার পাকিস্তানের দীর্ঘদিনের অভিযোগও আবার তুলে ধরেন তিনি।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ পেহেলগামে ঘটনা তদন্তে একটি আন্তর্জাতিক কমিশন গঠন করার আহ্বান জানিয়েছেন, উল্লেখ করে খাজা আসিফ বলেন, ‘এই তদন্তের মাধ্যমে পরিষ্কার হবে, ঘটনাটিতে ভারত নিজে বা কোনো অভ্যন্তরীণ গোষ্ঠী জড়িত কি না এবং এতে নয়াদিল্লির ভিত্তিহীন অভিযোগ নিয়ে সত্য উঠে আসবে।’
‘জাতিসংঘে আমরা ২০১৬ ও ২০১৭ সালে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে ভারতের অর্থ জোগানোর প্রমাণ দিয়েছিলাম, এমনকি ভিডিও ফুটেজও সরবরাহ করেছিলাম’, দাবি করেন খাজা আসিফ। বলেন, ‘খাইবার-পাখতুনখাওয়া ও বেলুচিস্তানে সাম্প্রতিক সন্ত্রাসের ঢেউ আফগানিস্তান থেকে পরিচালিত গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে যুক্ত, যাদের ভারত সমর্থন করছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
খাজা আসিফ প্রশ্ন তোলেন, পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) দল কেন একদিন আগে অনুষ্ঠিত গুরুত্বপূর্ণ নিরাপত্তা ব্রিফিংয়ে অংশ নেয়নি। তিনি বলেন, ‘আমি জানি না, পিটিআই কেন এ ব্রিফিংয়ে অংশ নিল না।’ তিনি আরও বলেন, ‘সংসদের উভয় কক্ষ চলতি সংকট নিয়ে প্রস্তাব পাস করেছে এবং চাইলে যেকোনো দল সর্বদলীয় সম্মেলন (এপিসি) ডাকার স্বাধীনতা রাখে।’