লাতিন আমেরিকায় যে নাচগুলো জনপ্রিয় সেগুলোর মধ্যে রয়েছে সাম্বা, ট্যাঙ্গো। এ ছাড়া কঙ্গা নৃত্যও জনপ্রিয় এ অঞ্চলে। কিন্তু কুকুর এই নাচ নাচতে পারে কি না, এমন প্রশ্ন উঠতেই পারে। এই অসাধ্য সাধন করেছেন জার্মানির নাগরিক উলফগ্যাং লয়েনবার্গার। আর এ জন্য গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে নাম লিখিয়েছেন তিনি। খবর এনডিটিভির।
কঙ্গা নৃত্য নিয়ে বিভিন্ন ধরনের তথ্য পাওয়া যায়। এক দল বলে থাকেন, এ নাচ এসেছে মধ্য আফ্রিকার বানতু জনগোষ্ঠী থেকে। আবার আরেক দল বলে থাকেন, আফ্রিকার দেশ কঙ্গো থেকে এসেছে এই নৃত্য। এর সঙ্গে মিলে গেছে লাতিন সংগীত। এই দুই মিলে কঙ্গা নৃত্যের প্রচলন হয়েছে। আবার এ–ও বলা হয়ে থাকে, ইউরোপের দরিদ্র্য ও দাসদের নৃত্যের মিশেলে এই নৃত্যের বৈশিষ্ট্য গড়ে উঠেছে। আফ্রিকার কঙ্গো থেকে কিউবায় একসময় দাস আনা হতো। অনেকের ধারণা, এই দাসরা মালার মতো সেজে যে নৃত্য পরিবেশন করতেন, তাই কঙ্গা নৃত্য।
সেই মালার মতো দল বেঁধে নৃত্য পরিবেশনের বিষয়টি এখনো রয়েছে। তবে জার্মানির উলফগ্যাং যেটা করেছেন, অনেকগুলো কুকুরকে এমন মালার মতো সাজিয়ে নৃত্য পরিবেশন করিয়েছেন। এ জন্য ১৪টি কুকুর ব্যবহার করেছেন তিনি। এই ১৪টি কুকুর দিয়ে এক মালা বানিয়ে নৃত্য পরিবেশন করিয়েছেন তিনি।
এ নাচের একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস কর্তৃপক্ষ। এতে দেখা যায়, উলফগ্যাংয়ের নির্দেশে কুকুরগুলো নাচছে। গত ৩১ জানুয়ারি কর্তৃপক্ষ এই ভিডিওটি প্রকাশ করেছে। উলফগ্যাংয়ের সঙ্গে ছিলেন তাঁর ১২ বছরের মেয়ে অ্যালেক্সা লয়েনবার্গার।
যে ১৪টি কুকুর এই নৃত্যের জন্য ব্যবহার করা হয়েছে এর সবগুলোই লয়েনবার্গারদের। ভিডিওটিতে দেখা যায়, অ্যালেক্সা গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস কর্তৃপক্ষের সামনে এই নৃত্য পরিবেশনের আগে তাঁর বাবা উলফগ্যাং একবার কুকুরগুলোকে নিয়ে উন্মুক্ত স্থানে এক নৃত্য পরিবেশন করান। এরপর একটি হলরুমে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস কর্তৃপক্ষের সামনে এই নৃত্য পরিবেশন হয়।
এই ভিডিও মন্তব্যের ঘরে একজন লিখেছেন, ‘সবচেয়ে সুখকর একটি জিনিস আজ দেখলাম।’ আরেকজন লিখেছেন, কী অসাধারণ ভারসাম্য, অসাধারণ মাধুর্য।