ব্রাজিলের সাবেক প্রেসিডেন্ট জইর বলসোনারো
ব্রাজিলের সাবেক প্রেসিডেন্ট জইর বলসোনারো

বলসোনারো আর্জেন্টিনায় পালানোর পরিকল্পনা করেছিলেন, অভিযোগ ব্রাজিল পুলিশের

ব্রাজিলের পুলিশ দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট জইর বলসোনারো (৭০) ও তাঁর ৪১ বছর বয়সী ছেলে এদুয়ার্দোর বিরুদ্ধে বিচারপ্রক্রিয়ায় বাধা দেওয়ার অভিযোগ এনেছে।

২০২২ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে লুইস ইনাসিও লুলা দা সিলভার কাছে পরাজিত হন বলসোনারো। পরে তাঁর বিরুদ্ধে ক্ষমতা ধরে রাখতে অভ্যুত্থানের ষড়যন্ত্রের অভিযোগে মামলা হয়।

পুলিশের অভিযোগ, বলসোনারো ও তাঁর ছেলে ওই মামলার বিচারপ্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপের চেষ্টা করেছেন।

পুলিশ জানায়, তারা বলসোনারোর মুঠোফোনে একটি নথি পেয়েছে। এতে দেখা গেছে, তিনি ফৌজদারি মামলার হাত থেকে বাঁচতে ব্রাজিল থেকে পালিয়ে আর্জেন্টিনায় আশ্রয় নিতে চেয়েছিলেন।

এ ছাড়া পুলিশ এদুয়ার্দো বলসোনারোর বিরুদ্ধেও অভিযোগ তুলেছে, তিনি তাঁর বাবার পক্ষ হয়ে ট্রাম্প প্রশাসনের কাছে লবিং করেছিলেন। এ কারণে যুক্তরাষ্ট্র ব্রাজিলের পণ্যের ওপর শাস্তিমূলক শুল্ক আরোপ করেছিল।

অভ্যুত্থান মামলার চূড়ান্ত ধাপ শুরুর দুই সপ্তাহের কম সময় আগে ১৭০ পাতার পুলিশি প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ায় বলসোনারোর ওপর আরও চাপ বাড়ল।

অভ্যুত্থানের ষড়যন্ত্রের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন জইর বলসোনারো। তিনি বিচারপ্রক্রিয়ার ন্যায্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তাঁর দাবি, তিনি রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার।

গত মাসে বলসোনারো বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেছিলেন, রায় দেওয়ার দায়িত্বপ্রাপ্ত সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ বিচারক ইতিমধ্যেই তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছেন। এতে কোনো সন্দেহ নেই। অন্যদিক বিচারপ্রক্রিয়া থেকে বাঁচার জন্য তিনি কখনো পালানোর পরিকল্পনা করেননি বলেও দাবি করেছেন।

বলসোনারো রয়টার্সকে বলেন, ‘আমি কখনো দেশ ছাড়ার কথা ভাবিনি, কখনো না।’ ২০২৬ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অংশগ্রহণ থেকে বিরত রাখার জন্য তাঁর বিরুদ্ধে অভ্যুত্থানের অভিযোগ আনা হয়েছে বলেও দাবি করেন বলসোনারো।

তবে গত বুধবার দাখিল করা প্রতিবেদনে পুলিশ বলেছে, তারা বলসোনারোর মুঠোফোনে একটি চিঠির খসড়া পেয়েছে, যেখানে আর্জেন্টিনায় রাজনৈতিক আশ্রয় চাওয়া হয়েছে।

পুলিশের প্রতিবেদনে বলা হয়, ৩৩ পাতার ওই চিঠি সরাসরি আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট হাভিয়ের মিলেইয়ের উদ্দেশে লেখা হয়েছিল। বলসোনারো মিলেইয়ের রাজনৈতিক মিত্র। তিনি বলসোনারোর ওপর নিপীড়নের নিন্দা জানিয়েছিলেন।

জইর বলসোনারো বর্তমানে গৃহবন্দী। তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করতে কিংবা ছেলে এদুয়ার্দোর সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবেন না।