Thank you for trying Sticky AMP!!

ইকুয়েডরে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হত্যায় গ্রেপ্তার সবাই কলম্বিয়ার, অস্ত্র–গোলাবারুদ উদ্ধার

ফার্নান্দো ভিলাভিসেনসিও

লাতিন আমেরিকার দেশ ইকুয়েডরের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ফার্নান্দো ভিলাভিসেনসিওকে হত্যার ঘটনায় সন্দেহভাজন ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁরা সবাই বিদেশি, প্রতিবেশী কলম্বিয়ার নাগরিক। এ ছাড়া পুলিশের গুলিতে নিহত আরেক সন্দেহভাজন খুনিও কলম্বিয়ার নাগরিক। গতকাল বৃহস্পতিবার এ তথ্য জানিয়েছে ইকুয়েডর পুলিশ।

গত বুধবার রাতে ইকুয়েডরের রাজধানী কুইটোতে একটি নির্বাচনী প্রচারণা শেষ করার পর সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হন ভিলাভিসেনসিও। দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জুয়ান জাপাতা বলেছেন, এ ঘটনার তদন্ত করছে পুলিশ। হত্যাকাণ্ডের পেছনে কী কারণ ছিল এবং কারা এ কাজে বুদ্ধি দিয়ে সহায়তা করেছে, তা বের করতে কাজ করবেন পুলিশ কর্মকর্তারা।

বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলনে গ্রেপ্তার ছয়জনের নাম জানিয়েছেন জুয়ান জাপাতা। তাঁরা হলেন আন্দ্রেস এম, হোসে এন, এদি জি, ক্যামিলো আর, জুলস সি ও জন রদ্রিগেজ। এক অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে অস্ত্র, গোলাবারুদ, দুটি মোটসাইকেল ও একটি চুরি করা গাড়ি জব্দ করা হয়।

ইকুয়েডরে সংঘবদ্ধ অপরাধ চক্রের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন ভিলাভিসেনসিও। দেশটির যে স্বল্প কয়েকজন প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী সরকারি কর্মকর্তাদের দুর্নীতি নিয়ে অভিযোগ তুলেছিলেন, তাঁদের মধ্যে অন্যতম ভিলাভিসেনসিও।

ভিলাভিসেনসিওকে হত্যার পর ইকুয়েডরে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। এরই মধ্যে পরিকল্পনা অনুযায়ী ২০ আগস্ট প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট গুইলারমো লাসো। তাঁর ভাষ্যমতে, নির্বাচন ব্যাহত করতে এ হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে।

গুইলারমো লাসো বলেছেন, ভিলাভিসেনসিও হত্যার পেছনে সংঘবদ্ধ অপরাধী চক্র জড়িত। হত্যার ঘটনা তদন্তে যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দাদের কাছে সহায়তা চাওয়া হয়েছে। শিগগিরই মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআইয়ের কর্মকর্তারা ইকুয়েডরে আসবেন।

Also Read: ইকুয়েডরে প্রেসিডেন্টপ্রার্থী গুলিতে নিহতের পর জরুরি অবস্থা জারি