
দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ইকুয়েডরের জনগণ গণভোটে ‘না’ ভোট বেশি দিয়েছেন। দেশটির মাটিতে বিদেশি সামরিক ঘাঁটি পুনঃস্থাপনে জনগণের সম্মতি আছে কি না, সেটি যাচাই করতে এ গণভোটের আয়োজন করা হয়।
রোববার (১৬ নভেম্বর) ইকুয়েডরে গণভোট অনুষ্ঠিত হয়। ভোট গণনা পুরোপুরি শেষ হয়নি। তবে এক–তৃতীয়াংশের বেশি গণনা শেষে দেখা গেছে, বিদেশি সামরিক ঘাঁটি পুনঃস্থাপনের প্রশ্নে ৬০ শতাংশ ভোটার ‘না’ ভোট দিয়েছেন।
গতকালের গণভোটে ভোটারদের সামনে আরেকটি প্রস্তাব ছিল। সেটি হলো বিদ্যমান সংবিধানের পুনর্লিখন। এতেও ‘না’ ভোট এগিয়ে আছে। ৬১ শতাংশ ভোটার প্রস্তাবটি খারিজ করে দিতে ‘না’ ভোট দিয়েছেন। যদিও এ বিষয়ে এখনো ৩৬ শতাংশ ভোট গণনা হয়েছে।
২০০৮ সালে ইকুয়েডর নিজেদের সীমানায় বিদেশি সামরিক ঘাঁটি নিষিদ্ধ করেছিল।
গণভোটে ‘হ্যাঁ’ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলে প্রশান্ত মহাসাগরের উপকূলের ‘মান্তা’ বিমানঘাঁটিতে যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবাহিনীর উপস্থিতি ফেরানোর পথ খুলে যেত। একসময় ওয়াশিংটনের মাদকবিরোধী অভিযানের মূলকেন্দ্র ছিল এ ঘাঁটি।
সম্ভাব্য এ পরাজয় ইকুয়েডরের তরুণ প্রেসিডেন্ট ড্যানিয়েল নোবোয়ার জন্য বড় ধাক্কা হিসেবে ধরা হচ্ছে। তিনি দুটি প্রস্তাবের পক্ষেই শক্ত অবস্থান নিয়েছিলেন।
প্রেসিডেন্ট নোবোয়া বলেছিলেন, বিদেশি সহযোগিতা এবং দেশের মাটিতে বিদেশি সামরিক ঘাঁটির উপস্থিতি ‘সংগঠিত অপরাধের’ বিরুদ্ধে লড়াইয়ের কেন্দ্রস্থল হিসেবে ভূমিকা রাখবে।
সাবেক বামপন্থী প্রেসিডেন্ট রাফায়েল কোরেয়ার অধীন প্রণয়ন করা বর্তমান সংবিধানে দেশের নতুন বাস্তবতার কোনো প্রতিফলন নেই। তাই এটা সংশোধন ও পুনর্লিখন করা দরকার—বলেছিলেন প্রেসিডেন্ট নোবোয়া।
কিন্তু ইকুয়েডরের জনগণ গণভোটে প্রেসিডেন্ট নোবোয়ার এমন অবস্থান খারিজ করার পক্ষে মত দিয়েছেন। অন্তত এখন পর্যন্ত প্রাপ্ত ফলাফল সেটিই বলছে।