দাঙ্গায় বলসোনারোর ভূমিকা তদন্তে সুপ্রিম কোর্টের সায়
রাজধানী ব্রাসিলিয়ায় সরকারি বিভিন্ন ভবনে হামলার ঘটনায় ব্রাজিলের ডানপন্থী সাবেক প্রেসিডেন্ট জইর বলসোনারোকেও তদন্তের আওতায় আনার বিষয়ে সায় দিয়েছেন দেশটির সুপ্রিম কোর্ট। ৮ জানুয়ারির দাঙ্গার ঘটনায় এই প্রথমবারের মতো সম্ভাব্য দায়ী ব্যক্তিদের মধ্যে বলসোনারোর নামও এসেছে।
এক ভিডিওতে গত অক্টোবরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বলসোনারো। এর কয়েক দিন পরই দাঙ্গায় তাঁর ভূমিকাও তদন্তের বিষয়ে এ সিদ্ধান্ত এল।
সরকারি কৌঁসুলিরা বলছেন, এ ধরনের দাবির মাধ্যমে বলসোনারো অপরাধে উসকানি দিয়ে থাকতে পারেন। তাঁরা গতকাল শুক্রবার সাবেক প্রেসিডেন্টকেও তদন্তের আওতায় আনতে সুপ্রিম কোর্টের কাছে আবেদন জানান।
ভিডিওতে বলসোনারো দাবি করেন, ভোটে জিতে ক্ষমতায় আসেননি প্রেসিডেন্ট লুলা দা সিলভা। বরং সুপ্রিম কোর্ট ও ব্রাজিলের নির্বাচন কর্তৃপক্ষের পছন্দে তিনি প্রেসিডেন্ট হয়েছেন।
Also Read: বলসোনারোকে কি যুক্তরাষ্ট্র ছাড়তে হবে?
গত রোববারের দাঙ্গার পর ভিডিওটি প্রকাশ করা হয়েছিল। তবে পরে সেটি সরিয়ে নেওয়া হয়। প্রসিকিউটর জেনারেলের কার্যালয় যুক্তি দিয়েছিল, এ ধরনের বক্তব্যই বলসোনারোর আচরণের আগে থেকেই তদন্তের ন্যায্যতা প্রমাণের জন্য যথেষ্ট।
বলসোনারোর হাজারো উগ্র সমর্থক রোববার দেশটির সুপ্রিম কোর্ট ও কংগ্রেস ভবন এবং প্রেসিডেন্ট প্রাসাদে তাণ্ডব চালায়। তাঁদের দাবি, গত নির্বাচনে কারচুপি হয়েছিল। সামরিক অভ্যুত্থানের আহ্বান জানিয়ে তাঁরা কয়েক সপ্তাহ ধরে রাজধানী ব্রাসিলিয়া ও এর বাইরে তাঁবু টানিয়ে অবস্থান নেন।
লুলার কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে অস্বীকৃতি জানান বলসোনারো। ডিসেম্বরের শেষ দিকে এ অনুষ্ঠানের দুই দিন আগে যুক্তরাষ্ট্রে চলে যান তিনি। ফ্লোরিডায় অবস্থান করা বলসোনারো পেটে ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন বলেও জানান তাঁর স্ত্রী।
দাঙ্গার ঘটনায় অনেক ব্যবসায়ী ও সরকারি কর্মকর্তাকে তদন্তের আওতায় আনা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন ব্রাসিলিয়ার সাবেক নিরাপত্তাপ্রধান অ্যান্ডারসন টরেস। দাঙ্গার আগে তিনিও যুক্তরাষ্ট্রে চলে যান।
গত বৃহস্পতিবার পুলিশ টরেসের বাড়িতে তল্লাশি চালায়। সেখানে নির্বাচনের ফলাফল পাল্টে দেওয়ার চেষ্টার কথিত একটি নথি পাওয়া গেছে বলে তারা জানিয়েছে।