যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, আগামী সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের কর্মকর্তাদের মধ্যে বৈঠক হবে। ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধের কারণে স্থগিত হওয়া সংলাপ ওই বৈঠকের মাধ্যমে পুনরায় শুরু হবে বলে জানান তিনি।
আল–জাজিরার খবরে বলা হয়, ন্যাটো সম্মেলনে নেদারল্যান্ডসে এক সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প বলেন, ‘আমি তোমাদের বলছি, আমরা আগামী সপ্তাহে ইরানের সঙ্গে কথা বলব। একটা চুক্তিও হতে পারে।’ তিনি বলেন, ইরানের সঙ্গে আবার আলোচনা শুরুর ব্যাপারে তিনি খুব একটা আগ্রহী নন, কারণ যুক্তরাষ্ট্রের হামলায় ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি ধ্বংস হয়ে গেছে।
ট্রাম্প বলেন, ‘আমার দৃষ্টিতে তারা (ইরান-ইসরায়েল) যুদ্ধ করেছিল, আর এখন যুদ্ধ শেষ।’
১২ দিনের যুদ্ধ শেষে ইসরায়েল ও ইরান ক্লান্ত বলে উল্লেখ করেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, ইসরায়েল ও ইরান দুপক্ষই ‘ক্লান্ত’ হয়ে পড়েছে, তবে তাদের মধ্যে সংঘাত আবারও শুরু হতে পারে।
ট্রাম্প বলেন, ‘আমি দুপক্ষের সঙ্গেই কথা বলেছি, ওরা দুই পক্ষই ক্লান্ত, শ্রান্ত... কিন্তু এটা কি আবার শুরু হতে পারে? হয়তো একদিন হতে পারে। এমনকি খুব শিগগিরও শুরু হতে পারে।’
১২ দিনের সংঘাতে ইরানের অন্তত ১৪ বিজ্ঞানীকে হত্যা করার দাবি করেছে ইসরায়েল। তাঁদের মধ্যে রসায়নবিদ, পদার্থবিদ ও প্রকৌশলী আছেন। বার্তা সংস্থা এপির বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে আল-জাজিরা।
ফ্রান্সে নিযুক্ত ইসরায়েলি রাষ্ট্রদূত জোশুয়া জারকা দাবি করেছেন, এসব হত্যাকাণ্ডের ফলে ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের বোমা হামলা থেকে যে পারমাণবিক অবকাঠামো ও উপকরণ টিকে আছে, সেগুলো দিয়ে ইরানের পক্ষে অস্ত্র তৈরি প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়বে।
রাষ্ট্রদূত জোশুয়া বলেন, ইরানি বিজ্ঞানীদের গোটা দল নিশ্চিহ্ন হওয়ার ঘটনা ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচিকে অনেক বছর পিছিয়ে দিয়েছে।
রাষ্ট্রদূত জোশুয়া গত সোমবার এ কথা বলেন। এরপর গতকাল মঙ্গলবার ইসরায়েলি হামলায় ইরানের রাজধানী তেহরানে দেশটির আরও একজন পরমাণুবিজ্ঞানীর নিহত হওয়ার খবর জানা যায়।
জোশুয়ার এমন দাবি সত্ত্বেও বিশ্লেষকদের অনেকে বলছেন, ইরানে আরও বিজ্ঞানী বেঁচে আছেন। তাঁরা শিগগির নিহত বিজ্ঞানীদের স্থলাভিষিক্ত হবেন। এসব হত্যার ঘটনা ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচিকে পিছিয়ে দিতে পারে, তবে শেষ করতে পারবে না।
ইরানে যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক হামলা সংক্রান্ত গোপন গোয়েন্দা প্রতিবেদন সংবাদমাধ্যমে ফাঁস হওয়া নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। নিজের মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে দেওয়া এক পোস্টে ক্ষোভ জানান তিনি। খবর বিবিসির।
ট্রুথ সোশ্যাল পোস্টে ট্রাম্প লিখেছেন, ‘ভুয়া খবরে সিএনএন, ডুবন্ত নিউইয়র্ক টাইমসের সঙ্গে মিলে ইতিহাসের অন্যতম সফল সামরিক অভিযানের গুরুত্বকে খাটো করে দেখাতে চাইছে। ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলো পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে! টাইমস আর সিএনএন—দুই প্রতিষ্ঠানকে নিয়েই সাধারণ মানুষ ক্ষুব্ধ!’
ফাঁস হওয়া গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক হামলায় ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি ধ্বংস হয়নি।
ট্রাম্প প্রশাসন সেই দাবিকে প্রত্যাখ্যান করে যাচ্ছে।
ইসরায়েলের পক্ষে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে তিন ব্যক্তির ফাঁসি কার্যকর করেছে ইরান। আজ বুধবার ইরানের বিচার বিভাগ এ তথ্য জানিয়েছে। ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার এক দিনের মাথায় এ ঘটনা ঘটল। খবর এএফপির।
ইরানের বিচার বিভাগের পক্ষ থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়, ইদ্রিস আলী, আজাদ শোজাই ও রাসুল আহমদ রাসুল নামের তিন ব্যক্তি হত্যাকাণ্ড চালানোর উদ্দেশ্যে দেশটির ভেতরে সরঞ্জাম ঢোকানোর চেষ্টা চালিয়েছিলেন। জায়নবাদী শাসককে (ইসরায়েল) সহযোগিতা করার অভিযোগে তাঁদের গ্রেপ্তার করে বিচার করা হয়।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, আজ সকালে রায় কার্যকর করা হয়েছে এবং তাঁদের ফাঁসিতে ঝোলানো হয়েছে।
ইরানের বিচার বিভাগের তথ্য অনুসারে, উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর উরমিয়ায় ওই তিন ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। তুরস্কের সীমান্তের কাছে উরমিয়ার অবস্থান।
কাতারের ভূখণ্ডে মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে গত সোমবারের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার কারণে দেশটির আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির কাছে ‘দুঃখ প্রকাশ’ করেছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান। খবর আল-জাজিরার।
আমিরের দপ্তর (দিওয়ান) থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়, মঙ্গলবার টেলিফোনে কথা বলেছেন দুই নেতা। এ সময় ইরানের প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘হামলার লক্ষ্যবস্তু কাতার বা দেশটির জনগণ ছিল না। বরং কাতারে অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্রের আল উদেইদ বিমানঘাঁটিতে হামলা চালানো হয়েছে। এটা উপসাগরীয় দেশটির (কাতার) জন্য কোনো হুমকি নয়।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ফোনালাপে ইরানের প্রেসিডেন্ট জোর দিয়ে বলেছেন, একটি প্রতিবেশী ও মুসলিম দেশ হিসেবে কাতারের সঙ্গে ইরানের সম্পর্ক রয়ে যাবে। পেজেশকিয়ান আশা করেন, দুই দেশের সম্পর্ক সর্বদা সার্বভৌমত্ব আর সুপ্রতিবেশীসুলভ আচরণের নীতির ওপর ভিত্তি করে বজায় থাকবে।
গত সোমবার কাতারের ভূখণ্ডে যুক্তরাষ্ট্রের আল উদেইদ বিমানঘাঁটিতে ১৯টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে ইরান। মধ্যপ্রাচ্যে এটাই সবচেয়ে বড় মার্কিন সামরিক ঘাঁটি। কাতারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, কাতারের প্রতিরক্ষা বাহিনী ১৮টি ক্ষেপণাস্ত্র নিষ্ক্রিয় করে।
ইরান-ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি দ্বিতীয় দিনের মতো কার্যকর থাকায় ইসরায়েলে মার্কিন দূতাবাসের সব ধরনের বিধিনিষেধ তুলে নেওয়া হয়েছে। মার্কিন দূতাবাসের নিয়মিত কনস্যুলার কার্যক্রম আবার শুরু হয়েছে। খবর আল-জাজিরার।
দূতাবাসের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইসরায়েলে অবস্থানরত মার্কিন সরকারি কর্মচারী ও তাঁদের পরিবারের সদস্যদের জন্য জারি করা ‘নিরাপদ আশ্রয়ে থাকার’ নির্দেশনা তুলে নেওয়া হয়েছে।
পাসপোর্ট ও অন্যান্য কনস্যুলার পরিষেবার জন্য পূর্বনির্ধারিত অ্যাপয়েন্টমেন্টগুলো আবার স্বাভাবিক সময়সূচিতে চলবে বলে বিবৃতিতে জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, আগামী ৩০ জুন থেকে জেরুজালেম ও তেল আবিবে ভিসা কার্যক্রম আবার শুরু হবে।
ইসরায়েলের ‘গুপ্তচর’ নেটওয়ার্কের সঙ্গে সম্পৃক্ততার সন্দেহে ৭০০ জনের বেশি মানুষকে গ্রেপ্তার করেছে ইরানের গোয়েন্দা ও নিরাপত্তা বাহিনী। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের বরাতে এ খবর দিয়েছে আল-জাজিরা।
ইরানের বার্তা সংস্থা ফার্সসহ দেশটির অন্যান্য সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরায়েলের সঙ্গে ১২ দিন ধরে চলা সংঘাতের মাঝেই সন্দেহভাজন এসব গুপ্তচরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
হামলার অজুহাত বানাতে ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল অপতথ্য ছড়িয়েছে বলে অভিযোগ করেছে রাশিয়া। জাতিসংঘে নিযুক্ত রুশ রাষ্ট্রদূত ভাসিলি নেবেনজিয়া এই অভিযোগ করেন। খবর আরটির।
জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে গতকাল মঙ্গলবার রুশ দূত ভাসিলি বলেন, ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী অবৈধ। আর এসব হামলা তেজস্ক্রিয় দূষণের ‘বাস্তবিক ঝুঁকি তৈরি’ করেছে।
ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলো পর্যবেক্ষণের পর আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার (আইএইএ) প্রতিবেদনের কথা উল্লেখ করেন রুশ রাষ্ট্রদূত। তিনি বলেন, তাঁরা জোর দিয়ে বলতে চান, আইএইএর প্রতিবেদনে এমন কিছু বলা হয়নি যে, ইরান তাদের পারমাণবিক মজুত সামরিক বা গোপন উদ্দেশ্যে ব্যবহার করছে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন দিয়েছেন দেশটির একজন কংগ্রেস সদস্য।
ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে প্রায় দুই সপ্তাহের সংঘাতের পর দুই পক্ষের যুদ্ধবিরতিতে মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকার জন্য ট্রাম্পকে এ মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। খবর আরটির।
নরওয়ের নোবেল কমিটিকে পাঠানো এক চিঠিতে মার্কিন রিপাবলিকান কংগ্রেস সদস্য আর্ল ‘বাডি’ কার্টার প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে এ মনোনয়ন দেন। তিনি বলেন, ‘পশ্চিম জেরুজালেম ও তেহরানের মধ্যে যুদ্ধবিরতিতে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ভূমিকাটি ‘অসাধারণ ও ঐতিহাসিক।’
ট্রাম্পের যুদ্ধবিরতি ঘোষণার কয়েকদিন আগেই যুক্তরাষ্ট্র ইরানের ফর্দো, নাতাঞ্জ ও ইস্পাহানে পারমাণবিক স্থাপনায় নজিরবিহীন বিমান হামলা চালায়।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের দাবি, এ স্থাপনাগুলো সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে।
তবে তেহরান বলেছে, তাদের কোনো স্থাপনাই ধ্বংস হয়নি ও তাদের বেসামরিক পারমাণবিক কর্মসূচি ছাড়ার প্রশ্নই ওঠে না।
গতকাল মঙ্গলবার ট্রাম্প ওই যুদ্ধবিরতি ঘোষণা দেওয়ার কিছুক্ষণ পরই ইসরায়েল ও ইরান আবারও একে অপরকে লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে। এরপরই উভয় পক্ষকে কড়া ভাষায় তিরস্কার করেন ট্রাম্প। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, এ ঘটনার পর ইসরায়েল আর নতুন করে হামলায় যায়নি।
ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় ২২ জুন ভোরে হামলা চালায় যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হোয়াইট হাউসের সিচুয়েশন কক্ষে বসে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে নিয়ে হামলা পর্যবেক্ষণ করেন। ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় ট্রাম্পের হামলার মধ্য দিয়ে মধ্যপ্রাচ্যের উত্তেজনাকর পরিস্থিতি নতুন মাত্রা পায়। খবর সিএনএনের।
হামলার জবাব দিতে পিছপা হয়নি ইরানও। এক দিনের মধ্যে উপসাগরীয় দেশ কাতারে অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় তেহরান। পরবর্তী সময়ে ট্রাম্পের উদ্যোগে ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে ১২ দিন ধরে চলা সংঘাতের আপাতত লাগাম টানা হয় যুদ্ধবিরতি কার্যকর করে।
ট্রাম্পের নির্দেশে ইরানে হঠাৎ যুক্তরাষ্ট্রের হামলা চালানোর ঘটনা সমর্থন করছেন না বেশির ভাগ মার্কিন নাগরিক। সিএনএন/এসএসআরএসের সাম্প্রতিক এক জরিপে এই মনোভাব উঠে এসেছে। কাতারে মার্কিন ঘাঁটিতে ইরানের পাল্টা হামলার আগে জরিপটি করা হয়েছে।
জরিপে প্রশ্ন ছিল, ইরানের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক পদক্ষেপ সমর্থন করেন কি না? জবাবে জরিপে অংশ নেওয়া ৫৬ শতাংশ মার্কিন বলেছেন, তাঁরা এটা সমর্থন করতে পারছেন না। আর হামলার পক্ষে রয়েছেন ৪৪ শতাংশ মার্কিন। ট্রাম্পের দল রিপাবলিকানদের মধ্যে ৮২ শতাংশ সামরিক পদক্ষেপের পক্ষে। অন্যদিকে ডেমোক্রেটিক দলের ৮৮ শতাংশ বলেন, এ পদক্ষেপ সমর্থনযোগ্য নয়।
জরিপে অংশ নেওয়া ৫৮ শতাংশ মার্কিন বলছেন, ট্রাম্পের সামরিক পদক্ষেপের ফলে যুক্তরাষ্ট্রের জন্য ইরান আরও বড় হুমকি হয়ে উঠবে। মাত্র ১৫ শতাংশ মনে করছেন, ইরান বড় হুমকি হবে না। ৮৫ শতাংশ ডেমোক্র্যাট মনে করছেন, ইরান আরও বড় হুমকি হয়ে উঠবে। রিপাবলিকানদের মধ্যে এ হার ৩০ শতাংশ।
ইরানে হামলা চালিয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্প সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন—এমনটা মনে করছেন জরিপে অংশ নেওয়া মাত্র ২২ শতাংশ মার্কিন। ২৩ শতাংশ মাঝামাঝিতে বা নিরপেক্ষ অবস্থানে রয়েছেন। অন্যদিকে ৩৮ শতাংশ মনে করছেন, ট্রাম্পের সিদ্ধান্ত সঠিক ছিল না। রিপাবলিকানদের মধ্যে ৫১ শতাংশ মনে করছেন, ট্রাম্পের সিদ্ধান্ত সঠিক। ডেমোক্র্যাটদের ৭১ শতাংশের মতে, ট্রাম্প সঠিক সিদ্ধান্ত নেননি।
ইসরায়েলের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তি করার সন্দেহে ইরানের খুজেস্তান প্রদেশে ২৩ জন ব্যক্তির বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আনা হয়েছে। ইরানের আধা-সরকারি বার্তা সংস্থা তাসনিম এমন তথ্য প্রকাশ করেছে। খবর আল জাজিরার।
তাসনিমের প্রতিবেদনে বলা হয়, ইরাক সীমান্তঘেঁষা দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর আহভাজের সরকারি কৌঁসুলিরা এই ২৩ ব্যক্তির বিরুদ্ধে ‘রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ড’ এবং ‘শত্রুর পক্ষে তথ্য সংগ্রহ ও প্রচার চালানোর’ মতো অভিযোগ এনেছেন।
তবে স্বাধীন গণমাধ্যম বা মানবাধিকার সংগঠনগুলোর পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে এসব অভিযোগ যাচাই করা সম্ভব হয়নি।
এর আগে আজ বুধবার তাসনিমের খবরে বলা হয়, উরমিয়া অঞ্চলে সরকারের বিরুদ্ধে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে আরও তিন ব্যক্তিকে ফাঁসি দিয়েছে ইরান।
এ নিয়ে গত ১৩ জুন ইরানে ইসরায়েলি সামরিক অভিযান শুরুর পর থেকে অন্তত ৬ জনকে ফাঁসি দিয়েছে তেহরান।
ইরানের বিচার বিভাগ বলেছে, ইসরায়েলের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তি করার সন্দেহে গত ১২ দিনে অন্তত ৭০০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ইসরায়েলের হামলায় নিহত ইরানের জ্যেষ্ঠ সামরিক কমান্ডার ও শীর্ষ বিজ্ঞানীদের রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় জানাজা আগামী শনিবার অনুষ্ঠিত হবে। ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমের বরাতে টিআরটি ওয়ার্ল্ড এ খবর জানিয়েছে।
যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার এক দিন পর আজ বুধবার ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়, ১২ দিন ধরে চলা ইহুদি রাষ্ট্রের আগ্রাসনে শহীদ কমান্ডার ও বিজ্ঞানীদের রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় জানাজা আগামী শনিবার রাজধানী তেহরানে অনুষ্ঠিত হবে। স্থানীয় সময় সকাল ৮টা থেকে এই আয়োজন শুরু হবে।
১৩ জুন ইরানে হামলা চালায় ইসরায়েল। জবাবে ইসরায়েলে পাল্টা হামলা শুরু করে ইরান। এই সংঘাতের মধ্যে ২১ জুন ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় যুক্তরাষ্ট্র হামলা চালায়। এর জবাব দেয় ইরান। পরদিন ২৩ জুন কাতারের মার্কিন সামরিক ঘাঁটি নিশানা করে ইরান হামলা চালায়। টানা ১২ দিন ধরে চলা এ সংকটের মধ্যে হঠাৎ যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, যা গতকাল মঙ্গলবার কার্যকর হয়েছে।
সংঘাতে ইরানের অন্তত ১৪ জন বিজ্ঞানীকে হত্যা করার দাবি করেছে ইসরায়েল। ইসরায়েলি হামলায় নিহত হয়েছেন ইরানের বেশ কয়েকজন জ্যেষ্ঠ সামরিক কর্মকর্তাও।
ইরানের একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র-ড্রোন হামলায় পর্যুদস্ত ইসরায়েলিরা এখন বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সরকারের কাছে ক্ষতিপূরণ চাইছেন। এ জন্য প্রায় ৩৯ হাজার আবেদন জমা পড়েছে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের বরাতে গতকাল মঙ্গলবার এ খবর জানিয়েছে তুরস্কের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা আনাদোলু।
সংবাদমাধ্যমটির খবর, ইরানি হামলায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য একটি ক্ষতিপূরণ তহবিল গঠন করেছে ইসরায়েলের কর কর্তৃপক্ষ। ১৩ জুন ইরান-ইসরায়েলের মধ্যে সংঘাত শুরুর পর থেকে এ তহবিল থেকে ক্ষতিপূরণ চেয়ে মোট ৩৮ হাজার ৭০০টি আবেদন জমা পড়েছে।
ইরানের ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে ঘরবাড়ি-ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় ক্ষতিপূরণ চেয়ে আবেদন জমা পড়েছে ৩০ হাজার ৮০৯টি। এ ছাড়া ৩ হাজার ৭১৩টি আবেদন জমা পড়েছে যানবাহনের ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার কারণে। যন্ত্রপাতি আর অন্যান্য জিনিস ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কারণে ক্ষতিপূরণ চেয়ে আবেদন জমা পড়েছে ৪ হাজার ৮৫টি।
ইসরায়েলি ওয়েবসাইট বেহাদ্রেই হারেদিমের তথ্যমতে, শুধু তেল আবিবেই ক্ষতিপূরণ চেয়ে ২৪ হাজার ৯৩২টির বেশি আবেদন জমা পড়েছে। দক্ষিণাঞ্চলের আশকেলন শহরে আবেদন জমা পড়েছে ১০ হাজার ৭৯৩টি।
ইসরায়েল সরকারের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্ত ইসরায়েলিদের কী পরিমাণে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে, সেটা এখনো জানানো হয়নি।
আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার (আইএইএ) সঙ্গে সহযোগিতা স্থগিত–সংক্রান্ত একটি বিল অনুমোদন করেছে ইরানের পার্লামেন্ট। আজ বুধবার বিলটি অনুমোদন দেওয়া হয় বলে জানিয়েছে দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম নুর নিউজ।
ইসরায়েলের সঙ্গে টানা ১২ দিনের সংঘাতের পর ইরান এমন সিদ্ধান্ত নিলো। ইসরায়েলের দাবি, তারা তেহরানকে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করা থেকে বিরত রাখতে চায়। অন্যদিকে তেহরানের দাবি, শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্যে তারা পারমাণবিক কর্মসূচি চালাচ্ছিল।
বিলটিকে আইনে পরিণত করতে ইরানের গার্ডিয়ান কাউন্সিলের অনুমোদন নিতে হবে। বিলে বলা হয়েছে, ভবিষ্যতে আইএইএ যদি ইরানের কোনো পারমাণবিক স্থাপনা পরিদর্শন করতে চায়, সেক্ষেত্রে জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের অনুমোদন নিতে হবে।
চলতি সপ্তাহে ইরানের পার্লামেন্টের জাতীয় নিরাপত্তা কমিটি বিলটির সাধারণ কাঠামো অনুমোদন করেছে। কমিটির মুখপাত্র জানান, এই বিল কার্যকর হলে ইরানে নজরদারি ক্যামেরা স্থাপন, পরিদর্শন এবং আইএইএর কাছে প্রতিবেদন দাখিল স্থগিত করা হবে।
বিল অনুমোদনের বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য করেনি আইএইএ। তবে আজ বুধবার সংস্থাটির প্রধান রাফায়েল গ্রোসি বলেছেন, ইরানে পরিদর্শকদের আবার পাঠানোর চেষ্টা করছেন তিনি। বিশেষ করে, ১৩ জুন ইসরায়েলের হামলার আগপর্যন্ত যেখানে তেহরান ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করছিল সেখানে।
যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের হামলায় ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলো ‘ভয়াবহভাবে ক্ষতিগ্রস্ত’ হয়েছে বলে জানিয়েছে তেহরান।
আল-জাজিরার খবরে বলা হয়, ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র এসমাইল বাঘাঈ পারমাণবিক স্থাপনাগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কথা জানান।
যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের হামলায় ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর অবস্থা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে এসমাইল বাঘাঈ বলেন, ‘হ্যাঁ, আমাদের পারমাণবিক স্থাপনাগুলো ভয়াবহভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘এটা নিশ্চিত, কারণ এগুলোর ওপর একের পর এক হামলা হয়েছে।
বাঘাঈ বলেন, ‘এই বিষয়ে আমার আর কিছু বলার নেই, কারণ এটি একটি প্রযুক্তিগত বিষয়।’ তিনি জানান, ইরানের পরমাণু শক্তি সংস্থা ও অন্যান্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এই বিষয়টি দেখছে।
ইসরায়েলে সামরিক বাহিনী বলেছে, ইসরায়েল লক্ষ্য করে ইয়েমেন থেকে ড্রোন ছোড়া হয়েছে। তবে ইসরায়েল সেই ড্রোন ‘ভূপাতিত’ করেছে।
আল-জাজিরার খবরে বলা হয়, ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী জানায়, ড্রোনটি ইসরায়েলি আকাশসীমায় প্রবেশ করেনি এবং এ ঘটনায় কোনো সতর্কতা সংকেত চালু হয়নি।
ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী দেশটির নাগরিকদের মোবাইলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ভুয়া সতর্কবার্তা পাঠিয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির সংবাদমাধ্যম আরুতজ শেভা। আজ বুধবার ভুলবশত ওই বার্তা পাঠানো হয় বলে জানিয়ে সামরিক বাহিনী।
আল-জাজিরার খবরে এ কথা জানানো হয়। সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, ‘অভ্যন্তরীণ সিস্টেম পরীক্ষা’ চলাকালে একটি ‘কারিগরি ত্রুটির’ কারণে ভুলবশত এই বার্তা নাগরিকদের কাছে পাঠানো হয়।
সামরিক বাহিনী বলেছে, কোনো ধরনের নিরাপত্তাজনিত সমস্যা ঘটেনি। ভুলবশত নাগরিকদের কাছে সতর্ক বার্তা পাঠানোর বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র এসমাইল বাঘাঈ বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র একদিকে কূটনীতির কথা বলে, আরেকদিকে ইসরায়েলকে সবুজ সংকেত দেয়। তারপরও কীভাবে যুক্তরাষ্ট্রের ওপর বিশ্বাস থাকে? তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র কূটনীতি ধ্বংস করে দিয়েছে।
মুখপাত্র এসমাইল বাঘাঈ আল-জাজিরাকে এসব কথা বলেন। ভবিষ্যতে ইরানের সঙ্গে ‘সম্পর্ক’ গড়ে উঠতে পারে—ট্রাম্পের এমন বক্তব্যের বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তিনি তা (সম্পর্ক) নাকচ করে দেন। এ সময় বাঘাই যুক্তরাষ্ট্রের মাসের পর মাস ধরে চলা ‘পরস্পরবিরোধী বক্তব্যের’ কথা তুলে ধরেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, ‘তারা (মার্কিন কর্মকর্তারা) একদিকে কূটনীতির কথা বলছে, আরেকদিকে ইসরায়েলকে ইরানে হামলার সবুজ সংকেত দেয়। এরপরও কীভাবে বিশ্বাস অবশিষ্ট থাকে?’ তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র কূটনীতি ধ্বংস করে দিয়েছে।’
তবে বাঘাঈ জানান, ইরান বিশ্বাস করে যে ‘কূটনীতির পথ কখনো বন্ধ হয় না’। ইসরায়েলের সঙ্গে চলমান যুদ্ধে থাকা অবস্থাতেও ‘বিভিন্ন পক্ষের সঙ্গে’ তারা যোগাযোগ করেছে। তবে তিনি জোর দিয়ে বলেন, জাতীয় নিরাপত্তা ইরানের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার, এবং যুক্তরাষ্ট্র ‘আসলেই কূটনীতিতে আন্তরিক কি না’—তা বোঝার পরই ইরান আবার আলোচনায় যাবে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, হামলা চালিয়ে ইরানের ফর্দো পারমাণবিক স্থাপনাটি ‘সম্পূর্ণ ধ্বংস’ করা হয়েছে।
নেদারল্যান্ডসের দ্য হেগ-এ সামরিক জোট ন্যাটোর সম্মেলনে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় ট্রাম্প এ কথা বলেন বলে জানিয়েছে আল–জাজিরা।
সেখানে একপর্যায়ে একজন সাংবাদিকের প্রশ্নে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন ট্রাম্প। সেই সাংবাদিক যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থার প্রাথমিক এক মূল্যায়নের কথা উল্লেখ করেছিলেন, যেখানে বলা হয়েছিল, ওই হামলায় ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি কয়েক সপ্তাহের জন্য পিছিয়ে গেছে মাত্র।
এ প্রসঙ্গে ট্রাম্প বলেন, তিনি সেই পাইলটদের সঙ্গে কথা বলেছেন, যাঁরা ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালিয়েছেন। ট্রাম্পের ভাষ্য, পাইলটেরা তাঁকে বলেছেন—হামলাগুলো ছিল ‘নিখুঁত’ (পারফেক্ট)।
সাংবাদিককে উদ্দেশ করে ট্রাম্প বলেন, ‘ওই পাইলটদের নিয়ে তোমরা গর্ব করতে পারো। তাদের ছোট করে দেখানোর চেষ্টা করা উচিত নয়।’
ইসরায়েলের হামলায় ইরানে অন্তত ৬২৭ জন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে ইরানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হোসেইন কেরমানপুর আজ এক্সে দেওয়া পোস্টে জানান, হামলায় আরও ৪ হাজার ৮৭০ জন আহত হয়েছেন। তিনি বলেন, সবচেয়ে বেশি প্রাণহানি ঘটেছে তেহরানে। এরপর কেরমানশাহ, খুজেস্তান, লোরেস্তান ও ইসফাহানে উল্লেখযোগ্য হতাহতের খবর পাওয়া গেছে।
কেরমানপুর লেখেন, ‘আমি কোনো মন্তব্য করছি না। আহত শিশু, মা ও সাধারণ মানুষের করুণ দৃশ্য বর্ণনা করছিও না—তা মানবতার বিবেচনার ওপর ছেড়ে দিলাম।’ তিনি আরও জানান, নিহতদের মধ্যে ৮৬ দশমিক ১ শতাংশ ঘটনাস্থলেই মারা যান এবং ১৩ দশমিক ৯ শতাংশ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ড কমান্ড সেন্টারের প্রধান আলি শাদমানি মারা গেছেন। ইসরায়েলের হামলায় আহত হয়েছিলেন তিনি। ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমের বরাত দিয়ে এ কথা জানায় আল-জাজিরা।
শাদমানির মৃত্যুর প্রতিশোধ নিতে ‘কঠোর জবাব’ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে রেভল্যুশনারি গার্ডের কমান্ড সেন্টার।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী ১৭ জুন জানায়, তারা শাদমানিকে হত্যা করেছে। তাকে তারা ইরানের যুদ্ধকালীন চিফ অব স্টাফ এবং সর্বোচ্চ পদস্থ সামরিক কমান্ডার হিসেবে উল্লেখ করে।
ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে যুক্তরাষ্ট্রের হামলার প্রভাবকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষের সঙ্গে তুলনা করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
রয়টার্সের খবরে বলা হয়, ট্রাম্প বুধবার দ্য হেগ-এ বলেন, ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে যুক্তরাষ্ট্রের হামলার প্রভাব ছিল এতটাই ভয়াবহ যে তা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শেষ পর্বের ধ্বংসযজ্ঞের মতো। যদিও গোয়েন্দা প্রতিবেদনে সেই ক্ষয়ক্ষতির ব্যাপারে সুস্পষ্ট কিছু বলা হয়নি।
মার্কিন গোয়েন্দা প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে খবর আসে—ইরানে মার্কিন হামলার ফলে ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি মাত্র কয়েক মাস পিছিয়ে গেছে। এরপর ট্রাম্প ওই মন্তব্য করলেন। ট্রাম্প ও তাঁর প্রশাসনের দাবি ছিল, ইরানের পরমাণু সক্ষমতা ‘সম্পূর্ণ ধ্বংস’ করে দেওয়া হয়েছে।