
দীর্ঘ প্রায় ২০০ বছর ঔপনিবেশিক শাসনের অধীনে থাকায় বিদেশি দখল ও ঔপনিবেশিক পরাধীনতার অধীনে থাকা মানুষের বেদনা বাংলাদেশ গভীরভাবে অনুভব করে।
সম্প্রতি ৭৪তম জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের চতুর্থ কমিটির আওতায় ‘ঔপনিবেশিকতা বিলোপ’ বিষয়ক সাধারণ বিতর্কে অংশ নিয়ে এ কথা বলেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সদস্য আবদুল মজিদ খান।
সাম্রাজ্যবাদ, ঔপনিবেশিকতাবাদ ও বর্ণবাদের বিরুদ্ধে ন্যায্য সংগ্রামের অংশ হিসেবে বিশ্বের শোষিত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর যে সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা বাংলাদেশের রয়েছে তা উল্লেখ করেন সংসদ সদস্য আবদুল মজিদ খান বলেন, ‘জাতিসংঘে ১৯৭৪ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রদত্ত প্রথম ভাষণেও এই সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার কথা প্রতিধ্বনিত হয়েছিল। আর এ কারণেই বাংলাদেশ জাতিসংঘ সনদ ও জাতিসংঘের অন্যান্য প্রবিধান অনুযায়ী সব সময় ঔপনিবেশিক শাসনের অধীনে থাকা জনগণের আত্মনিয়ন্ত্রণ অধিকার রক্ষার্থে কাজ করে যাচ্ছে।’
দীর্ঘ সাত দশকেরও বেশি সময় ধরে ঔপনিবেশিকতাবাদ বিলোপের মাধ্যমে জাতিসংঘ বিশ্বের মানচিত্রে যে ইতিবাচক পরিবর্তন এনেছে এর জন্য জাতিসংঘের উচ্চ প্রশংসা করেন বাংলাদেশের এই সংসদ সদস্য। পাশাপাশি তিনি মন্তব্য করেন, এখনো বিশ্বে ১৭টি আত্মনিয়ন্ত্রণ অধিকারবিহীন অঞ্চল রয়েছে, যারা পরাধীনতার গ্লানি থেকে মুক্তির জন্য লড়াই করে যাচ্ছে।
আবদুল মজিদ খান বলেন, ‘ঔপনিবেশিক শাসন থেকে মুক্ত করার মতো অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করতে জাতিসংঘের ‘ঔপনিবেশিকতা বিলোপ’ বিষয়ক বিশেষ কমিটিকে (সি-২৪) কাজ করে যেতে হবে।’
এজেন্ডা ২০৩০ এর মর্মবাণী ধারণ করে বিশ্বের যেসব অঞ্চল এখনো ঔপনিবেশিক শাসনের অধীনে রয়েছে তা থেকে মুক্ত করতে জাতিসংঘ স্বীয় দায়িত্ব পালনে কোনো পদক্ষেপই বাদ রাখবে না মর্মে দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেন আবদুল মজিদ খান।
জাতিসংঘের চলতি ৭৪তম অধিবেশনের বিভিন্ন কমিটির কাজে অংশ নিতে আবদুল মজিদ খান নিউইয়র্কে অবস্থান করছেন।