Thank you for trying Sticky AMP!!

মিশিগানে আবার বন্ধ হতে পারে ব্যবসা-বাণিজ্য

মিশিগান রাজ্যের গভর্নর গ্রিচেন হুইটমার। ছবি: গভর্নরের অফিশিয়াল ওয়েবসাইট থেকে নেওয়া

আমেরিকার মিশিগান অঙ্গরাজ্যে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ভয়াবহ হারে বাড়ছে। রাজ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় সংক্রমিত হয়েছে ৮৯১ জন, যা গত দুই মাসের মধ্যে একদিনে সর্বোচ্চ সংক্রমণ। আর গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় সংক্রমিত হয়ে চারজনের মৃত্যু হয়েছে। আগের দিন ১৪ জুলাই করোনায় সংক্রমিত হয়ে ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং ৫৮৪ জনের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। মিশিগানে এ পর্যন্ত করোনায় সংক্রমিত হয়ে ৬ হাজার ৮৫ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে ৭১ হাজার ১৯৭ জনের।

মিশিগান রাজ্যের গভর্নর গ্রিচেন হুইটমার ১৫ জুলাই সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, করোনার সংক্রমণ যদি বাড়তে থাকে তবে রাজ্যের অর্থনীতির যেসব সেক্টর ইতিমধ্যে খুলে দেওয়া হয়েছে, তার কিছু অংশ আবার বন্ধ করে দেওয়া হবে। মিশিগানবাসী যদি করোনার প্রকোপ থেকে মুক্ত থাকতে চান, তবে রাজ্যের মাস্ক নির্দেশিকা অনুসরণ করতে হবে। তিনি আরও বলেন, করোনার দ্বিতীয় তরঙ্গ ধ্বংসাত্মক হতে পারে। রাজ্যের পূর্ব ল্যান্সিং, রয়েল ওক ও রামুলাসের বারগুলো থেকে করোনা সংক্রমণের পর ইনডোর বার পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

গভর্নর হুইটমার সংবাদ সম্মেলনে আরও বলেন, মিশিগানবাসী যদি মাস্ক ব্যবহার না করেন, তবে করোনার সংক্রমণ বৃদ্ধি পাবে। সংক্রমণ বৃদ্ধি পেলে গাড়ির কারখানাসহ অন্যান্য ব্যবসা-বাণিজ্য বন্ধ করতে বাধ্য হওয়া হতে পারে। যার ওপর মিশিগানের অর্থনীতি নির্ভর করছে।

করোনা সংক্রমণের জন্য দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর মিশিগানের গাড়ি কোম্পানিগুলো গত ১১ মে থেকে উৎপাদন শুরু করেছিল।

মিশিগান রাজ্যের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা জে. খালদুন বলেছেন, করোনাভাইরাসের সংক্রমণে মিশিগানবাসী হুমকির মধ্যে পড়েছেন। গভর্নর হুইটমার মানুষের জীবন বাঁচাতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিচ্ছেন। তিনি আরও বলেন, এখন যাদের বয়স ২০ থেকে ২৯, তাঁদের মধ্যে সংক্রমণ হচ্ছে বেশি।

এদিকে আমেরিকা ও কানাডা সীমান্তে অপ্রয়োজনীয় যাতায়াত বন্ধ রাখার চুক্তিটি কর্তৃপক্ষ আগামী ২১ আগস্ট পর্যন্ত বাড়ানোর চিন্তা ভাবনা করছে বলে জানা গেছে। কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো এ সপ্তাহে বলেছেন, সীমানা নিয়ে একটি সিদ্ধান্ত আগামী দিনে ঘোষণা করা হবে। কানাডাবাসীকে সুরক্ষিত রাখতে ও অর্থনীতিকে চালু রাখতে কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছি।

বর্তমানে কানাডা ও আমেরিকার সীমান্তে একমাত্র জরুরি পরিবহন ও জরুরি সেবার সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা সীমান্ত পারাপার করতে পারেন। অপ্রয়োজনীয় যাতায়াত বন্ধ রয়েছে।