একসময় পৃথিবী দাপিয়ে বেড়ানো বিশাল হাতির মতো দেখতে লোমশ ম্যামথরা জিনগত রোগে আক্রান্ত হয়েই বিলুপ্তির পথে গিয়েছিল। ওই রোগের কারণে তারা ঘ্রাণশক্তি হারিয়ে ফেলে ক্রমশ দলছুট হয়ে পড়ে।
বিলুপ্ত ম্যামথের প্রাচীন ডিএনএ নমুনা পরীক্ষা করে একদল বিজ্ঞানী এ কথা বলেছেন। তাঁদের গবেষণা প্রতিবেদনটি প্লস জেনেটিকস সাময়িকীতে প্রকাশ হয়েছে। প্রধান গবেষক যুক্তরাষ্ট্রের বার্কলেতে অবস্থিত ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানী রেবেকা রজার্স বলেন, বিলুপ্তির আগে প্রাণীটির জিনোম ভেঙে গিয়েছিল। একক প্রজাতির এ রকম জিনোম ভাঙার ঘটনা সম্ভবত এটাই প্রথম। গাণিতিক তত্ত্ব বলছে, ম্যামথের ক্রমবিকাশ-প্রক্রিয়ায় ত্রুটি দেখা দিয়েছিল।
বর্তমানে বিশ্বে বিলুপ্তির ঝুঁকিতে থাকাসহ বিভিন্ন প্রাণী সংরক্ষণে এই গবেষণা সহায়ক হতে পারে। বিশ্বের বনাঞ্চলে বর্তমানে ১০০টিরও কম এশীয় চিতা টিকে আছে। হাজার চারেক বছর আগে সুমেরু মহাসাগরের র্যাঙ্গেল আইল্যান্ডে বিচরণকারী লোমশ ম্যামথের সংখ্যাও কমে প্রায় এ অবস্থায় দাঁড়িয়েছিল।
গবেষকেরা চার হাজার বছর আগের একটি ম্যামথের ডিএনএর অবশিষ্টাংশ বিশ্লেষণ করে সর্বশেষ এ প্রতিবেদনটি তৈরি করেছেন। তাঁরা ওই ডিএনএর সঙ্গে প্রায় ৪৫ হাজার বছর আগের আরেকটি ম্যামথের ডিএনএর তুলনা করেছেন।