Thank you for trying Sticky AMP!!

সিলেট আওয়ামী পরিবারের 'আনন্দ সমাবেশ'

মন্ত্রিসভায় বৃহত্তর সিলেট থেকে পাঁচজন মন্ত্রী নিয়োগ ও বিগত জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিজয়ে ২৩ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় নিউইয়র্কে ‘আনন্দ সমাবেশ’ করে প্রবাসী সিলেট আওয়ামী পরিবার

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মন্ত্রিসভায় বৃহত্তর সিলেট থেকে পাঁচজন মন্ত্রী নিয়োগ ও বিগত জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিজয়ে ‘আনন্দ সমাবেশ’ করেছে প্রবাসী সিলেট আওয়ামী পরিবার। ২৩ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় নিউইয়র্কের উডসাইডের কুইন্স প্যালেসে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন হবিগঞ্জ-৩ আসন থেকে নির্বাচিত সাংসদ মো. আবু জাহির।
উল্লেখ্য, গত ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বৃহত্তর সিলেট থেকে নির্বাচিত ড. একেএম আব্দুল মোমেন (সিলেট-১), এম এ মান্নান (সুনামগঞ্জ-৩), মো. শাহাব উদ্দিন (মৌলভীবাজার-১), ইমরান আহমেদ (সিলেট-৪), মাহবুব আলী (হবিগঞ্জ-৪), নূরুল ইসলাম নাহিদ (সিলেট-৬), মাহমুদ উস সামাদ (সিলেট-৩), হাফিজ আহমেদ মজুমদার (সিলেট-৫), মোয়াজ্জেম হোসেন রতন (সুনামগঞ্জ-১), জয়া সেন গুপ্ত (সুনামগঞ্জ-২), পীর ফজলুর রহমান (সুনামগঞ্জ-৪), মুহিবুর রহমান মানিক (সুনামগঞ্জ-৫), নেছার আহমেদ (মৌলভীবাজার-৩), মো. আব্দুস শহীদ (মৌলভীবাজার-৪), গাজী মোহাম্মদ শাহ নেওয়াজ (হবিগঞ্জ-১), মো. আব্দুল মজিদ খান (হবিগঞ্জ-২) ও মো. আবু জাহিরের (হবিগঞ্জ-৩) সম্মানে এই আনন্দ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
এঁদের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ড. একেএম আব্দুল মোমেনকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী, এম এ মান্নানকে পরিকল্পনা মন্ত্রী, মো. শাহাব উদ্দিনকে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী, ইমরান আহমেদকে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী এবং মাহবুব আলীকে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী নিয়োগ করেছেন। আরও উল্লেখ্য, পূর্ব ঘোষিত এই সমাবেশ সফল হলেও ঢাকার চকবাজারের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় সমাবেশে শোকের পরিবেশ বিরাজ করে। অগ্নিকাণ্ডে হতাহতের ঘটনায় সমাবেশ অনুষ্ঠানে গভীর শোক ও সমবেদনা প্রকাশ করা হয়।
আনন্দ সমাবেশ আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক কামাল আহমেদের সভাপতিত্বে রাত সাড়ে ৮টার দিকে পবিত্র কোরআন তিলাওয়াত ও দোয়া মাহফিলের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। এরপর বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়।
অনুষ্ঠানে কমিউনিটির বিশিষ্ট ব্যক্তির মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের অন্যতম উপদেষ্টা ড. প্রদীপ রঞ্জন কর, নিউইয়র্ক স্টেট আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন আজমল, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের শিক্ষা-বিষয়ক সম্পাদক এম এ করীম জাহাঙ্গীর, জনসংযোগ সম্পাদক কাজী কয়েস, সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সমাজসেবা সম্পাদক শেখ ফকরু মিয়া, মূলধারার রাজনীতিক আব্দুস শহীদ, অনুষ্ঠানের সমন্বয়কারী হাজী এনাম, দরুদ মিয়া রনেল, তজম্মুল হোসেন ও শিমুল হাসান প্রমুখ আলোচনায় অংশ নেন।
আনন্দ সমাবেশ আয়োজক কমিটির সদস্যসচিব এস এম গোলাম রব্বানী চৌধুরীর উপস্থাপনায় অনুষ্ঠানে কমিউনিটির বিশিষ্ট ব্যক্তিদের মধ্যে সোসাইটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফখরুল আলম, কৃষিবিদ আব্দুস সবুর, কায়কোবাদ খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে সাংসদ আবু জাহির বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়ন-অগ্রগতিতে সিলেটের ভূমিকা অনস্বীকার্য। আর প্রধানমন্ত্রী সিলেট থেকে ৫জন মন্ত্রী নিয়োগ করে সব সিলেটবাসীকে সম্মানিত করেছেন। তিনি বলেন, দুই ধারায় বিভক্ত ছিল গত জাতীয় নির্বাচন। এক ধারায় ছিল উন্নয়ন-অগ্রগতি, আরেক ধারায় ছিল চক্রান্ত-ষড়যন্ত্র। বৃহত্তর সিলেটবাসীসহ সমগ্র দেশবাসী উন্নয়ন-অগ্রগতির পক্ষে রায় দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সমর্থন দিয়েছেন। তিনি বলেন, উন্নয়ন-অগ্রগতির ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে সরকারের ধারাবাহিকতাও জরুরি।
সাংসদ আবু জাহির বলেন, গত নির্বাচন নিরপেক্ষ হয়েছে। নিবন্ধন রক্ষার জন্যই বিএনপি নির্বাচনে গিয়েছিল। অথচ এখন তারা নির্বাচনে অনিয়মের ধুয়া তুলে দেশে-বিদেশে নানা অভিযোগ করে চলেছে। বিএনপির অপপ্রচারে প্রতিবাদ করার জন্য তিনি প্রবাসী সিলেটবাসীদের প্রতি আহ্বান জানান।
তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পাশে থেকে সিলেটের উন্নয়ন-অগ্রযাত্রায় ভূমিকা রাখার জন্য সব সিলেটবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন বৈরিতা নয়, সিলেটের সব জেলাই গুরুত্বপূর্ণ। সব জেলাকেই আমরা সমানভাবে দেখতে চাই। তিনি বলেন, শুধু সিলেট নয়; সব জেলায় বর্তমান সরকারের একটি করে আইটি ভিলেজ গড়ার পরিকল্পনা রয়েছে। প্রতি উপজেলায় ফায়ার স্টেশন গড়া হচ্ছে।
আলোচনা পর্ব শেষে আয়োজিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রবাসের শিল্পীরা সংগীত পরিবেশন করেন। বিপুলসংখ্যক প্রবাসী জালালাবাদবাসী অনুষ্ঠানটি উপভোগ করেন।