
ভেনেজুয়েলা উপকূলের কাছে আন্তর্জাতিক জলসীমায় জ্বালানি তেলবাহী একটি নৌযানকে ‘ধাওয়া’ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের কোস্টগার্ড। দুই দেশের সম্পর্কে বিদ্যমান উত্তেজনা আরও জোরালো হওয়ার মধ্যে এ খবর পাওয়া গেল।
এর আগে চলতি মাসে মার্কিন কর্তৃপক্ষ ভেনেজুয়েলা উপকূলের কাছ থেকে জ্বালানি তেলের দুটি ট্যাংকার অবরুদ্ধ করে। সর্বশেষ গত শনিবার একটি ট্যাংকার অবরুদ্ধ করা হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের একজন কর্মকর্তা বলেন, গতকাল রোববারের অভিযানে ভেনেজুয়েলার নৌবহরে থাকা একটি জাহাজকে ধাওয়া করা হয়েছে। এটি ভেনেজুয়েলার নিষেধাজ্ঞা এড়িয়ে যাওয়ার অবৈধ কৌশলের অংশ। ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, জাহাজটিতে ভুয়া পতাকা ওড়ানো হয়েছে। এটি অবরুদ্ধ করার জন্য বিচারিক আদেশ রয়েছে।
ওয়াশিংটনের অভিযোগ, মাদক-সম্পর্কিত অপরাধের ক্ষেত্রে জ্বালানি তেলের অর্থ ব্যবহার করছে ভেনেজুয়েলা। আর ভেনেজুয়েলা জ্বালানি তেলের ট্যাংকার জব্দ করার ঘটনাকে ‘চুরি ও অপহরণ’ হিসেবে উল্লেখ করেছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত সপ্তাহে ভেনেজুয়েলায় আসা–যাওয়া করা সব ‘নিষিদ্ধ’ জ্বালানি তেলের ট্যাংকার অবরুদ্ধ করার নির্দেশ দিয়েছেন।
বিশ্বের সবচেয়ে বেশি প্রমাণিত জ্বালানি তেলের মজুত রয়েছে ভেনেজুয়েলায়। দেশটি ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে তাদের সম্পদ চুরির চেষ্টা করার অভিযোগ এনেছে।
রোববারের ধাওয়া দেওয়ার ঘটনাটি নিয়ে এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানায়নি মার্কিন প্রশাসন। ট্যাংকারটির সঠিক অবস্থান ও নাম এখনো জানা যায়নি।
পণ্যবাহী নৌযান চলাচল শনাক্তকারী ওয়েবসাইট ট্যাংকারট্র্যাকারর্সডটকম জানিয়েছে, গত সপ্তাহ পর্যন্ত ভেনেজুয়েলার জলসীমায় থাকা বা দেশটির কাছাকাছি আসা ৮০টি জাহাজের মধ্যে ৩০টিরও বেশি মার্কিন নিষেধাজ্ঞার আওতায় ছিল।
শনিবার যে ট্যাংকারটি অবরুদ্ধ করা হয়, সেটি পানামার পতাকাবাহী। আন্তর্জাতিক জলসীমা থেকেই সেটি অবরুদ্ধ করা হয়। তবে মার্কিন নিষেধাজ্ঞার তালিকায় এটির নাম ছিল না।
যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, নিষেধাজ্ঞার তালিকায় নাম না থাকলেও ট্যাংকারটি ভেনেজুয়েলার নিষেধাজ্ঞাভুক্ত জ্বালানি প্রতিষ্ঠান পিডিভিএসএ–এর জ্বালানি তেল পরিবহন করছিল। বিবিসি যাচাই করে দেখেছে, গত পাঁচ বছরে ট্যাংকারটি গ্রিস আর লাইবেরিয়ার পতাকা বহন করেছে।