
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি টেলিফোনে কথা বলেছেন। সোমবার দুই নেতার মধ্যে এ ফোনালাপ হয়। এ সময় তাঁরা যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের মধ্যকার কৌশলগত অংশীদারত্ব এগিয়ে নেওয়ার প্রতিশ্রুতির ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন।
ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার এক সপ্তাহ পর দুই নেতার মধ্যে কথা হলো। ওয়াশিংটন ডিসিতে গত ২০ জানুয়ারি ওই শপথ অনুষ্ঠানে ভারত সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর উপস্থিত ছিলেন।
সোমবার ফোনালাপের পর এক বিবৃতিতে হোয়াইট হাউস বলেছে, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। দুই দেশের মধ্যকার সহযোগিতা সম্প্রসারণ ও গভীর করার বিষয়ে আলোচনা করেছেন দুই নেতা। তাঁরা ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের নিরাপত্তা, মধ্যপ্রাচ্য ও ইউরোপসহ আঞ্চলিক অনেক বিষয় নিয়েও আলোচনা করেছেন।
হোয়াইট হাউস বলেছে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ভারতের যুক্তরাষ্ট্রে তৈরি নিরাপত্তা সরঞ্জাম কেনা বৃদ্ধি এবং দুই দেশের মধ্যে একটি ন্যায্য বাণিজ্যিক সম্পর্কের দিকে এগিয়ে যাওয়ার ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন।
হোয়াইট হাউসের বিবৃতিতে আরও বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হোয়াইট হাউস সফরের পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করেছেন দুই নেতা। তাঁরা যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের মধ্যে শক্তিশালী বন্ধুত্বপূর্ণ ও কৌশলগত সম্পর্কের গুরুত্বের ওপর জোর দিয়েছেন।তাঁরা যুক্তরাষ্ট্র-ভারত কৌশলগত অংশীদারত্ব এবং ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় কোয়াড অংশীদারত্ব এগিয়ে নেওয়ার বিষয়ে নিজেদের অঙ্গীকারের প্রতিও গুরুত্ব আরোপ করেছেন। এ বছরের শেষ দিকে প্রথমবারের মতো কোয়াড শীর্ষ সম্মেলনের আয়োজন করতে যাচ্ছে ভারত।
এদিকে ফোনালাপের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া এক বার্তায় নরেন্দ্র মোদি বলেন, ‘আমার প্রিয় বন্ধু প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে কথা বলে আমি উচ্ছ্বসিত। (প্রেসিডেন্ট হিসেবে) তাঁর ঐতিহাসিক দ্বিতীয় মেয়াদের জন্য তাঁকে অভিনন্দন।’
ভারতের প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট ও বিশ্বস্ত অংশীদারত্বের বিষয়ে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমাদের জনগণের কল্যাণ এবং বিশ্বশান্তি, সমৃদ্ধি ও নিরাপত্তার জন্য আমরা একসঙ্গে কাজ করব।’
ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে ২০১৭-২১ সালে নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে তাঁর সুসম্পর্ক ছিল। এই ফোনালাপের মধ্য দিয়ে আবার দুজনের মধ্যে সরাসরি যোগাযোগ শুরু হলো।
এর আগে গত সপ্তাহে ট্রাম্পকে অভিনন্দন জানিয়ে মোদি বলেন, ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র উভয় দেশের স্বার্থে মার্কিন নেতার সঙ্গে কাজ করে যাবেন তিনি। ২০ জানুয়ারি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া বার্তায় মোদি বলেছিলেন, ‘আমাদের দুই দেশের স্বার্থে এবং বিশ্বের জন্য নতুন ভবিষ্যৎ গড়তে আমি আবারও একসঙ্গে কাজ করার অপেক্ষায় আছি।’