Thank you for trying Sticky AMP!!

গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজা উপত্যকায় ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে চলমান যুদ্ধকে কেন্দ্র করে ইয়েল, কলম্বিয়া, নিউইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ শুরু হয়

ফিলিস্তিনের সমর্থনে কলম্বিয়াসহ যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ, পুলিশের ধরপাকড়

গাজা উপত্যকায় চলমান যুদ্ধের বিরুদ্ধে কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়সহ যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ অব্যাহত আছে। গতকাল সোমবার কানেকটিকাটে ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয় এবং নিউইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিলিস্তিনপন্থী বিক্ষোভকারীদের ধরপাকড় চালিয়েছে পুলিশ। এ সময় বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

গতকাল সোমবার কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সশরীর ক্লাস বন্ধ রাখার ঘোষণার পর পুলিশ বিক্ষোভকারীদের ওপর ধরপাকড় চালায়। গত সপ্তাহে কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের নিউইয়র্ক সিটি ক্যাম্পাসে তাঁবু টানিয়ে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের ঘটনায় সশরীর সব ক্লাস বন্ধ ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ।

গতকাল সোমবার কানেকটিকাটের নিউ হ্যাভেনে ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসের আশপাশে বিক্ষোভকারীরা যান চলাচল বন্ধ করে দেয়। তাঁরা দাবি জানায়, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি যেন অস্ত্র উৎপাদনকারীদের থেকে দূরে থাকে। ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পরিচালিত সংবাদপত্র ইয়েল ডেইলি নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়, ৪৫ জনের বেশি বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

নিউইয়র্কে গতকাল সন্ধ্যা নামার সঙ্গে সঙ্গে নিউইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ের বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালায় পুলিশ। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের হুঁশিয়ারি উপেক্ষা করে কয়েক শ শিক্ষার্থী বিক্ষোভে যোগ দিয়েছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাদের আগেই হুঁশিয়ার করে বলেছিল, বিক্ষোভস্থল না ছাড়লে তাঁদের পরিণাম ভোগ করতে হবে।

পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে ধস্তাধস্তির সময়ও বিক্ষোভকারীরা স্লোগান দিচ্ছিলেন। তাঁরা বলছিলেন, ‘আমরা থামব না, বিশ্রাম নেব না। প্রকাশ করুন। বর্জন করুন।’

গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজা উপত্যকায় ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে চলমান যুদ্ধকে কেন্দ্র করে ইয়েল, কলম্বিয়া, নিউইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়সহ যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ শুরু হয়।

গতকাল সোমবার কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট নেমাত মিনোশে শফিক বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মী ও শিক্ষার্থীদের কাছে একটি ই–মেইল পাঠান। এতে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ে সশরীর ক্লাস বন্ধ থাকবে এবং অনলাইনে পাঠদান কার্যক্রম চলবে। এমন সিদ্ধান্তের কারণ হিসেবে তিনি লিখেছেন, বিদ্বেষ প্রশমন এবং পরবর্তী পদক্ষেপগুলো বিবেচনা করার সবাইকে সুযোগ দিতে চায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

কলম্বিয়ার যেখানে বিক্ষোভকারীরা তাঁবু স্থাপন করেছিল, তা পরিষ্কার করার জন্য গত সপ্তাহে নিউইয়র্ক পুলিশকে খবর দেন শফিক। বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীদের দাবি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি যেন ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পৃক্ত বিনিয়োগ বর্জন করে।

কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় বলছে, এভাবে তাঁবু খাটিয়ে বিক্ষোভ করা হলে তা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি লঙ্ঘন।

গত বৃহস্পতিবার কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শতাধিক শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। কলম্বিয়া এবং সংশ্লিষ্ট বারনার্ড কলেজ কর্তৃপক্ষ ওই বিক্ষোভে জড়িত থাকায় বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি পরিষদ এবং সিনেটের রিপাবলিকান সদস্যরা এবং অন্তত একজন ডেমোক্রেটিক সিনেটর কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট নেমাত মিনোশে শফিকের পদত্যাগ দাবি করেছেন।

গতকাল সোমবার কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শতাধিক শিক্ষক বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীদের প্রতি সংহতি জানিয়েছেন।